ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সববে ক্বারিব এর হুকুম হল, বিক্রেতা বা ভাড়া প্রদাণকারীর উদ্দেশ্য যদি হয়, গোনাহের কাজে সগযোগিতা করা,তাহলে এটা গোনাহ এবং গোনাহের কাজে সরাসরি সহযোগিতা হওয়ার দরুণ স্পষ্টত নাজায়েয ও হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে যদি তার নিয়ত ও উদ্দেশ্য গোনাহের কাজে সহযোগিতা করা না হয়, তাহলে সেটা দুই প্রকার হবে, যথা-
(ক) যদি তার জানা না থাকে যে, ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে না মদ তৈরী করবে না অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে? তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা জায়েয হিসেবে বিবেচিত হবে।
(খ) যদি তার জানা থাকে যে, ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে না মদ তৈরী করবে না অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে? তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা মাকরুহ হিসেবে বিবেচিত হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1046
الْيَوْمَ أُحِلَّ لَكُمُ الطَّيِّبَاتُ ۖ وَطَعَامُ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ حِلٌّ لَّكُمْ وَطَعَامُكُمْ حِلٌّ لَّهُمْ ۖ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِن قَبْلِكُمْ إِذَا آتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ مُحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ وَلَا مُتَّخِذِي أَخْدَانٍ ۗ وَمَن يَكْفُرْ بِالْإِيمَانِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ
আজ তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল করা হল। আহলে কিতাবদের খাদ্য তোমাদের জন্যে হালাল এবং তোমাদের খাদ্য তাদের জন্য হালাল। তোমাদের জন্যে হালাল সতী-সাধ্বী মুসলমান নারী এবং তাদের সতী-সাধ্বী নারী, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে, যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর তাদেরকে স্ত্রী করার জন্যে, কামবাসনা চরিতার্থ করার জন্যে কিংবা গুপ্ত প্রেমে লিপ্ত হওয়ার জন্যে নয়। যে ব্যক্তি বিশ্বাসের বিষয় অবিশ্বাস করে, তার শ্রম বিফলে যাবে এবং পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।(সূরা মায়েদা-০৫)
سنُّوا بِهِم سنَّةَ أَهْلِ الكتابِ غيرَ آكِلي ذبائحِهِم ولا ناكِحي نسائِهِم(فتح القدير الصفحة أو الرقم : 2/23)
মুশরিক বা অগ্নি পুজারীদের সাথে আহলে কিতাবদের মতই ব্যবহার করো। তবে মুশরিকদের জবাউকৃত প্রাণী ভক্ষণ করা যাবে না এবং তাদের মহিলাদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াও যাবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইহুদি খৃষ্টানরা যদি তাদের ধর্মমতে জবাই করে, তাহলে শুকর ব্যতিত অন্যান্য জবাইকৃত প্রাণী মুসলমানদের জন্য ভক্ষণ করা জায়েয। মদ ও শুকরের মাংস পরিবেশন করতে সাহায্য করা কোনো মুসলমাদের জন্য জায়েয হবে না। হ্যা, মদ ও শুকর ছাড়া অন্যান্য খাবার এবং তাদের ধর্মমত জবাইকৃত অন্যান্য প্রাণী যেহেতু মুসলমানদের জন্য ভক্ষ করা জায়েয তাই সেগুলো অমুসলিমদের জন্য পরিবেশন করাও জায়েয হবে। সুতরাং মদ ও শুকর ব্যতিত অন্যান্য জবাইকত প্রাণীর ও প্রাণীর গোশত সম্বলিত খাবার পরিবেশ করা পার্সেল বহন করার রুখসত থাকবে। ইহুদি খৃষ্টানরা তাদের ধর্মমত জবাই করেছে কি না? যেহেতু তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে, তাই এ জাতীয় খাবার পরিবেশন করা থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।