আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
ago in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমি একটা পাবলিক ভার্সিটি তে ফরম ফিল আপ করার জন্য আব্বুর কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে গেছিলাম কিন্তু ফরম ফিল আপ করা হয়নি। হঠাৎ করে ডিসিশন নিলাম সহশিক্ষা ছেড়ে দিবো। আগে থেকে একটু কনফিউসন ছিলাম ছেড়ে দিবো কি দিবো না পরে ফাইনাল ডিসিশন নিলাম ছেড়ে দিবো যেহেতু এটি হারাম আল্লাহ তায়ালার অপছন্দের আর পশ্চিমাদের সংস্কৃতি তাই এর প্রতিবাদে ছেড়ে দিলাম। আমি বাসায় কিছুই জানায়নি কারণ বাসায় জানালে আমাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করবে আর সমস্যা হচ্ছে উনারা বিয়ের ক্ষেত্রে দ্বীনদারিতাকে প্রাধান্য দিচ্ছে না। আমার জন্য যতগুলো প্রপোজাল আসতেছে আমার একটা ও পছন্দ না, দ্বীনদার প্রপোজাল আসতেছে না।সহশিক্ষা ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপার টা বাসায় জানাই নাই, সমস্যা হতে পারে তাই, আমার দ্বীন পালনের বিষয় টা খুব একটা সাপোর্ট করে না। উনারা যদি আমাকে বুঝতো একটু সাপোর্ট দিতো তাহলে আমি বিষয় টা বলে দিতাম নির্দ্বিধায় আর ফরম ফিল আপ এর টাকাগুলো ফেরত দিতে পারতাম। আমার প্রশ্ন :

১. আমি যে সহশিক্ষা ছেড়ে দিয়েছি বিষয় টা বাসায় বলি নি কিন্তু বাসায় জানে আমি এখনো পড়ছি এতে কি আমি অপরাধ করেছি আমি তো আল্লাহর জন্য ছেড়েছি পরিবারের সাথে কি আমার প্রতারণা হয়ে যাচ্ছে? ভার্সিটি তে আমার মাঝে মধ্যে আসা যাওয়া থাকবে শুধু  মেয়েদের হল এ ওখানে কোনো সমস্যা নেই ওখানে অনেক দ্বীনদার আপু ও আছে বিভিন্ন হালাকা ও হয়, দ্বীন এর খাতিরে আসা যাওয়া হয়, আর কিছু ভালো লাগে না ওখানে ওখানের সংস্কৃতি টা একদম ভালো লাগে না। এই মুহর্তে আমার কি করা উচিত আমি কি ঠিক করছি।

২. যেহেতু বাসায় বলিনি টাকাগুলো ও দিতে পারছিনা। তাই টাকাগুলো রয়ে গেছে আমার কাছে, এখন টাকাগুলো দিয়ে কি আমি ইসলামিক কোনো কোর্স করতে পারবো? পরে যখন বিষয় টা জানাবো তখন দিয়ে দিবো। নাকি এভাবেই আমার কাছে রেখে দিবো বিষয় টা যখন জানাবো তখন দিয়ে দিবো? টাকাগুলো কি করবো? আমি কি খরচ করতে পারবো এখন?
ago by (0 points)
https://ifatwa.info/123674/ প্রথম অংশের উত্তরটা দিয়েন।

1 Answer

0 votes
ago by (650,730 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/13774/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
দ্বীনি শিক্ষা হোক,বা দুনিয়াবি শিক্ষা হোক,ইসলামের বিধান হলো ছেলেরা ছেলেদের প্রতিষ্ঠানে এবং মেয়েরা মেয়েদের প্রতিষ্ঠানে পড়বে। বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রে এর প্রতি সর্বোচ্চ লক্ষ রাখা ও গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক। 

কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,

زُيِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوَاتِ مِنَ النِّسَاء

মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী…। (সূরা আলি ইমরান ১৪)

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنْ النِّسَاءِ

আমি আমার পরে মানুষের মাঝে পুরুষদের জন্য নারীদের চাইতে অধিকতর ক্ষতিকর কোন ফিতনা রেখে যাই নি।(বুখারী ৪৮০৮ মুসলিম ২৭৪০)

ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমাতে এসেছে,

 فلا يجوز للمرأة أن تَدرس أو تعمل في مكان مختلط بالرجال والنساء ، ولا يجوز لوليها أن يأذن لها بذلك

সুতরাং মেয়েদের জন্য এমন প্রতিষ্ঠানে পড়া-লেখা কিংবা চাকরি করা জায়েয হবে না যেখানে নারী-পুরুষের সহাবস্থান রয়েছে এবং অভিবাকের জন্য জায়েয হবে না তাকে এর অনুমতি দেয়া।  (ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা ১২/১৫৬)

★ একান্ত অপারগ অবস্থায় বা বিকল্প কোন পথ না পেলে এসব প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করা জায়েয আছে। কেননা, الضرورات تبيح المحظورات     জরুরত নিষিদ্ধ কাজকে সিদ্ধ করে দেয়। (আলআশবাহ ওয়াননাযাইর ১/৭৮)

তবে সবোর্চ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি, যাতে পর্দা লঙ্ঘন বা আল্লাহর অসন্তুষ্টি মূলক কার্যক্রম সংঘটিত না হয়।

কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,

فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ

অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর। (সূরা তাগাবুন ১৬)
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
যতদিন পর্যন্ত এই দেশে পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে উলামায়ে কেরামগন  কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেন।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।

২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।
ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১;

★এ শর্ত পুরোপুরি ভাবে মেনে যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া জায়েজ আছে।
,
সহ শিক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
ভার্সিটি তে পড়াশোনার ক্ষেত্রে উপরোক্ত শর্তাবলী মেনে চলতে না পারা, আপনার দ্বারা গুনাহের কাজ হয়ে যাওয়া,ফিতনায় জড়িয়ে পড়ার প্রবল শংকা থাকা,এসব কারনে আপনি যদি সহশিক্ষা ছেড়ে দিয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবেনা।

তবে পড়াশোনার নাম দিয়ে মা বাবা থেকে টাকা নিলে তাহা প্রতারণা হবে,যাহা জায়েজ নেই।

(০২)
ভার্সিটি তে ফরম ফিল আপ করার জন্য যে টাকা নিয়েছিলেন,সেটি আপনার বাবার নিকট ফেরত দিতে হবে।
এখন না দিতে পারলে পরবর্তীতে অবশ্যই ফেরত দিবেন।

এই টাকাগুলো দিয়ে আপনি ইসলামিক কোনো কোর্স করতে পারবেননা।

যদি সেই টাকা দিয়ে এখন ইসলামিক কোনো কোর্স করেন,সেক্ষেত্রে প্রতারণার গুনাহ হবে।

তবে পরবর্তীতে সমপরিমাণ টাকা বাবার নিকট ফেরত দিলে গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...