আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
461 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (18 points)
আসসালামুআলাইকুম প্রিয় হুজুর।

আমি উপার্জন নিয়ে খুব একটা চিন্তায় আছি।

কসমেটিকস,কাপড় ইত্যাদির ব্যবসায় জড়নোর ইচ্ছা ছিল কিন্তু আমাদের দেশের মেয়েরা অধিকাংশই পর্দা করে না এই জন্য তাদের কাছে এইসব বিক্রিতে নাকি পাপ কাজে সাহায্য হবে এই জন্য এই পেশা থেকে দূরে আসছি।

একটা মুদীর দোকান দিছি এখন।তো এখানেও ই-কোড সম্বলিত ঝামেলা।আপনাদের ফতোয়া সাইট সহ আরো কিছু ফতোয়া সাইট থেকে এ বিষয়ে মোটামুটি ধারণা পেলেও পুরোটা ক্লিয়ার না।

দোকানে যেসব মাল আছে তার ই-কোড তিন ধরণের উপাদানের নির্দেশ করে।হালাল,হারাম,মাসবুহ।কিছু ফতোয়া দেখলাম যে ইকোডে যে উপাদান নির্দেশ করে তা মূলত হালাল খাবারের সাথেই অল্প মিশ্রিত করা হয়।যেমন বিস্কিট,নুডলস।ইত্যাদি মূলত হালাল।তাই ইকোড হারাম হলেও প্রক্রিয়াজাতের কারণে হারামের মৌলিকতা না থাকার কারনে এইগুলা হালাল আর হালাল জিনিসের বিক্রয় ও হালাল।কিন্তু আবার বলা হচ্ছে সন্দেহ থেকে দূরে থাকা উত্তম।

তো আমি হারাম ই কোড সম্বলিত পন্য উঠাই নাই।কিন্তু মাসবুহ পণ্য উঠাইতে হয়ছে কারণ অনেক পন্যই মাসবুহ সম্বলিত ইকোড থাকে।দোকান চালাইতে গেলে এইগুলা রাখাই লাগে।ই কোড ভেরিফায়ার এ দেখলাম মাসবুহ গুলা হালাল পন্যের মাধ্যমেও করতে পারে আবার হারাম পন্যের মাধ্যমেও।আমাদের দেশ মুসলিম হিসেবে আমার তো বিপরীত প্রমান না পাওয়া পর্যন্ত ভালো ধারনা রাখা উচিত।।আর সন্দেহের কারণে হালাল খাদ্য বিস্কিট,নুডলস ইত্যাদি তো হারাম বলাও ঠিক না

এখন আমার প্রশ্ন হলো এমন পরিস্থিতিতে আমি কি মাসবুহ ই কোড সম্বলিত খাবার পন্য বিক্রি করতে পারবো??

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ফাতাওয়া শামীতে বর্ণিত আছে,
ﻭﻟﻮ ﺁﺟﺮ ﻧﻔﺴﻪ ﻟﻴﻌﻤﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﻜﻨﻴﺴﺔ ﻭﻳﻌﻤﺮﻫﺎ ﻻ ﺑﺄﺱ ﺑﻪ ﻷﻧﻪ ﻻ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﻓﻲ ﻋﻴﻦ ﺍﻟﻌﻤﻞ
যদি কেউ কোনো গির্জায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে,অথবা টাকার বিনিময়ে গির্জা নির্মাণ করে দেয়, তাহলে এতে তার কোনো গুনাহ হবে না। কেননা এখানে মূল কাজে কোনো গুনাহ নাই।
(ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ٦\٣٩٢ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﻈﺮ ﻭﺍﻹﺑﺎﺣﺔ » ﻓﺼﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﻴﻊ)
(রদ্দুল মুহতার,৬/৩৯২)
وصح بيع غير الخمر و مفاده صحة بيع الحشيشة الخ
মদ ব্যতীত অন্যান্য নেশদ্রব্য বিক্রি করা বৈধ,সারমর্ম হলঃহাশীশ(একপ্রকার তামাক দ্রব্য) বিক্রিও বৈধ।(রদ্দুল মুহতার,৬/৪৫৪)
ফাতাওয়ায়ে উসমানী, ৩/৮৯,তে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
(তানক্বিহু ফাতাওয়াল হামিদিয়্যাহ,৬/৩৬৬।মাজ্বমুআতুল ফাতাওয়া,২/২৭।ফাতাওয়া রশিদিয়্যাহ, ৪৮৮।ক্বিফায়াতুল মুফতী, ৯/১৪৮,ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-১৬/৫৬১) 
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/287

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মদ ব্যতীত যেকোনো প্রকার খাদ্য চায় হালাল হোক বা হারাম হোক, আপনি বিক্রয় করতে পারবেন। সুতরাং মাসবুহ ই কোড সম্বলিত খাবার পন্য বিক্রি করতে পারবেন। তবে কিছু সংখ্যক উলাময়ে কেরাম হারাম কাজে সাহায্য হওয়ার অজুহাতে নাজায়েয বলে থাকেন।

বর্তমানে পালনীয় ফাতাওয়া হল, মদ ব্যতীত যেকোনো প্রকার খাদ্য চায় হালাল হোক বা হারাম হোক, বিক্রি করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...