আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
48 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (11 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
শুধুমাত্র দ্বীনের জন্য অনেক কিছু ছাড় দিয়ে বিয়ে করি। কিন্তু বিয়ের পর দেখি সে নামাজ আর রোজা ছাড়া তেমন কিছুতেই নেই। যেমন স্ত্রীর হক আদায়ে তার কোন গুরুত্ব নেই বললেই চলে। সে সারাদিন ফোন টিপে গেমস খেলে কত কান্নাকাটি করেছি কত বুঝিয়েছি যে একটু সময় দিন আমাকে। দিন শেষে একটু সময় চাই আপনার কাছে কিন্তু না সে আমাকে কোনভাবেই সময় দিতে ইচ্ছুক নয়।
তার মধ্যে রোমান্টিকতা কিছুই নেই না আবেগ অনুভূতি কিচ্ছু না। আমি বাবার বাড়ি আসলে ১৫ দিন হয়ে যায় সে বাসায় নেওয়ার কথা বলেনা। ইভেন তার সাথে থাকলে ১৫ দিন হয়ে গেলেও সে শারীরিক সম্পর্ক করেনা। যাতে আমার খুব কষ্ট হয়। তার সাথে থেকে হয়তো আমি নিজেই ফিতনায় জরিয়ে যাবো এমন মনে হয়।

ইভেন বিয়ের পর থেকে ৩ বছরের মধ্যে সে কাজ করে ৪/৫ মাস। মাঝেমধ্যে টুকটাক কাজ করে তার মা বাবাই বাজার করতো তাই অনেক খোটা শুনতে হয় তাই আমি আর থাকতে চাচ্ছিনা।

আমি অনেকবার তার কাছ থেকে তালাক চাইছি কিন্তু সে দেয়না। আমি আর এই সম্পর্ক একা একা টেনে নিয়ে যেতে পারছিনা দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে
এসব কারনে কি আমি তার থেকে তালাক নিতে পারবো?

সে নাকি কাবিন নামায় আমাকে তালাকের অধিকার দেয়নি।

1 Answer

0 votes
by (667,230 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

কোন মারাত্মক সমস্যা ছাড়া কোন মহিলা তার স্বামী থেকে তালাক চাওয়া হারাম ও কবীরা গুনাহ্।

সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

أَيُّمَا امْرَأَةٍ سَأَلَتْ زَوْجَهَا طَلَاقًا فِيْ غَيْرِ مَا بَأْسٍ ؛ فَحَرَامٌ عَلَيْهَا رَائِحَةُ الْـجَنَّةِ.

‘‘যে কোন মহিলা কোন মারাত্মক সমস্যা ছাড়া নিজ স্বামীর নিকট তালাক চাইলো তার উপর জান্নাতের সুগন্ধি হারাম হয়ে যাবে’’। (আবূ দাউদ ২২২৬; তিরমিযী ১১৮৭; ইব্নু মাজাহ্ ২০৫৫)

ইসলামী স্কলারগন বলেছেন, যেসব কারণে স্ত্রীর জন্য স্বামীর কাছ থেকে তালাক চাওয়ার অনুমতি আছে তা হলোঃ-

★যদি কোনো বাস্তবসম্মত কারণে উভয়ের পক্ষে একসঙ্গে বসবাস করাটা অসম্ভব হয়ে পড়ে তাহলে স্ত্রীর জন্য স্বামীর কাছ থেকে তালাক চাওয়ার অনুমতি আছে।

★যদি স্বামীর মাঝে দৈহিক এমন ত্রুটি থাকে, যার কারণে দাম্পত্যজীবনের স্বাভাবিকতা খুবই দুরূহ হয়ে যায়। যেমন—পাগল হওয়া, যৌন অক্ষম হওয়া, কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হওয়া। 
বলা বাহুল্য, স্বামীর মাঝে উক্ত ত্রুটিগুলো থাকা অবস্থায় স্ত্রীকে ভালোভাবে রাখা সম্ভব নয়।

★স্বামী স্ত্রীর আবশ্যকীয় জরুরত তথা ভরণ-পোষণ দিতে অক্ষম হলে। কেননা, এটা স্ত্রীর মৌলিক অধিকার। 

★শরিয়ত নির্দেশিত কারণ ছাড়া স্বামী স্ত্রীকে কষ্ট দেওয়া বা জুলুম করা।

এটা শারীরিকভাবেও হতে এবং মানসিকভাবে হতে পারে। যেমন—স্ত্রীকে মারধর করা, গালাগাল করা, স্ত্রীকে তার পিতা-মাতার সঙ্গে দেখা সাক্ষাতে বাধা প্রদান করা, বেপর্দা কিংবা হারাম কাজে স্ত্রীকে জোরপূর্বক বাধ্য করা। 

★স্বামীর মধ্যে দ্বিনদারির প্রতি অবহেলা চরম পর্যায়ের হলে। যেমন—নামাজ না পড়া, মদ পান করা, পরকীয়া কিংবা চারিত্রিক অন্যায়-অপকর্মে লিপ্ত হওয়া। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার স্বামী যেহেতু আপনার হক পুরোপুরিভাবে আদায় করছে না, সুতরাং এক্ষেত্রে প্রথমে পরামর্শ থাকবে, উভয় পরিবারের মুরব্বিদের মাধ্যমে মিটিং করে আপনার স্বামীকে আপনার হক আদায়ের ব্যাপারে বুঝাবেন।

এতে যদি কাজ না হয় সেক্ষেত্রে আপনি তালাকের পথে যেতে পারেন।

আপনাকে যদি নিকাহ নামায় তিনি তালাকের অধিকার দিয়ে থাকেন,বা অন্য কোনো ভাবে আপনাকে তিনি তালাকের অধিকার দিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনি নিজ অধিকার বলে নিজের উপর নিজে তালাক গ্রহণ করতে পারবেন।

আর যদি তিনি আপনাকে তালাকের অনুমতি না দিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি আদালতের শরণাপন্ন হয়ে খোলা তালাকের আবেদন করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
যদি খোলা তালাক হয় তাহলে কয় তালাক পতিত হয়?
by (667,230 points)
এক তালাকের উপর খোলা' হলে এক তালাক পতিত হবে।

দুই তালাকের উপর খোলা' হলে দুই তালাক পতিত হবে।

তিন তালাকের উপর খোলা' হলে তিন তালাক পতিত হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...