আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
16 views
ago in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (4 points)
edited ago by
আমি ইতালিতে অবস্থানরত এবং আমার ইদানীং এক্সট্রা কাজের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে আমি মূল কাজের পাশাপাশি অবসরে খাবার ডেলিভারি জবে যুক্ত হয়েছি। (Delivero, Glovo, Uber eats).
ডেলিভারির পরিস্থিতি: আমি এ কাজে নিজেকে যুক্ত করেছি গত ৯ দিন ধরে কিন্তু মনে শান্তি নেই হারাম আয় হয় কি না।তার ভয়ে। আমি এলকহল দেখলে কেন্সেল করে দেই ডেলিভারি নেই না যেহেতু তা শুরুতেই দেখা যায়। হারাম অন্য খাবার যেমন শুকরের গোস্তের আইটেম McDonald's থেকে অর্ডার দিলে সেটা শুরুতে দেখায় না। পরে অর্ডার এক্সেপ্ট করলে দেখায়। যদিও তা ক্যান্সেল করা যায় তবে পরবর্তীতে আমাকে অর্ডার কম দিবে। অনেক সময় সেগুলো ডেলিভারি দেই। মুরগির মাংস বা গরুর মাংস তারা যেগুলো বিক্রি করে তা খাওয়া হারাম আমাদের জন্য।
আমার প্রশ্ন: আমি প্রয়োজনের তাগিদে নন মুসলিম দেশে খাবার ডেলিভারি দেওয়ার জব করবো? বা এটা কি হালাল আয় হবে নাকি হারাম?
উল্লেখ্য আমি নিজে ক্রয় করি না। কাস্টমার একটা দোকান থেকে অনলাইনে কিনে রাখে আর তারা প্যাকেট রেডি করে রাখে। আমি শুধু কালেক্ট করি আর ডেলিভারি দেই!
উত্তরটা খুবই জরুরি।  যদি ঈমানের প্রশ্ন বা হারাম আয়ের প্রশ্ন আসে আমি ছেড়ে দিবো। আর যদি এমন হয় যে শুধু হালাল গুলো বেছে বেছে করতে হবে তা চেষ্টা করবো।
এ প্রশ্নটা আশা করি বাহিরে কর্মরত অনেক ভাইয়ের মনের প্রশ্ন।

সংযোজন: আমি চেট জিপিটি ইউস করে এলকোহল আর শুকরের মাংস অর্ডার নেওয়া থেকে বেচে গেছি যা আমাকে ২২ ইউরো দিয়ে ক্রয় করতে হয়েছে।
প্রশ্ন এখন রয়ে যায় আল্লাহর নাম বাদে অন্যভাবে তারা জবাই করে বা যাচাই-বাছাই করা কঠিন কিভাবে জবেহ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে করনীয়?
জাযাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
ago by (680,910 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সববে ক্বারিব এর হুকুম হল, বিক্রেতা বা ভাড়া প্রদাণকারীর উদ্দেশ্য যদি হয়, গোনাহের কাজে সগযোগিতা করা,তাহলে এটা গোনাহ এবং গোনাহের কাজে সরাসরি সহযোগিতা হওয়ার দরুণ স্পষ্টত নাজায়েয ও হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে যদি তার নিয়ত ও উদ্দেশ্য গোনাহের কাজে সহযোগিতা করা না হয়, তাহলে সেটা দুই প্রকার হবে, যথা-
(ক) যদি তার জানা না থাকে যে, ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে না মদ তৈরী করবে না অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে? তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা জায়েয  হিসেবে বিবেচিত হবে।
(খ) যদি তার জানা থাকে যে, ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে না মদ তৈরী করবে না অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে? তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা মাকরুহ  হিসেবে বিবেচিত হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1046

الْيَوْمَ أُحِلَّ لَكُمُ الطَّيِّبَاتُ ۖ وَطَعَامُ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ حِلٌّ لَّكُمْ وَطَعَامُكُمْ حِلٌّ لَّهُمْ ۖ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِن قَبْلِكُمْ إِذَا آتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ مُحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ وَلَا مُتَّخِذِي أَخْدَانٍ ۗ وَمَن يَكْفُرْ بِالْإِيمَانِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ
আজ তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল করা হল। আহলে কিতাবদের খাদ্য তোমাদের জন্যে হালাল এবং তোমাদের খাদ্য তাদের জন্য হালাল। তোমাদের জন্যে হালাল সতী-সাধ্বী মুসলমান নারী এবং তাদের সতী-সাধ্বী নারী, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে, যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর তাদেরকে স্ত্রী করার জন্যে, কামবাসনা চরিতার্থ করার জন্যে কিংবা গুপ্ত প্রেমে লিপ্ত হওয়ার জন্যে নয়। যে ব্যক্তি বিশ্বাসের বিষয় অবিশ্বাস করে, তার শ্রম বিফলে যাবে এবং পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।(সূরা মায়েদা-০৫)

سنُّوا بِهِم سنَّةَ أَهْلِ الكتابِ غيرَ آكِلي ذبائحِهِم ولا ناكِحي نسائِهِم(فتح القدير الصفحة أو الرقم : 2/23)
মুশরিক বা অগ্নি পুজারীদের সাথে আহলে কিতাবদের মতই ব্যবহার করো। তবে মুশরিকদের জবাউকৃত প্রাণী ভক্ষণ করা যাবে না এবং তাদের মহিলাদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াও যাবে না।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইহুদি খৃষ্টানরা যদি তাদের ধর্মমতে জবাই করে, তাহলে শুকর ব্যতিত অন্যান্য জবাইকৃত প্রাণী মুসলমানদের জন্য ভক্ষণ করা জায়েয। মদ ও শুকরের মাংস পরিবেশন করতে সাহায্য করা কোনো মুসলমাদের জন্য জায়েয হবে না। হ্যা, মদ ও শুকর ছাড়া অন্যান্য খাবার এবং তাদের ধর্মমত জবাইকৃত অন্যান্য প্রাণী যেহেতু  মুসলমানদের জন্য ভক্ষ করা জায়েয তাই সেগুলো অমুসলিমদের জন্য পরিবেশন করাও জায়েয হবে। সুতরাং মদ ও শুকর ব্যতিত অন্যান্য জবাইকত প্রাণীর ও প্রাণীর গোশত সম্বলিত খাবার পরিবেশ করা পার্সেল বহন করার রুখসত থাকবে। ইহুদি খৃষ্টানরা তাদের ধর্মমত জবাই করেছে কি না? যেহেতু তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে, তাই এ জাতীয় খাবার পরিবেশন করা থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...