এসব কারণে কি কোন সমস্যা হবে?

Question

আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। কোন ব্যাক্তি ঈমান ভাঙার কারণ নিয়ে জানার পর থেকে এবং না জেনে কুফরি করলে জানার সাথে সাথে তওবা না করলে ঈমান চলে যায় এসব জানার পর থেকে তার যদি এখন পূর্বের সব বিষয়ে ঈমান ভাঙতে পারে বলে সন্দেহ চলে আসে।বার বার তওবা ও ইসতেগফার পড়া।তওবা করলেও তওবা ঠিক ভাবে করেছে কিনা।একটু ইসতেগফার পড়া অফ করলেই ঈমান আছে কিনা সন্দেহে পড়ে যায়।বার বার তওবা করা।একটু পর পর পূর্বের একেকটা কথা মনে পরা ।সবসময় ভয় পাওয়া।

এমন ব্যাক্তি শুধু ইসতেগফার পড়লে অথবা আর করবে না বললে শুধু এটা কি তওবা হবে নাকি একেকটা কথার জন্য একেকবার তওবা করবে?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,

ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3318

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নের বিবরণমতে যেই ব্যক্তির এরকম ওয়াসওয়াসা। তার উচিত ওয়াসওয়াসা কের্সটি সম্পন্ন করা। প্রশ্নের বিবরণমতে তার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

Comments

এমন ব্যাক্তি ওসব ঘটনা মনে পড়লে শুধু ইসতেগফার পড়লে তওবা হবে? না পড়ে শুধু মনে  মনে আর করবে না ভাবলেও কি তওবা হবে?

---

মনে মনে করলেও হবে। তবে মুখ দ্বারা উচ্ছারণ করা উচিত। 

---

হুজুর কোর্সটি নাকি এখন নাই।করণীয় কি?মারাত্মক অসহনীয় ওয়াসওয়াসা।কারণ আগে কিছু অল্প জানা থাকলেও ইমান ভন্গের কারন নিয়ে গভীরভাবে এসব নিয়ে চিন্তা না করে হয়ত ভুলে অনেক কিছু হয়ে থাকবে।এসব মনে পড়লে চিৎকার দিয়ে কান্না চলে আসে তার।স্বামীর সাথে কথা বলতেও মাঝে মাঝে কান্না করে দেয়।স্বামীও বিস্তারিত জানে না ঈমান ভাঙার কারণ।ওয়াসওয়াসা কি এটাও হয়ত জানে না রেগে যায় হয়ত মাঝে মাঝে।বললেও শুনবে না এমন নিজে যেটা বুঝে সেটা।মহিলাটিও জানে না বিস্তারিত এখনো সব কিছু।কারো সাথে কথা বলার সময় চুপ হয়ে যায় ভয়ে।মনে চলে আসে ইচ্ছে করে তুই না জানার চেষ্টা করতেছস।এখান প্রশ্ন সার্চ দিতে দিতে যতটুকু জানার জেনেছে।আগে শুধু বইয়ে যা পড়েছে ওয়াজে যা শুনেছে এসব কিন্তু বিস্তারিত না।যতটুকু জানে মানে যেমন জেনেছিল আগে ততটুকু আমলের মানে ঈমান যাতে না ভাঙ্গে সেইরকম করে চলেছে।তবুও হয়ত ভুলে গিয়ে যা জানে হয়ে থাকতে পারে এমন কাজ।

---

সে বিবাহিত তার খুব বেশি ভয় হয় ঈমান চলে গেলে বিবাহ ও ভেঙে যায়।বিবাহ নবায়ন করতে হয়।স্বামী ও যেহেতুু তেমন কিছু জানে না।সে বলেছে মাঝে মাঝে বিবাহ নবায়ন করতে হয় ঈমান চলো গেলে বিয়ে ভেঙে যায়।তবুও হয়ত স্বামী এসব না শুনতে পারে বেশি বলতে গেলে বাড়াবাড়ি জাতীয় কিছু হতে পারে। সে খুব ভয়ে থাকে কি করবে সেটা নিয়ে।ভবিষ্যতেও কিভাবে ঠিক থাকবে সেটা নিয়ে।কয়েকবছর আগে ওয়াসওয়াসার সমস্যা ছিল।মাঝে ভাল হয়েছিল তখন হয়ত ভুলে গিয়ে আবার ঈমান ভাঙার কারণ হয়ে থাকতে পারে,জেনে বুঝে না।পড়াশোনা ও ভালভাবে করেছে।গত ১ মাস ধরে আবার ওয়াসওয়াসা মারাত্মক।পড়াশোনা করতেও ভয় পায়।কুফরি, শিরকি ভেবে সব কিছু।রিসার্চ মেশিন লার্নিং দিয়ে এসব ও কুফরি ভেবে ভয় তার। স্বামী ডিজাইন করেছে সেটা কেমন হয়েছে বললে সে বলে না ভয়ে কারণ সেখানে মহিলার ছবি ছিল।ভাল বা সুন্দর হয়েছে বললে কোন ঈমান চলে যাবে কিনা ভেবে।

---

এসবের কারণে তার  মনে হচ্ছে তাদের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কেও এটার প্রভাব পড়তেছে।স্বামী দূরে থাকে।স্বামী ভাবছে বউ এমনিতে কথা বলতেছে না।কোন ডিজাইন সুন্দর হয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করলেও বলে না কারন মহিলা বা প্রাণীর ছবি থাকাতে।আর এটা শুনার পর আরো ভয়ে যে কিছু এমন আছে যোগুলো না জেনে করলেও ঈমান চলে যায়। এগুলো কোনগুলো সে এখনো জানে না বিস্তারিত ।সে এমন কিছু করেছে কিনা ভেবে খুব বেশি ভয়ে।কাউকে কিছু বলতেও পারছে না টেনশনে আর কান্না চলে আসে, কান্না করেও মাঝে মাঝে।

---

ঈমান আছে কিনা বুঝার কোন উপায় আছে? ভুলে গিয়ে, না বুঝে, না বিস্তারিত না জেনে কিছু ঈমান ভাঙার কাজ করে ফেললে বা বললে জানার পর তওবা করলে তওবা কবুল হয়েছে কিনা জানার কোন উপায় আছে?

---

আপনার প্রশ্নের উত্তর থেকে আপাতত আমরা বিরত থাকছি। আপনি ওয়াসওয়াসা কোর্সটি করেন।তারপর আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো, ইনশাআল্লাহ।