আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
14 views
ago in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)
১. রোগ আসে শয়তানের পক্ষ থেকে আর শিফা আসে আল্লাহর তরফ থেকে তাহলে আমাদের সকল প্রকার রোগ বালাই কি শয়তানের পক্ষ থেকে কি আসে?

২. আবার আরেক জায়গায় দেখলাম রোগ বালাই দিয়ে আল্লাহ পরীক্ষা করে, গুনাহ মাফ করে, সওয়াব ও মর্যাদা বৃদ্ধি করে একটু বিষটা  বুঝিয়ে বলবেন?

1 Answer

0 votes
ago by (652,350 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/107197/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

وَلَنَبْلُوَنَّكُم بِشَيْءٍ مِّنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ ۗ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ

এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।

الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُم مُّصِيبَةٌ قَالُوا إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ

যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো।

أُولَـٰئِكَ عَلَيْهِمْ صَلَوَاتٌ مِّن رَّبِّهِمْ وَرَحْمَةٌ ۖ وَأُولَـٰئِكَ هُمُ الْمُهْتَدُونَ

তারা সে সমস্ত লোক, যাদের প্রতি আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ ও রহমত রয়েছে এবং এসব লোকই হেদায়েত প্রাপ্ত। (সূরা বাকারা-১৫৫-১৫৬-১৫৭)

আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।

عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِعَبْدِهِ الْخَيْرَ عَجَّلَ لَهُ الْعُقُوبَةَ فِي الدُّنْيَا وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِعَبْدِهِ الشَّرَّ أَمْسَكَ عَنْهُ بِذَنْبِهِ حَتَّى يُوَفَّى بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ "

 তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা যখন তার বান্দার মঙ্গল সাধনের ইচ্ছা করেন তখন দুনিয়ায় তাকে অতি তাড়াতাড়ি বিপদ-আপদের সম্মুখীন করা হয়। আর যখন তিনি কোন বান্দার অকল্যাণের ইচ্ছা করেন তখন তিনি তার গুনাহের শাস্তি প্রদান থেকে বিরত থাকেন। অবশেষে কিয়ামতের দিন তাকে এর পরিপূর্ণ আযাবে তাকে নিপতিত করেন।(সুনানু তিরমিযি-২৩৯৯)

উলামায়ে কেরামগন বলেন, বিপদে পড়ে যেই বান্দা সবর করে,আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে, তার জন্য ঐ বিপদ রহমত স্বরূপ।আর যেই বান্দা না শুকরি করে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, তার জন্য ঐ বিপদ আযাব স্বরূপ।

শারীরিক অসুস্থতার কারণে যদি আসলেই ওযরবশত আগের চেয়ে ইবাদত কম করতে পারেন বা নামাযে কাযা হয়ে যায়,তবে যদি ধৈর্য ধারণ করেন,আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন,তাহলে এই অসুস্থতা আযাব হবেনা।

তবে নামাজ কাজা করার মতো ওযর না পাওয়া গেলে কঠিন,সেরকম কঠিন অসুস্থতা না থাকা সত্ত্বেও ইবাদত কম করলে বা ধৈর্য ধারণ না করলে, আল্লাহর এই ফায়সালার উপর সন্তুষ্ট না হয়ে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে সেক্ষেত্রে এই অসুস্থতা আল্লাহর আযাব হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন,
অসুস্থ হলে এই ভেবে ধৈর্য ধারন করবেন যে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে পরীক্ষা করছেন,সুতরাং ধৈর্য ধারণ করে পরীক্ষায় সফলতা অর্জন করতে হবে।
এই অসুস্থতাকে নিজের গুনাহ মাফ ও আখেরাতে নিজের মর্যাদা বৃদ্ধির কারন মনে করতে হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন,
(০১)
অসুস্থতা ও আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে শেফাও আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে শয়তানের এখানে কোন ক্ষমতা নেই।

(০২)
রোগ বালাই দিয়ে আল্লাহ পরীক্ষা করেন, গুনাহ মাফ করেন, সওয়াব ও মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।

এটি সঠিক কথা।

https://ifatwa.info/80266/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
অসুস্থতা আল্লাহর নেয়ামত,পাশাপাশি এটি  পরিক্ষা।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ لَنَبۡلُوَنَّکُمۡ بِشَیۡءٍ مِّنَ الۡخَوۡفِ وَ الۡجُوۡعِ وَ نَقۡصٍ مِّنَ الۡاَمۡوَالِ وَ الۡاَنۡفُسِ وَ الثَّمَرٰتِ ؕ وَ بَشِّرِ الصّٰبِرِیۡنَ ﴿۱۵۵﴾ۙ 

আর আমরা তোমাদেরকে অবশ্যই পরিক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা। আর আপনি সুসংবাদ দিন ধৈর্যশীলদেরকে।
(সুরা বাকারা ১৫৫)

কেউ অসুস্থ হলেই এই কথা ভাবা যাবে না যে, এটি তার গুনাহের ফসল। আমাদের প্রিয় নবী (সা.)-ও মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়েছেন।
,
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চেয়ে বেশি রোগ যন্ত্রণা ভোগকারী অন্য কাকেও দেখিনি। (বুখারি, হাদিস : ৫৬৪৬)

অসুস্থ হওয়ার পর ধৈর্য ধারন করলে আল্লাহ তায়ালা গুনাহ মাফ করেন।

আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে গেলাম। তখন তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি তো ভীষণ জ্বরে আক্রান্ত। তিনি বললেন, হ্যাঁ। তোমাদের দু’ব্যক্তি যতটুকু জ্বরে আক্রান্ত হয়, আমি একাই ততটুকু জ্বরে আক্রান্ত হই। আমি বললাম, এটি এ জন্য যে, আপনার জন্য দ্বিগুণ সওয়াব। তিনি বললেন, হ্যাঁ তাই। কেননা যেকোনো মুসলিম দুঃখ-কষ্টে পতিত হয়, তা একটা কাঁটা কিংবা আরো ক্ষুদ্র কিছু হোক না কেন, এর মাধ্যমে আল্লাহ তার গুনাহগুলোকে মুছে দেন, যেমন গাছ থেকে তার পাতাগুলো ঝরে পড়ে। (বুখারি, হাদিস : ৫৬৪৮)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, মুসলিম ব্যক্তির ওপর যে কষ্ট ক্লেশ, রোগ-ব্যাধি, উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা, দুশ্চিন্তা, কষ্ট ও পেরেশানি আসে, এমনকি যে কাঁটা তার দেহে ফোটে, এসবের মাধ্যমে আল্লাহ তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন। (বুখারি, হাদিস : ৫৬৪১)

★তবে শর্ত হলো ধৈর্য ধারন করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...