ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال: «لا يزال يستجاب للعبد، ما لم يدع بإثم أو قطيعة رحم، ما لم يستعجل» قيل: يا رسول الله ما الاستعجال؟ قال: يقول: «قد دعوت وقد دعوت، فلم أر يستجيب لي، فيستحسر عند ذلك ويدع الدعاء»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, প্রত্যেক বান্দার দু'আ ইস্তে'যাল না করার শর্তে ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল হয়ে থাকে,যতক্ষণ না সে কোনো গোনাহ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক-কে বিচ্ছিন্ন করার দু'আ করে থাকে। সাহাবায়ে কেরাম রাযি জিজ্ঞাসা করলেন।ইয়া রাসুলাল্লাহ! ইস্তে'যাল অর্থ কি?
রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, ইস্তে'যাল অর্থ হল, বান্দা কর্তৃক এমন কথা উচ্ছারিত হওয়া বা বলা যে, আমি তো দু'আ করতেই থাকলাম,করতেই থাকলাম, অথচ আমার দু'আ কবুল হয়েছে,তা তো কখনো দেখিনি। সুতরাং তখনই সে আফসোস করতে থাকে এবং দু'আ কে ছেড়ে দেয়।(ফালাফল হিসেবে তার দু'আ আর কবুল হয় না)
(সহীহ মুসলিম-২৭৩৫,মিশকাতুল মাসাবিহ২২২৭)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/987
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আল্লাহর কাছে দুয়া করার সময় গোনাহ বা ইসলামী আকিদার মূলনীতি বিরোধী এবং অসম্ভব দু’আ করা যাবে না। পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়ে দিয়েছে সেটা দেখার আগমুহূর্তে ভালো কল্যাণকর রেজাল্টের জন্য দু'আ করা যাবে।
(২) কেউ অসুস্থ থাকায় অপারেশন করা লাগলে অবশ্যই দু'আ করা উচিত। স্পেসিফিকভাবে সবকিছু কম খরচে সফলভাবে হয়ে যাওয়ার জন্য দু'আ করা উচিত। ইসলামবিদ্বেষী আত্মীয়দের সাহায্য যাতে না নিতে হয় এমন দুয়াও করা যাবে। অসুস্থ মেয়ে যদি সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার পর অসুস্থতার কারণে ক্লাসে যেতে না পারে, এক্ষেত্রে তার এই অসুস্থতা ভালো না খারাপ? এই প্রশ্নের উত্তর জানার পূর্বে আমাদেরকে জানতে হবে যে, অসুস্থতাও আল্লাহ তা'আলার এক প্রকার নিয়ামত। এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে জরুরতের দরুণ সহশিক্ষাতে ঈমান আকিদা রক্ষা করে শিক্ষা গ্রহণের রুখসত রয়েছে। তাই অসুস্থতা থেকে উত্তরণের দু'আ করা উচিত।