শরীয়তের বিধান হলো বালেগ বালেগাহ হওয়ার পর থেকে নামাজ রোযা ফরজ হয়।
★সুতরাং বালেগ হওয়ার পর থেকে যেসমস্ত নামাজ,রোযা আদায় করা হয়নি,তারা কাজা আদায় করতে হবে।
সুনানে আবু দাউদে হাদীস এসেছে
إن أول ما يحاسب الناس به يوم القيامة من أعمالهم الصلاة، قال يقول ربنا عز وجل لملائكته وهو أعلم انظروها في صلاة عبدي أتمها أم نقصها؟ فإن كانت تامة كتبت له تامة وإن كان انتقص منها شيئا قال انظروا هل لعبدي من تطوع؟ فإن كان له تطوع قال أتموا لعبدي فريضة من تطوعه
কেয়ামতের দিন মানুষের সর্বপ্রথম যে আমলের হিসাব নেওয়া হবে তা হল নামায। আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদেরকে বলবেন, তোমরা আমার বান্দার ফরয নাময দেখো। সে পূর্ণরূপে তা আদায় করেছে, নাকি তা আদায়ে কোনো ত্রুটি করেছে? যদি পূর্ণরূপে আদায় করে থাকে তবে তার জন্য পূর্ণ নামাযের ছওয়াব লেখা হবে। আর আদায়ে কোনো ত্রুটি করে থাকলে আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদেরকে বলবেন, দেখ, আমার বান্দার নফল নামায আছে কি না? যদি থাকে তবে এর দ্বারা তার ফরয নামায আদায়ে যে ত্রুটি হয়েছে তা পূর্ণ করে দাও। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৮৬৪)
উমরি কাজা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বালেগ হওয়ার সময়কাল থেকে ওমরী কাজার হিসেব করে তাহা আদায় করতে হবে।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَإِذَا بَلَغَ الْأَطْفَالُ مِنكُمُ الْحُلُمَ [٢٤:٥٩]
তোমাদের সন্তান-সন্ততিরা যখন বায়োঃপ্রাপ্ত হয়, [সূরা আননূর-৫৯]
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (6/ 153):
"(بلوغ الغلام بالاحتلام والإحبال والإنزال) والأصل هو الإنزال (والجارية بالاحتلام والحيض والحبل) ولم يذكر الإنزال صريحاً؛ لأنه قلما يعلم منها (فإن لم يوجد فيهما) شيء (فحتى يتم لكل منهما خمس عشرة سنةً، به يفتى) لقصر أعمار أهل زماننا".
সারমর্মঃ
মেয়েদের বালেগাহ হওয়া স্বপ্নদোষের মাধ্যমে , হায়েজ আসার মাধ্যমে, গর্ভধারণ করা ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকাশিত হতে পারে।
যদি কোনো নিদর্শন বুঝা না যায়,তাহলে ১৫ বছর বয়স হিসেবে বালেগ হওয়া নির্ধারণ হবে।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০১)
বালেগ হওয়ার পর থেকে নিয়ে যত ওয়াক্ত ফরজ এবং বিতর নামাজ আদায় করেননি,তার একটি হিসাব কষে আপনাকে আদায় করতে হবে।
,
যদি স্পষ্ট মনে না আসে,তাহলে প্রবল ধারনার ভিত্তিতে একটি হিসেব কষতে হবে।
দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ এবং বিতর মোট ৬ ওয়াক্ত নামাজের হিসেব বের করতে হবে।
প্রতি নামাজের হিসেব লিখে প্রতিদিন সময় বের করে তার কাজা আদায় করবে।(নিষিদ্ধ ওয়াক্ত ব্যাতিত)
,
এই ভাবে মনে মনে নিয়ত করবেন যে আমার জীবনের ১ম ফজরের নামাজ যেটার কাজা আমি আদায় করিনি,সেটা আদায়ের নিয়ত করছি।
আমার জীবনের ১ম জোহরের নামাজ যেটার কাজা আমি আদায় করিনি,সেটা আদায়ের নিয়ত করছি,,,,,।
,
বিতর নামাজেরও কাজা আদায় করতে হবে,এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
(০২)
রোযার বিধানও একই।
হিসেবে কষে বালেগ হওয়ার পর থেকে যে কয়টি রোযা রাখা হয়নি,সকল রোযা কাজা আদায় করতে হবে।
,
এক্ষেতেও স্পষ্ট মনে না আসলে প্রবল ধারনার ভিত্তিতে একটি হিসেব ঠিক করে সেটি আদায় করতে হবে।
সাথে সাথে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।