আপনার বর্ণনা অনুযায়ী—আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে ঈশার নামাজ আদায় করেননি,আবার ফজরের জন্য জেগেছিলেন, কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে পড়েননি—এটি ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে খুব গুরুতর বিষয়।
আপনার এহেন কাজে মহান আল্লাহ তায়ালা আপনার উপর সন্তুষ্ট নন।
কুরআন ও হাদিসে বারবার বলা হয়েছে যে, নামায ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া আল্লাহর কাছে বড় গুনাহ। রাসূল ﷺ বলেছেন:
“আমাদের ও তাদের (অবিশ্বাসীদের) মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত; যে একে ছেড়ে দেয়, সে কুফরের কাছাকাছি চলে যায়।”
(তিরমিজি, আহমদ)
এখানে “ইচ্ছাকৃতভাবে না পড়া” মানে হলো সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নামায ত্যাগ করা। এ ধরনের কাজ আল্লাহর অসন্তুষ্টি ডেকে আনে। তবে এটা সরাসরি প্রমাণ নয় যে আল্লাহ “রেগে আছেন”—বরং এটা স্পষ্ট ইঙ্গিত যে আপনি তাঁর হুকুম লঙ্ঘন করেছেন এবং তওবা করা জরুরি।
এখন করণীয়
আল্লাহর কাছে আন্তরিক তওবা করুন—হৃদয় থেকে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চান।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারীদের ভালোবাসেন।” (সূরা আল-বাকারা 2:222)
অর্থাৎ, ভুল করলেও যত দ্রুত সম্ভব আন্তরিকভাবে ফিরে আসা—এটাই আপনার প্রতি আল্লাহর রহমতের দরজা খুলে দেয়।
ছেড়ে দেওয়া নামায গুলি কাজা করে নিন।
নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করুন—যতই কষ্ট হোক, আর ইচ্ছাকৃতভাবে নামায মিস করবেন না।
ফজরের সময় শয়তানের কুমন্ত্রণাকে জয় করতে ঘুম থেকে উঠেই সঙ্গে সঙ্গে অজু শুরু করুন—এটাই সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।