আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
Assalamualaikum wa Rahmatullah,

১. উস্তায মাগরিবের স্বলাত সূরা ওয়াকিয়া দিয়ে আদায় করলে, অথবা এশার স্বলাত সুরা মুলক দিয়ে আদায় করলে, রাতের আমল হিসেবে আবার তেলাওয়াত করতে হবে কি?

২. সূরা ওয়াকিয়া অর্ধেক হিফয থাকায় সেটুকু কিরাতে পড়ে বাকিটুকু স্বলাত শেষে দেখে দেখে তিলাওয়াত করলাম। এক্ষেত্রে হাদিসে মাগরিবের পরে ওয়াকিয়া তিলাওয়াতের যে ফজিলত বর্ননা করা হয়েছে সে অনুযায়ী সওয়াব পাবো?

[আসলে আফওয়ান উস্তায, এসব প্রশ্নে আমারি মনে হচ্ছে, আমলে কারচুপি করার কত চেষ্টা আমাদের! আল্লহুম্মাগফিরলী। সন্ধার পরে তামরীন/মাশ্বক থাকে এবং হেফাযতের আমলও করতে সময় লাগে। সেকারনে ওয়াকিয়ার আমলটা একদম ছেড়ে দিয়েছি। IOM ক্লাস ১১:১৫ তে শেষ হওয়ায় তাড়াতাড়ি না ঘুমালে শেষ রাতে কিয়ামুল লাইলে উঠতে পারিনা। তাই এমন প্রশ্ন করেছি।]

1 Answer

+1 vote
by (693,030 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সূরা মূলক সাধারণত যেকোনো সময় তেলাওয়াত করা এবং বিশেষত ঘুমানোর পূর্বে তেলাওয়াত করার অনেক ফযিলত হাদীসে বর্ণিত রয়েছে। ঘুমানোর পূর্বে সূরা মূলক পড়াই রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সুন্নাহ ছিলো।তাই ঘুমানোর পূর্বে যেকোনো মূহুর্তে পড়া যাবে।ঘুমানোর ঠিক পূর্ব মুহুর্তে পড়া জরুরী নয়। https://www.ifatwa.info/1830

সূরা ওয়াকেয়া সম্পর্কে নিম্নোক্ত হাদীস বর্ণিত রয়েছে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ـ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ـ ﻳﻘﻮﻝ : " ﻣﻦ ﻗﺮﺃ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻮﺍﻗﻌﺔ ﻛﻞ ﻟﻴﻠﺔ ﻟﻢ ﺗﺼﺒﻪ ﻓﺎﻗﺔ ﺃﺑﺪًﺍ "
তরজমাঃ- তিনি বলেন, নবীজী ﷺ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক রাতে সূরা ওয়াকেয়া তিলাওয়াত করবে; সে কখনও অভাব-অনটনে পতিত হবেনা।’ (শু‘আবুল ঈমান, হাদীস নং-২৪৯৯)  বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-  https://www.ifatwa.info/459

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সূরায়ে ওয়াকেয়া এবং সূরায়ে মূলক সম্পর্কে যে সমস্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছে,সবগুলো খুলাসা হল, উক্ত সূরাদ্বয়কে পড়লে তার অনেক সওয়াব রয়েছে। দিনে হোক বা রাতে হোক।তবে রাতে যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাঃ নিজে পড়েছেন বা পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন,তাই রাতে পড়াই সুন্নাহ এবং বেশী সওয়াবের উপযোগী সময়।রাতের যেকোনো মুহূর্তে পড়া যাবে। ঠিক মাগরিবের পূর্বে বা ঘুমানোর পূর্ব মুহূর্তে পড়তে হবে,বিষয়টা আসলে এমন নয়। বরং রাতের যেকোনো অংশে পড়লেও সওয়াব ও ফযিলত পাওয়া যাবে। রাতের সূচনাতে সূরা ওয়াকেয়া এবং ঘুমানোর পূর্বে সূরায় মূলক পড়া উচিত।তবে আগপিছ করেও পড়া যাবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাগরিবের নামাযে ওয়াকেয়া এবং এশার নামাযে মূলক পড়লেও সন্ধ্যা ও রাতের আমল আদায় হবে তবে উত্তম হল, নামায পরবর্তীতে তিলাওয়াত করা। উভয় সূরা তিলাওয়াত করতে ১০/১৫ মিনিটের বেশী সময় লাগবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...