ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- যদি ঐ পাত্র দ্বীনদার হয়, তাহলে আপনার বান্ধবী অভিভাবকের মাধ্যমে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারে। অথবা আপনার বান্ধবী স্বয়ং নিজেও তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারবে। কেননা আমরা পূর্বের একটি ফাতওয়ায় বলেছি যে,
বিয়ের প্রস্তাব নারী পুরুষ যে কেউ দিতে পারবে।পাত্র-পাত্রী তাদের যে কেউ বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারবে।তারা অভিবাবকের মাধ্যমে বা সরাসরি একে অন্যকে বিয়ের প্র্রস্তাব দিতে পারবে।বিয়ের প্রস্তাব প্রদাণের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ নিয়ে কোনো ভেদাভেদ নাই। পাত্র পক্ষ বা পাত্রী পক্ষ যে কেউ বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারবে।পুরুষ সে তার পছন্দ-অপছন্দকে প্রকাশ করতে পারে,ঠিকতেমনি নারীও তার পছন্দ-অপছন্দকে প্রকাশ করতে পারবে।এবং বিয়ের প্রস্তাবও দিতে পারবে।
নারী নিজের পছন্দ অপছন্দ কে সে প্রকাশ করতে পারবে।
হজরত মুসা আলাইহিস সালাম যখন মাদাইয়ানে গেলেন তখন দুই নারীর পশু জন্তুকে পানি খাইয়ে দিয়েছিলেন। পরহেজগার দুই মেয়ের একজন নিজ থেকেই পিতার কাছে হজরত মুসা আলাইহিস সালামকে বিয়ে করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। আল্লাহ তাআলা সুরা কাসাসে তা এভাবে তুলে ধরেছেন-
قَالَتْ إِحْدَاهُمَا يَا أَبَتِ اسْتَأْجِرْهُ إِنَّ خَيْرَ مَنِ اسْتَأْجَرْتَ الْقَوِيُّ الْأَمِينُ
বালিকাদ্বয়ের একজন বলল পিতাঃ তাকে চাকর নিযুক্ত করুন। কেননা, আপনার চাকর হিসেবে সে-ই উত্তম হবে, যে শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত।(সুরা কাসাস : আয়াত ২৬)
নারীরা তারা তাদের বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারবে । এ সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলার বাণী-
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَحْلَلْنَا لَكَ أَزْوَاجَكَ اللَّاتِي آتَيْتَ أُجُورَهُنَّ وَمَا مَلَكَتْ يَمِينُكَ مِمَّا أَفَاء اللَّهُ عَلَيْكَ وَبَنَاتِ عَمِّكَ وَبَنَاتِ عَمَّاتِكَ وَبَنَاتِ خَالِكَ وَبَنَاتِ خَالَاتِكَ اللَّاتِي هَاجَرْنَ مَعَكَ وَامْرَأَةً مُّؤْمِنَةً إِن وَهَبَتْ نَفْسَهَا لِلنَّبِيِّ إِنْ أَرَادَ النَّبِيُّ أَن يَسْتَنكِحَهَا خَالِصَةً لَّكَ مِن دُونِ الْمُؤْمِنِينَ قَدْ عَلِمْنَا مَا فَرَضْنَا عَلَيْهِمْ فِي أَزْوَاجِهِمْ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ لِكَيْلَا يَكُونَ عَلَيْكَ حَرَجٌ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।(সূরা আহযাব-৫০) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/10956
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বান্ধবী আল্লাহর কাছে নিজ ভালোর জন্য দু’আ করতে বলবেন।