ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইবনে আবেদীন শামী রাহ,কতটুকু জ্ঞানার্জন ফরযে কেফায়া শীর্ষক আলোচনা করতে যেয়ে এক পর্যায়ে বলেনঃ
وَأَمَّا فَرْضُ الْكِفَايَةِ مِنْ الْعِلْمِ، فَهُوَ كُلُّ عِلْمٍ لَا يُسْتَغْنَى عَنْهُ فِي قِوَامِ أُمُورِ الدُّنْيَا كَالطِّبِّ وَالْحِسَابِ.........................إلي أن قال............................................................................... وَالْعِلْمِ بِأَعْمَارِهِمْ وَأُصُولِ الصِّنَاعَاتِ وَالْفِلَاحَةِ كَالْحِيَاكَةِ وَالسِّيَاسَةِ وَالْحِجَامَةِ.
ফরযে কেফায়া মূলক জ্ঞানার্জন হচ্ছে।
(কেফায়া মানে যা কিছুসংখ্যক মুসলমান আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যায়)
ঐ সমস্ত জ্ঞান যা পৃথিবীতে জীবনাতিপাতের ভিত্তি যেমনঃচিকিৎসাবিজ্ঞান,হিসাববিজ্ঞান,............
এবং শিল্পবিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, র্রাষ্টবিজ্ঞান,ও হেজমাত তথা তৎকালিন এক প্রকার চিকিৎসাবিজ্ঞান।
(দ্বীনের ফরয জ্ঞানার্জনের পর যা অর্জন করা কিছু সংখ্যক মুসলমানের উপর ফরয)
রদ্দুল মুহতার,১/৪২;
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নামায রোযা ইত্যাদি শরীয়তের জ্ঞান শিক্ষা করা ব্যক্তিগতভাবে সবার উপর ফরয। যাকে ফরযে আইন বলা হয়ে থাকে। তবে সমাজবিজ্ঞান, সমাজকর্ম,অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান,বাংলা,ইংরেজি এসবকিছুই রাষ্ট্র বা সমাজের জন্য জরুরী। সুতরাং কিছু সংখ্যক ব্যক্তির জন্য এগুলো শিক্ষা করা ফরযে কেফায়া। পরিবেশ পরিস্থিতি নিরাপদ হলে, ঈমান আকিদা বাচিয়ে লেখাপড়া করা সম্ভব হলে, আপনি এগুলো শিখতে পারবেন।