আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
13 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
১. আসসালামু আলাইকুম।
আমার হাজবেন্ড একটা প্রাইভেট হস্পিটালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত। যেকোন একটা ঔষধ কোম্পানি থেকে ওর নামে ৩০০০/- আসে।টাকাটা হেড অফিস থেকে আসার কারণে এটা ফেরত দেওয়ার কোনো ওয়ে নাই আপাতত।রিজিওনাল ম্যানেজার ওকে জানায় যে ওরা মাঝে মাঝে যে গিফট পাঠায় সেটার ঝামেলা এড়াতে এই টাকা পাঠানোর সিস্টেম করেছে।টাকাটা নিয়মিত আসবে না।হয়তো ২/১ বছরে একবার।গিফট ও ২/১ বছরে একবারই আসতো,এবং ২-৩ হাজার রেঞ্জের মধ্যেই গিফট দেওয়া হতো
এই টাকাটা কি নেওয়া হারাম হবে?এখন এই টাকার ক্ষেত্রে শরয়ী বিধান কি?

২. পোস্ট বড় হওয়ার জন্য দুঃখিত। আসসালামু আলাইকুম। আমার বয়স ২২ বছর।আমার মা আমার সাথে ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করে।ছোটবেলা থেকেই যেইসব গালি বুঝতসম না তা দেয়। ছোটবেলায়ও মারত, এখনও।ছোটবেলায় একবার সে রিমোট চাইছে আমি দেইনি বলে আমার মা আমাকে লাথি দিছে।সে নিয়মিত স্টার জলসা জি বাংলার সিরিয়াল, সিনেমাও দেখতো।এইজন্য।আমার বড় বোন অনেক অবাক হইছিল। কিন্তু কিছু বলে নাই।আজকেও সে আমাকে অকারনে সবচেয়ে খারাপ গালি দিয়েছে।
আমি আজকে সে যেমন যোগ্য তাই করেছি।তবে সে জন্মদাত্রী বলে ইসলামে তার সব মাপ।
আর আমার করুণ পরিনতি।তাহলে আল্লাহ আমাকে এমন মা কোনো দিয়েছেন? আমি আমার মাকে আগেও ভালোবাসতাম এখনও। আমার জীবনে সবথেকে খারাপ আমার সাথে হয়।কিন্তু আমার মনে হয় তার জন্যই আমার সাথে এমন খারাপ হয়।আমি ছোটবেলা থেকেই নামাজ,রোজা মাসনুন আমল আলহামদুলিল্লাহ করি।আল্লাহর ভয়ে অনেক পাপ থেকে নিজেকে বিরত রাখছি।মানুষের সাথে অনেক ভালো ব্যবহার করি।কিন্তু মানুষই আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে।উল্লেখ্য আমি জিন, যাদু,বদনজর,হাসাদে আক্রান্ত।ইসলামের আলোকে সঠিক ব্যাখ্যা দিয়ে উপকৃত করবেন।
আগের পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছেন কেনো?সমস্যা দেখেইতো লিখি।

৩. আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আমি ২১ বছর বয়সে এসে জানতে পেরেছি আমার বড়ো ফুফু আমার দুধ মা লাগেন। এতদিন জানতাম না আর না কেউ আমাদের বলতেন বা বলেছেন। কোনো একটা কথা প্রসঙ্গে জানতে পেরেছি। আর আমার কাজিন ও সে যেহেতু জানতো না আমিও জানতাম না অন্য নজরে দেখতো।এখন তো আমি আমার কাজিনের সামনে যেতে পারবো তাই না যেহেতু সে আমার দুধ ভাই লাগে? এখন ফুফুর হাসব্যান্ড কি আমার জন্য মাহরাম নাকি গায়রে মাহরাম?

৪. আসসালামু আলাইকুম আমার একটা প্রশ্ন ছিল আমরা যে কোরআান  শেখাই বাচ্চাদের পরাই টিউশন করাই ত তারা আমাদের কে যে সেলারি টা দেন সেটা হালাল কি না আমরা ত জানি না একটা কথা হলো তাদের মধ্যে ওনেক গার্ডিয়ান বেংকে জব করে তো আমাদের যে সেলারি টা দেন ঔ টা কি হালাল কি না জানার ছিলো।

৫. ইসলামে তবলা বাজানোর বিধান কি?
একজন বলেছে জায়েয,, কতটুকু সত্য?

1 Answer

0 votes
ago by (657,480 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/13447/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ- 
ﻭَﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﻭَﺗُﺪْﻟُﻮﺍْ ﺑِﻬَﺎ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﺤُﻜَّﺎﻡِ ﻟِﺘَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﻓَﺮِﻳﻘًﺎ ﻣِّﻦْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻝِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﺑِﺎﻹِﺛْﻢِ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢْ ﺗَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ

তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। এবং জনগণের সম্পদের কিয়দংশ জেনে-শুনে পাপ পন্থায় আত্নসাৎ করার উদ্দেশে শাসন কতৃপক্ষের হাতেও তুলে দিও না।

অপর আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ- 
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ

হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না।

★কোন রোগী ডাক্তারের কাছে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে ব্যবস্থা পত্র আনতে গেলে ইসলামি ফিকহের পরিভাষায় রোগিকে বলা হবে মুস্তাজির -নিয়োগকর্তা বা অর্থ দাতা)। আর ডাক্তারকে বলা হবে আজির বা কর্মের বিনিময়ে অর্থ গ্রহীতা।
এক্ষেত্রে ইসলাম বলবে রোগির দায়িত্ব হল ডাক্তারকে তার অবস্থা জানানো এবং নির্ধারিত ভিজিট প্রদান করা। পক্ষান্তরে ডাক্তারের দায়িত্ব হলো রোগীর জন্য প্রযোজ্য চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র প্রদান করা। 
মেডিকেল টেস্টগুলো ডাক্তাররা করিয়ে থাকেন তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব (অর্থাৎ, রোগ নির্ণয় করে প্রেসক্রিপশান দেয়া) যথাযথভাবে আদায়ের সুবিধার্থে, তদ্রুপ কোন ল্যাব বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করালে ভালো হবে, তা নির্ধারণ করে দেয়া ডাক্তারেরই পেশাগত দায়িত্ব। নির্ধারিত ভিজিটের বিনিময়ে তিনি এসব কাজগুলো পূর্ণাঙ্গরূপে করে দিবেন।
উপরোক্ত বিশ্লেষণের নিরিখে একথাই প্রমাণিত হয় যে, মেডিকেল টেস্টে রোগী প্রেরণকারী ডাক্তারের জন্য কমিশন গ্রহণের কোন সুযোগ নেই। কারণ এক্ষেত্রে কমিশন গ্রহণের অর্থ হলো, নিজ দায়িত্ব সমাধানের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাজের জন্য অন্যের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করেছেন। অথচ এ দায়িত্ব পূর্ণ করার জন্য তিনি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ গ্রহণ করছেন। তাই হাসপাতাল কর্তৃক ডাক্তারদের প্রদত্ত এই কমিশন শরিয়ত নিষিদ্ধ উৎকোচের অন্তর্ভুক্ত হবে। সূত্র : ইমদাদুল ফাতাওয়া ভলিয়ম ৩ পৃ:৪১০/ ফাতাওয়া রশিদিয়া পৃ:৫৫৮

অনুরূপ, ওষুধ কোম্পানি তাদের ওষুধের নাম লেখার জন্য ডাক্তারদের যে দামি-দামি জিনিস পত্র, নগদ অর্থ ইত্যাদি দেওয়া হয় তাও শরিয়ত সম্মত নয়। কারণ এটিও শরিয়তের দৃষ্টিতে বিনিময়হীন উৎকোচের শামিল। কেননা রোগির জন্য কোন গ্রুপের এবং কোন কোম্পানীর ওষুধ সর্বাধিক কার্যকরী তা লিখে দেয়া একজন চিকিৎসকের পেশাগত দায়িত্ব। অবশ্য বিভিন্ন ছোটখাট স্টেশনারি সামগ্রী নেয়া যেতে পারে।
যেমন : কলম, প্যাড ইত্যাদি। এগুলোতে ঔষধ কোম্পানির ট্রেডমার্ক এবং উৎপাদিত পণ্যের ট্রেড ন্যাম ছাপানো থাকে। মূলত এগুলো কোম্পানির বিজ্ঞাপনের কাজ দেয়। তাছাড়া পণ্যগুলো এজন্যে নয় যে, সেগুলো বিক্রি করে অনেক টাকা উপার্জন করা যাবে। তাই এসব বিবেচনায় স্টেশনারি সামগ্রী গ্রহণ করা বৈধ।
সূত্র : বাস্তব জীবনে হারামের অনুপ্রবেশ
আল্লামা তাকি উসমানি দাঃবাঃ লিখিত ।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীন বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই টাকা গ্রহণ করা জায়েজ হবেনা।

এক্ষেত্রে সেই টাকা উক্ত কোম্পানিকে ফিরিয়ে দিতে হবে, ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না হলে সেই টাকা গরিব মিসকিনদের মাঝে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিতে হবে।

(০২)
"সে জন্মদাত্রী বলে ইসলামে তার সব মাফ,
আর আপনার করুণ পরিনতি"

একথা সহীহ নয়, ইসলাম এ ধরনের কথা কোন ক্ষেত্রেই বলেনি। বরং তিনি আপনার উপর যেহেতু জুলুম করেছেন তাই এর শাস্তি তাকে অবশ্যই কিয়ামতের ময়দানে ভোগ করতে হবে।

আপনি যেহেতু জীন, যাদু,বদনজর,হাসাদে আক্রান্ত,তাই নিম্নোক্ত আমল গুলি করার পরামর্শ থাকবেঃ-

আমরা আপনার কোনো পোস্ট ডিলিট করে দেইনি। আপনি কি আমাদের সাইটে সত্যি প্রশ্ন করেছিলেন সে প্রশ্নের লিংক বা নাম্বার এখানে দিলে ভালো হতো।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি আপনার কাজিনের সামনে যেতে পারবেন।

তার সাথে আপনার বিবাহ হারাম।

ফুফুর হাসব্যান্ড আপনার জন্য মাহরাম।
তবে আপনার ফুফুর হাসব্যান্ড যদি মারা যায় বা তালাক দেয়,আর আপনার ফুফু যদি অন্যত্রে বিবাহ বিসে, সেক্ষেত্রে আপনার ফুফুর ২য় হাসব্যান্ড আপনার জন্য মাহরাম হবেনা,বরং সে আপনার জন্য গায়রে মাহরাম।

(০৪)
এক্ষেত্রে আপনার জন্য বেতন গ্রহণ হালাল।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৫)
স্পষ্ট হারাম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...