স্বপ্নে রাসূল সাঃ কে তেমন দেখতে পাওয়া যায়, যেমন ব্যক্তির ঈমান ও আমলের অবস্থা হয়ে থাকে। যদি রাসূল সাঃ এর অবস্থা ভাল দেখে স্বপ্নে, তাহলে স্বপ্ন দেখাকারী ব্যক্তির ঈমান ও আমল ভাল হওয়ার দলীল এটা। আর যদি খারাপ অবস্থায় রাসূল সাঃ কে দেখে, তাহলে বুঝতে হবে যে দেখছে তার ঈমান বা আমলে সমস্যা আছে।
তেমনি কেউ যদি রাসূল সাঃ কে সুন্দর অবয়বে দ্বীনী কাজ করতে দেখে, তাহলে বুঝতে হবে লোকটির ঈমানী কাজে আগ্রহ আছে। এক কথায় রাসূল সাঃ কে যে অবস্থায় পরিদৃষ্ট করবে স্বপ্নে, নিজের ঈমান ও আমলের হালাত তেমনি মনে করে নিবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
أن أبا هريرة قال : سمعت النبي صلى الله عليه و سلم يقول ( من رآني في المنام فسيراني في اليقظة ولا يتمثل الشيطان بي
হযতর আবূ হুরায়রা রাঃ বলেনঃ রাসূল সাঃ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নযোগে দেখল, সে যেন আমাকে বাস্তবেই দেখল। কারণ শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬৫৯২, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৬০৫৬, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৬০৫২, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৫০২৫ , সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২১৩৯, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩৯০৫, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২২৭৬}
ফাতহুল বারী গ্রন্থে এসেছেঃ
فى الفتح البارى- إن الشيطان لا يتصور على صورته أصلا فمن رآه في صورة حسنة فذاك حسن في دين الرائي وان كان في جارحة من جوارحه شين أو نقص فذاك خلل في الرائي من جهة الدين قال وهذا هو الحق وقد جرب ذلك فوجد على هذا الأسلوب وبه تحصل الفائدة الكبرى في رؤياه حتى يتبين للرائي هل عنده خلل أو لا لأنه صلى الله عليه و سلم نوراني مثل المرآة الصقيلة ما كان في الناظر إليها من حسن أو غيره تصور فيها وهي في ذاتها على أحسن حال لا نقص فيها ولا شين وكذلك يقال في كلامه صلى الله عليه و سلم في النوم أنه يعرض على سنته فما وافقها فهو حق وما خالفها فالخلل في سمع الرائي فرؤيا الذات الكريمة حق والخلل انما هو في سمع الرائي أو بصره (فتح الباري شرح صحيح البخاري لإبن حجر، كتاب التعبير، باب من رأى النبي صلى الله عليه و سلم في المنام- 14/415-416
নিশ্চয়ই রাসূল সাঃ এর আকৃতি শয়তান ধারণ করতে পারে না।
যদি রাসূল সাঃ এর অবস্থা ভাল দেখে স্বপ্নে, তাহলে স্বপ্ন দেখাকারী ব্যক্তির ঈমান ও আমল ভাল হওয়ার দলীল এটা। আর যদি খারাপ অবস্থায় রাসূল সাঃ কে দেখে, তাহলে বুঝতে হবে যে দেখছে তার দ্বীনের দিক দিয়ে, ঈমান বা আমলে সমস্যা আছে,,,,।
বিস্তারিত জানুনঃ-
স্বপ্নে যদি ইয়াকিন হয় যে, পরিদৃষ্ট ব্যক্তি রাসূল সাঃ, তাহলে বিশ্বাস করে নিবে ব্যক্তি রাসূল সাঃ কেই দেখছে। তবে আকৃতিটা হুবহু রাসূল সাঃ এর হওয়া জরুরী নয়।
আরেকটি বিষয় হল, স্বপ্নে রাসূল সাঃ কে তেমন দেখতে পাওয়া যায়, যেমন ব্যক্তির ঈমান ও আমলের অবস্থা হয়ে থাকে। যদি রাসূল সাঃ এর অবস্থা ভাল দেখে স্বপ্নে, তাহলে স্বপ্ন দেখাকারী ব্যক্তির ঈমান ও আমল ভাল হওয়ার দলীল এটা। আর যদি খারাপ অবস্থায় রাসূল সাঃ কে দেখে, তাহলে বুঝতে হবে যে দেখছে তার ঈমান বা আমলে সমস্যা আছে।
তেমনি কেউ যদি রাসূল সাঃ কে সুন্দর অবয়বে দ্বীনী কাজ করতে দেখে, তাহলে বুঝতে হবে লোকটির ঈমানী কাজে আগ্রহ আছে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্নে যদি আপনার ইয়াকিন হয় যে পরিদৃষ্ট ব্যক্তি নিশ্চিত ভাবে রাসূল সাঃ ই ছিলেন,সেক্ষেত্রে উক্ত স্বপ্নে এ দিকে ইঙ্গিত রয়েছে যে আপনার ঈমান ও আমল ভালো
হয়তোবা আপনার কাছে মনে হচ্ছে যে আপনি যে আমল করছেন এটি সুন্দর হচ্ছেনা বা পরিপূর্ণভাবে আমল করতে পারছেন না।
কিন্তু হয়তো বা আপনার ঈমান খুব দৃঢ় পাশাপাশি আপনি যতটুকু আমল করছেন সে আমল হয়তোবা আল্লাহর পছন্দ হচ্ছে, ইখলাসের সহিত হচ্ছে, তাই আপনি এত ভাল অবস্থানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে স্বপ্নে দেখেছেন।
অথবা আপনার স্বপ্নে এদিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে আপনি যেন আপনার আমলকে ভালো করেন আপনার ঈমানকে যেন ভালো করেন।
কেননা আল্লাহ তাআলা হয়তো বা আপনাকে পছন্দ করেন, এজন্য আপনাকে এ ধরনের স্বপ্ন দেখিয়ে ভবিষ্যত জীবনে ভালো ঈমান ও ভালো আমল ওয়ালা হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করছেন।
পরামর্শঃ-
ঈমানী কাজে অনাগ্রহ থাকলে আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে।
প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্ন অনেক মর্যাদা পূর্ণ বিষয়।
আপনি দরুদ শরীফ বেশি বেশি পাঠ করবেন,সুন্নাতের উপর পূর্ণ আমল চালিয়ে যাবেন।