আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
11 views
ago in সালাত(Prayer) by (2 points)
ইশার ওয়াক্ত হয়ে গেছে দেরিতে পরবো কিন্তু তারপর বাসার ঝামেলা বা রাগারাগি বা কোনো কারণ ছাড়াই শুয়ে পড়লাম আবার ফজর এ টের পেলাম কিন্তু সজাগ থাকার পরেও আজ পরবেনা বলে ঘুমিয়ে গেলাম। নামাযের সুযোগ পেয়েও না পড়া এটা কি রব আমার উপর রাগান্বিত হয়ে আছে এমন কিছু। কারোর সাথে রাগারাগি হওয়ার পরও শান্ত থাকা মনে কোনো ভার অনুভূত না হওয়া। এইগুলো কি রব আমাকে ছেড়ে দিয়েছেন এমন কিছু..?
আমি আমার রবকে ভালোবাসি কিন্তু ৫ ওয়াক্ত সালাত পড়তে পারিনা যিকির করতে পারিনা, মানুষের কটু কথায় বারবার ভেঙে যায়। আর সব আেয়ে বড় কথা আমার নিজেকে সব থেকে একা লাগে। কেউ পাশে নেই থাকবেনা এমন মনে হয়। এগিলো কি সালাত ঠিকমতো না পড়ার কারণে?

1 Answer

0 votes
ago by (656,550 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

আপনার বর্ণনা অনুযায়ী—আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে ঈশার নামাজ আদায় করেননি,আবার ফজরের জন্য জেগেছিলেন, কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে পড়েননি—এটি ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে খুব গুরুতর বিষয়।
আপনার এহেন কাজে মহান আল্লাহ তায়ালা আপনার উপর সন্তুষ্ট নন।

কুরআন ও হাদিসে বারবার বলা হয়েছে যে, নামায ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া আল্লাহর কাছে বড় গুনাহ। রাসূল ﷺ বলেছেন:

“আমাদের ও তাদের (অবিশ্বাসীদের) মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত; যে একে ছেড়ে দেয়, সে কুফরের কাছাকাছি চলে যায়।”
(তিরমিজি, আহমদ)

এখানে “ইচ্ছাকৃতভাবে না পড়া” মানে হলো সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নামায ত্যাগ করা। এ ধরনের কাজ আল্লাহর অসন্তুষ্টি ডেকে আনে। তবে এটা সরাসরি প্রমাণ নয় যে আল্লাহ “রেগে আছেন”—বরং এটা স্পষ্ট ইঙ্গিত যে আপনি তাঁর হুকুম লঙ্ঘন করেছেন এবং তওবা করা জরুরি।

এখন করণীয়
আল্লাহর কাছে আন্তরিক তওবা করুন—হৃদয় থেকে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চান।

আল্লাহ তাআলা বলেন:
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারীদের ভালোবাসেন।” (সূরা আল-বাকারা 2:222)

অর্থাৎ, ভুল করলেও যত দ্রুত সম্ভব আন্তরিকভাবে ফিরে আসা—এটাই আপনার প্রতি আল্লাহর রহমতের দরজা খুলে দেয়।

ছেড়ে দেওয়া নামায গুলি কাজা করে নিন।

নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করুন—যতই কষ্ট হোক, আর ইচ্ছাকৃতভাবে নামায মিস করবেন না।

ফজরের সময় শয়তানের কুমন্ত্রণাকে জয় করতে ঘুম থেকে উঠেই সঙ্গে সঙ্গে অজু শুরু করুন—এটাই সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। 

আপনার জন্য করনীয় জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...