আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
18 views
ago in সালাত(Prayer) by (5 points)
1.eshar namaj er shesh shomoy ki tahajjuder age porjontho thake?

Exam time e ba pray shomoy ei salth ta late hoye jay,11.30/12tay aday korle ki namaj kaja hoye jabe?

2.fojor jodi miss hoye jay,alarm diye raka and 100%namaj aday korar nioth thakle,ghum theke ute ki sunnah shoho aday korbo naki shudu foroj aday korlei hobe?r ei kethre ki gunah hobe.mashe 1/2din emon hoye jaithese..

3.kuran telawathe onekgula adob ase,kinthu ami pray shomoy phoner app theke oju chara telawath kori,jemon rathe mulk abong onno kunu ayath. Telawather shomoh matay orna na thakle ki gunah hobe.

4.jader gibath korechi,tader mone nei ba oporichitho kunu bekthir, jodi porichitho bakthider kache khoma cheye nei,thaile ki jaderk chini na,giboth kore felsi,,sheita allah maf kore diben?

1 Answer

0 votes
ago by (658,410 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
https://www.ifatwa.info/8435/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী ইশার নামাযের সময় পশ্চিমাকাশের লালিমা দূরিভূত হয়ে যে সাদা আভা দেখা দেয় তা দূরিভূত হবার পর থেকে নিয়ে রাতের তিন ভাগের এক ভাগের মাঝে পড়া মুস্তাহাব।

তিনভাগ অতিক্রান্ত হবার পর থেকে নিয়ে অর্ধেক রাত পর্যন্ত পড়া জায়েজ। এতে মাকরুহ হবেনা।

আর অর্ধেক রাত থেকে নিয়ে সুবহে সাদিক পর্যন্ত পড়া মাকরূহের সাথে জায়েজ। অর্থাৎ নামায আদায় হয়ে যাবে। বাকি বিলম্ব করার কারণে মাকরূহ হবে। {হেদায়া-১/৫০-৫১, শরহে নুকায়া-১/৫৩-৫৫, কাবীরী-২২৯-২৩৫. তামহীদ-৮/৯২}

★সুবহে সাদিক তথা তাহাজ্জুদ,সাহরীর শেষ সময় পর্যন্ত দেড়ি করে ইশার নামাজ পড়া জায়েয আছে।  
 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
عَنْ عُبَيْدِ بْنِ جُرَيْجٍ , أَنَّهُ قَالَ لِأَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: مَا إِفْرَاطُ صَلَاةِ الْعِشَاءِ؟ قَالَ: «طُلُوعُ الْفَجْرِ»

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হল, ইশার নামাযের সময় কখন শেষ হয়? তখন তিনি বলেন, ফজরের সময় হলে। {তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৯৫৯, সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৭৬২}
,
★তবে অর্ধেক রাত অতিবাহিত হওয়ার পর ইশার  নামাজ পড়া মাকরুহ।
অর্থাৎ এক্ষেত্রে যদিও ইশার নামাজ আদায় হয়ে যাবে,তবে মাকরুহ হবে।

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-

وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ حِينَ يَغِيبُ الْأُفُقُ، وَإِنَّ آخِرَ وَقْتِهَا حِينَ يَنْتَصِفُ اللَّيْلُ،

নিশ্চয় ইশার নামাযের সময় শুরু হয় পশ্চিমাকাশের শাদা আভা দূরিভূত হওয়া থেকে। আর শেষ সময় হল অর্ধেক রাত অতিক্রান্ত হলে। [মানে এটি মাকরূহ ছাড়া মুবাহ সময়, এরপরও সময় থাকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত, কিন্তু সেটি মাকরূহ ওয়াক্ত, তাই সময় শুধু অর্ধেক রাত পর্যন্ত বলা হয়েছে] 

{মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৭১৭২, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১৫১, তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৯৪১}

আরো জানুনঃ 
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
সুবহে সাদিক তথা তাহাজ্জুদ,সাহরীর শেষ সময় পর্যন্ত ইশার নামাজ এর ওয়াক্ত থাকে।
এক কথায় ফজরের ওয়াক্তের আগ পর্যন্ত ইশার নামাজ এর ওয়াক্ত থাকে।

(০২)
আপনি যদি সূর্য উদয়ের আগেই ঘুম থেকে উঠতে পারেন, সেক্ষেত্রে তো তখন পর্যন্ত ফজরের ওয়াক্ত থাকেই।

তাই এমতাবস্থায় আপনি ফজরের সুন্নত ও ফজরের ফরজ নামাজ আদায় করে নিবেন।

আপনি যদি সূর্য উদয়ের পরে ঘুম থেকে উঠেন, সেক্ষেত্রে নিষিদ্ধ ওয়াক্ত অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর থেকে নিয়ে যোহরের ওয়াক্তের আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যদি আপনি ফজরের কাজে আদায় করতে চান, সেক্ষেত্রে ফজরের সুন্নত ও ফজরের ফরজ উভয়টির কাজা আদায় করে নিবেন।

আর যদি যোহরের ওয়াক্ত আসার পর বা অন্য কোন ওয়াক্তে উক্ত ফজরের কাজা আদায় করতে চান, সে ক্ষেত্রে শুধু ফরজ নামাজ এর কাজা আদায় করবেন, সুন্নত নামাজের কাজা আদায় করতে হবে না।

হাজারো চেষ্টার পরেও যেহেতু মাসে ২/১ দিন ফজরের নামাজ কাজা হয়ে যায়,তাই আল্লাহ তায়ালা কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন।

তবে অবশ্যই যোহরের ওয়াক্তের আগেই আপনি ফজরের ফরজ ও সুন্নতের কাজা আদায় করে নিবেন।

(০৩)
মাথায় ওড়না না থাকলে গুনাহ হবেনা।
তবে অযু ছাড়া এভাবে তিলাওয়াত করা জায়েজ নেই।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৪)
আপনি পরিচিতদের থেকে ক্ষমা চেয়ে নিবেন, আর যাদেরকে আপনি চিনেন না, সেক্ষেত্রে আল্লাহর কাছে এভাবে ক্ষমা চেয়ে নিবেন যে হে আল্লাহ আমি যাদের যাদের গীবত করেছি, আপনি তাদের সকলকে ক্ষমা করে দেন এবং আমাকেও ক্ষমা করে দেন, ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 39 views
0 votes
1 answer 160 views
asked Oct 30, 2024 in সালাত(Prayer) by Samia firoz (22 points)
0 votes
1 answer 184 views
asked Sep 10, 2024 in সালাত(Prayer) by Leil (68 points)
0 votes
1 answer 260 views
0 votes
1 answer 282 views
asked Jan 2, 2023 in সালাত(Prayer) by Bakar (27 points)
...