আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
323 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমার ভাইয়া অসুস্থ।উনার বর্ণনাতে
আমার নাম আবিদ হাসান আরাফাত।বয়স ২৩ বছর।গত ৩ বছর ধরে আমি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছি।ড.  দেখানো হল।অনেক পরিখা করে জানালো যে রক্তে white blood cell   কম। যার ফলে শরিরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা  কম। একটি সময় শরির শুধু জ্বলতো। মনে হতো আগুন লেগেছে।অনেক ওষুধ খেয়ে ও কিছু হল না।তখন একজন হুজুর দেখান হল।তিনি বললেন আমাকে বান মারা হয়েছে আর খুব নিকট আত্মীয় করেছেন।তার পর এমনি দিন যাচ্ছে।এক ড.  দেখালাম আবার।আল্লাহর রহমতে শরির  জলা কমে গেল।তারপর মাথা জলত।তার কিছুদিন পর আবার একজন হুজুর দেখাই।তিনি বলেন আমার সাথে পরী  আছেন।অই সময় আমার ঘুম হারাম হয়ে যায়।রাত দিন আমার ঘুম আসত না।অনেক পাওয়ার এর ওষুধ খেয়েছি যেটা ড.  বলেছেন খুব পাওয়ার অনেক ঘুম আসবে কিন্তু আমার আসে নি।২ মাস এমনি ছটফট করতাম ঘুম এ হত না।রাতের পর রাত জাগতাম।এর পর দাঁতে ব্যাথা হয়।জানতে পারলাম আমার দাঁতে টিউমার হয়েছে।সেটা অপারেশন করাই ড. বলেন ৩ টা দাঁত ফেলতে হবে।১ টা ফেলে দেওয়া হয়েছে বাকি গুলি হয় নি।এর মধ্যে যত হুজুর কাছে গেছি উনারা বলছেন আমার মাথায় বান মারা হয়েছে কারন তখন আমার মাথা এর জ্বলুনি আমি সহ্য করতে পারতাম না।আর আমার বাড়ি বন্ধ করতে বলেন।কিন্তু পারিবারিক সমসার জন্য হয় নি করা।আমার heart  এ কিছু সমস্যা আছে।আমি কোন হঠাৎ ঘুম থেকে জাগা, কোন নিউজ নিতে পারি না।কিছুদিন ধরে আমার আবার  মাথা জলা, পা জ্বলা শুরু হয়েছে। পায়ে একটি ফোঁরার মত হয়েছে।অপারেশন করা হয়েছে ৬ ঘন্টার মধ্যে ড. বলছেন ভাল হবে কিন্তু আল্লাহ ভাল জানেন কেন হচ্চে না।
কিছু জিনিষ বলে রাখি আমার পরিবারের থেকে আমি কোন  সহায়তা পাই না। আমার বাবা মা আমার অসুস্থতা মেনে নিতে পারেন না, তাদের কাছে লাগে আমি এসব নাটক করি।তারা ড. দেখাতেও নারাজ।আমি আল্লাহর দিকে ফিরে আসতে, চাই কিন্তু আমার পরিবার আমাকে আমার দারি রাখা নিয়ে,মসজিদ যেয়ে নামাজ পরা এসব তারা নাটক মনে করেন।একটাই কারন আমি অসুস্থ আমি ইনকাম করতে পারি না।
আমি কি আমল করব আল্লাহর সন্তুষ্টির  জন্য?তিনি যেন আমাকে মাফ করে দেন। আর কিভাবে আমি  আমার পরিবার কে পর্দা নামাজ এর দাওয়াত দিতে পারি?আর এই অসুস্থতার জন্য আমার করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
সর্বপ্রথম পরামর্শ দিবো,ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার।মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন।যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।
তাছাড়া আপনাকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، 
দেখুন-১০৯৩
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো।দেখুন-১৮১৬ (এলাজে কুরআনী-০৩)

দ্বিতীয়ত আপনাকে বলবো, নিজ আত্মীয়, বন্ধু বা পরিচিত কাউকে সাথে নিয়ে বা তাদের সাথে তাবলীগের তিন চিল্লায় চলে যান, দেখবেন ইবাদতের বরকতে রোগ কমে যাবে, বা আপনি অনেকটা সুস্থতা অনুভব করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...