পিছনের রাস্তা থেকে পাঁচ ইঞ্চি ভিতরে হাকনাহ বলা হয়।
শরীয়তের বিধান মতে কোনো মলম বা ভেজা কিছু ভিতরে প্রবেশ করা হয় সেটি যদি তিন ইঞ্চি অতিক্রম করে,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
যদি তিন ইঞ্চি অতিক্রম না করে,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৬/২২৪)
পায়খানার রাস্তায় ডুশ ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে। এতে শুধু কাজা ওয়াজিব হবে। কাফফারা ওয়াজিব হবে না। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪)
,
আরো জানুনঃ
সুফিয়ান সাওরী রহ. বলেন, ‘রোযা অবস্থায় কুলি করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে গলার ভেতর পানি চলে গেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং তা কাযা করতে হবে। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক: ৭৩৮০)
মলদ্বারের ভেতর ওষুধ বা পানি ইত্যাদি গেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রাযি. থেকে বর্ণিত-
ذكر عنده الوضوء من الطعام، قال الأعمش مرة والحجامة للصائم، فقال : إنما الوضوء مما يخرج وليس مما يدخل، وإنما الفطر مما دخل وليس مما خرج.
শরীর থেকে (কোনো কিছু) বের হলে অযু করতে হয়, প্রবেশ করলে নয়। পক্ষান্তরে রোযা এর উল্টো। রোযার ক্ষেত্রে (কোনো কিছু শরীরে) প্রবেশ করলে রোযা ভেঙ্গে যায়, বের হলে নয়। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪০২)
ولو بالغ في الاستنجاء حتی بلغ موضع الحقنۃ فسد۔ (شامي ۳؍۳۶۹ زکریا)
সারমর্মঃ যদি ইস্তেঞ্জার ক্ষেত্রে মুবালাগাহ করা হয়,এমনকি হাকনার স্থান পর্যন্ত পৌছে যায়,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
ولو أدخل إصبعہ في إستہٖ والمرأۃ في فرجہا لا یفسد، إلا إذا کانت مبتلۃ بالماء أو الدہن فحینئذٍ یفسد لوصول الماء أو الدہن۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۲۰۴)
সারমর্মঃ
যদি কেহ পিছনের রাস্তায় আঙ্গুল প্রবেশ করে,বা কোনো মহিলা গুপ্তাঙ্গের ভিতর আঙ্গুল প্রবেশ করে,যদি সেটি পানি,তৈল দ্বারা ভেজা হয়ে থাকে,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
وہو أن ما دخل في الجوف إن غاب فیہ فسد وہو المراد بالاستقرار، وإن لم یغب؛ بل بقي طرف منہ في الخارج أو کان متصلاً بشيء في الخارج لا یفسد لعدم استقرارہٖ، ولو مبتلاً فسد لبقاء شيء من البلۃ في الداخل۔ (شامي ۳؍۳۶۹ زکریا)
সারমর্মঃ
যদি কোনো কিছু প্রবেশ করানো হয়,সেটি যদি ভেজা হয়,তাহলে সেটি বের করলেও রোযা ভেঙ্গে যাবে,কারন ভেজার কিছু অংশ তার ভিতরে অবশিষ্ট রয়েছে।
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি সাপোজিটার তিন ইঞ্চি অতিক্রম করে,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
তবে এতে শুধু কাজা ওয়াজিব হবে,কাফফারা ওয়াজিব হবেনা।
,
,
তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মত হলোঃ
রমযানের দিনের বেলায় সাপোজিটরী ব্যবহার করলে রোযা ভঙ্গ হবে না। অনুরূপভাবে রোযাদারকে যদি ডুশ দিতে হয় সেটাও রোযা ভঙ্গকারী নয়। কেননা এটার ব্যবহার রোযা ভঙ্গকারী হওয়ার পক্ষে কোন দলিল নেই। তাছাড়া এগুলো পানাহার নয় কিংবা পানাহারের পর্যায়ভুক্তও নয়।
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া ‘আল-ইখতিয়ারাত’ গ্রন্থে (পৃষ্ঠা-১৯৩) বলেন:
সুরমা লাগানো কিংবা ইনজেকশন (উদ্দেশ্য হচ্ছে ডুশ) রোযা ভঙ্গ করবে না।... এটি কিছু কিছু আলেমের অভিমত।