আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।
আমি আমার স্বামী কে তার হারাম কাজগুলো থেকে বের হয়ে আসার জন্য এবং আমার ভালো উপদেশ এ বাধ্য করার জন্য কিছু ভালো আমল বা তদবীর গুলো জানতে চাচ্ছি ম পাশাপাশি স্বামীর স্ত্রী'র প্রতি ভালোবাসা যেনো অনেক বেশি গভীর হয় সেই আমল এ করতে চাচ্ছি।  আমার স্বামীর অনেক বেশি রাগ। সে সিগারেট খায়, গান শোনে৷ রাতে গান শুনতে শুনতে ঘুমায়। নামা পড়ে, মাঝেমধ্যে কাজা বা বাদ যায় ঘুমিয়ে থাকলে। তাই আমি চাই সে সব হারাম কাজগুলো থেকে সরে আসুক৷ আর আমার প্রতি তার ভালোবাসা অনেক গুনে যেনো বেড়ে যায় যাতে করে সে আমার বাধ্য হয়ে খারাপ কাজগুলো থেকে বের হতে উদ্বুদ্ধ হবে।
আমি কিছু আমল এর সন্ধান পেয়েছি। নিচে লেখাগুলো কপি-পোস্ট করে দিচ্ছি।  আমাকে একটু দয়া করে বলবেন এগুলোর মধ্যে সবগুলো সহী শুদ্ধ কি না। যদি কোনোটা না হয় জানাবেন, আর এগুলোর একটাও সহী না হলে সহী আমল কি কি আছে আমাকে দয়া করে একটু জানিয়ে সাহায্য করবেন প্লিজ।
আপনার পরিবার সুখ শান্তি আর সুস্থতার জন্য দোয়া করছি। ভালো থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।
স্বামী - স্ত্রীর মুহাব্বাত বৃদ্ধির আমল:

১। স্ত্রী সুরা নিসা বেশী বেশী পড়লে স্বামী তাকে অনেক মুহাব্বত করবে ইনশাআল্লাহ।

২। যদি কেউ স্বামীর ভালোবাসা পেতে চায় তবে এই দোয়াটি মাগরিবের নামাজের পড়ে ৩০০ বার পড়ে মিষ্টি দ্রব্যে ফুক দিয়ে খাওয়াবে এতে সে তার ভালবাসায় অস্থির হয়ে যাবে। এই আমলে জানের দুশমনের মধ্যেও মুহাব্বত পয়দা হবে ইনশাআল্লাহ! দোয়াটি এই (ক্বদ শাগফাহা মুহিব্বাতান ইয়া ওয়াদুদু)

৩) প্রতিদিনই ৩০০ বার করে ৩ দিন পর্যন্ত (ইয়া বাছিতু) পড়ে পানিতে ফু দিয়ে সেই পানি ৩ দিন স্বামীকে খাওয়াবে। এতে স্বামী অন্য মেয়ের কাছে যাবে না। স্বামীর রাগ কমবে।

৪) ১০০০ বার ইয়া ওয়াদুদু পরে মিষ্টি খাবারে ফু দিয়ে স্বামিকে খাওয়াবে। স্বামী বাধ্য হবে ইং শা আল্লাহ।

৫) ১০০০ বার ইয়া হাকিমু পরে খাবারে অথবা লবনে ফু দিয়ে নিজে আর স্বামি মিলে খাবে। ভালোবাসা পয়দা হবে ইং শাআল্লাহ।

৬) স্বামীর কাছে যাবার আগে বেশি বেশি (ইয়া ওয়ালিয়্যু) পড়বে। এতে স্বামীর মাথা ঠান্ডা হবে। ইং শা আল্লাহ।

৭) ঘুমানোর সময় 20 বার (ইয়া মানিউ) পরবে। এতে ঝগড়া মিটে যাবে ইং শা আল্লাহ।

৮) সুরা বাকারার ১৬৫ নং আয়াত বেশি বেশি পড়ে মিস্টি খাবারে ফু দিয়ে খাওয়াবেন।

৯) সুরা তাওবার শেষ দুই আয়াত বেশি বেশি পড়ে মিস্টি খাবারে ফু দিয়ে খাওয়ান।

1 Answer

0 votes
ago by (689,700 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "
তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়ত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলতেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে,তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে।(সুনানু তিরমিযি-২৪৯,তিরমিযী ২৬৫০-৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭।) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/36


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি উপরোক্ত আমল গুলো করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...