ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
(১)
নিয়ত হচ্ছে, অন্তরের বিষয়।অন্তর দিয়ে নিয়ত করতে হয়।শুধুমাত্র মূখে উচ্ছারণ করাকে জরুরী মনে করা বিদআত। তবে অন্তরে যা রয়েছে সেটাকে জবান দ্বারা উচ্ছারণ করা যাবে। এবং অন্তরের ইচ্ছাকে জবান দ্বারা উচ্ছারণ করা সুন্নাত।
واعلم أن النية لا تتأدى باللسان؛ لأنها إرادة والإرادة عمل القلب لا عمل اللسان؛ لأن عمل اللسان يسمى كلاما لا إرادة إلا أن الذكر باللسان مع عمل القلب سنة فالأولى أن يشغل قلبه بالنية ولسانه بالذكر
প্রকাশ থাকে যে,নিয়ত জবান দ্বারা আদায় হয় না।কেননা নিয়ত হল, ইরাদা বা ইচ্ছার নাম।আর ইরাদা বা ইচ্ছা অন্তরের বিষয়।সেটা জবানের বিষয় না।কেননা জবান দ্বারা যা উচ্ছারিত হয়,সেটাকে 'কালাম' বলা হয়,ইরাদা বলা হয় না।হ্যা অন্তরের ইচ্ছার সাথে জবান দ্বারা উচ্ছারণ করা সুন্নাত।সুতরাং উত্তম হল,অন্তরে কাজের নিয়ত রাখা এবং সাথে সাথে জবান দ্বারা সেই নিয়তকে উচ্ছারণ করা।(আল জাওহারাতুন-নাইয়্যিরাহ-১/৪৮)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অর্থ সহ আরবী তে মুখস্থ থাকলে ভালো।আরবীতেই বলবেন।তবে অর্থ জানা না থাকলে, মনের কথাকে বাংলাতেই জবান দ্বারা উচ্ছারণ করে নিয়ত করে নিবেন।জাযাকুমুল্লাহ।
وفي الموسوعة الفقهية الكويتية ،ج:٤٢-ص:٦٥
ذَهَبَ الْحَنَفِيَّةُ وَالشَّافِعِيَّةُ وَالْحَنَابِلَةُ وَهُوَ قَوْل مَالِكٍ وَأَكْثَرِ فُقَهَاءِ الْمَالِكِيَّةِ إِلَى أَنَّ مَحَل النِّيَّةِ مِنَ الْمُكَلَّفِ الْقَلْبُ فِي كُل مَوْضِعٍ؛ لأَِنَّهُ مَحَل الْعَقْل وَالْعِلْمِ وَالْمَيْل وَالنُّفْرَةِ وَالاِعْتِقَادِ، وَلأَِنَّ حَقِيقَتَهَا الْقَصْدُ، وَمَحَل الْقَصْدِ الْقَلْبُ، وَلأَِنَّهَا مِنْ عَمَل الْقَلْبِ.
وفي ج:٤٢-ص:٦٧ من الموسوعة الفقهية الكويتية ،
فَذَهَبَ الْحَنَفِيَّةُ فِي الْمُخْتَارِ وَالشَّافِعِيَّةُ وَالْحَنَابِلَةُ فِي الْمَذْهَبِ إِلَى أَنَّ التَّلَفُّظَ بِالنِّيَّةِ فِي الْعِبَادَاتِ سُنَّةٌ لِيُوَافِقَ اللِّسَانُ الْقَلْبَ
وَذَهَبَ بَعْضُ الْحَنَفِيَّةِ وَبَعْضُ الْحَنَابِلَةِ إِلَى أَنَّ التَّلَفُّظَ بِالنِّيَّةِ مَكْرُوهٌ
وَقَال الْمَالِكِيَّةُ بِجَوَازِ التَّلَفُّظِ بِالنِّيَّةِ فِي الْعِبَادَاتِ، وَالأَْوْلَى تَرْكُهُ، إِلاَّ الْمُوَسْوَسَ فَيُسْتَحَبُّ لَهُ التَّلَفُّظُ لِيَذْهَبَ عَنْهُ اللَّبْسُ ،اه
وفي بدائع الصنائع ج:١-ص١٢٧
والعبادة إخلاص العمل بكليته لله تعالى، قال الله تعالى: {وما أمروا إلا ليعبدوا الله مخلصين له الدين} [البينة: ٥] ، والإخلاص لا يحصل بدون النية.
وقال النبي - صلى الله عليه وسلم -: «لا عمل لمن لا نية له» .
وقال: «الأعمال بالنيات ولكل امرئ ما نوى» ، والكلام في النية في ثلاث مواضع: أحدها - في تفسير النية، والثاني - في كيفية النية، والثالث - في وقت النية.
(أما) الأول فالنية هي الإرادة، فنية الصلاة هي إرادة الصلاة لله تعالى على الخلوص، والإرادة عمل القلب.
(২)
যেকোনো কাজকে 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' বলেই শুরু করতে হয়।সুতরাং ইফতারকেও বিসমিল্লাহ্ বলে শুরু করা হবে।
তবে ইফতার সম্পর্কে বেশ কয়েকটি রেওয়াতে কিছু দু'আ বর্ণিত রয়েছে।সেগুলোকে ইফতারের আগে পরে যেকোনো ভাবে পড়া যাবে।তবে অর্থের দিক বিবেচনা করে উলাময়ে কেরাম কিছু পরামর্শ প্রদাণ করে থাকেন,
ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺇﻧﻲ ﺃﺳﺄﻟﻚ ﺑﺮﺣﻤﺘﻚ ﺍﻟﺘﻲ ﻭﺳﻌﺖ ﻛﻞ ﺷﻲﺀ ﺃﻥ ﺗﻐﻔﺮ ﻟﻲ
উচ্ছারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আস’আলুকা বি-রাহমাতিকা-ল্লাতি ওয়াসি’তা কুল্লা শাইয়িন আন তাগফিরা-লি
অর্থঃ হে আল্লাহ আমি আপনার ঐ রহমত দ্বারা আপনার কাছে চাই, যে রহমত দ্বারা আপনি প্রত্যেক জিনষিকে প্রশস্ত করেছেন, আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। (ইবনে মা’জা)
অথবা সংক্ষেপে বলা যাবে,
ইয়া ওয়াসিআল ফাযলি ইগফিরলি বলবে।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে ইফতার শুরু করা।
- ইফতার শেষে নিম্নোক্ত দু’আ পড়া
ﺫﻫﺐ ﺍﻟﻈﻤﺄ ﻭﺍﺑﺘﻠﺖ ﺍﻟﻌﺮﻭﻕ ﻭﺛﺒﺖ ﺍﻷﺟﺮ ﺇﻥ ﺷﺎﺀ ﺍﻟﻠﻪ
উচ্ছারণঃ যাহাবায-যামাউ ওয়াবতাল্লাতিল-উরুকু ওয়া ছাবাতাল-আজরু ইনশাআল্লাহ।
অর্থঃ তূষ্ণা চলে গেছে,রগগুলো সতেজ হয়েছেে, এখন আল্লাহ চাহে তো সওয়াবের আশা রাখা যায়।(আবু-দাউদ-২৩৫৭)
অথবা
ﺍﻟﻠﻬﻢ ﻟﻚ ﺻﻤﺖ ﻭﻋﻠﻰ ﺭﺯﻗﻚ ﺃﻓﻄﺮﺕ
উচ্ছারণঃ আল্লাহুম্মা লাকা চুমতু ওয়া আলা রিযকিকা আফতারতু
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনার জন্য রোযা রেখেছি, এবং আপনার রিযিক দ্বারা ইফতার করেছি।(আবু-দাউদ-২৩৫৮)