আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
7 views
ago in পবিত্রতা (Purity) by (29 points)
আসসালামু আলাইকুম
১.দুই বছরের ছোট মেয়ে বাচ্চাকে সাথে নিয়ে গোসল করি বাধ্য হয়ে কারণ খুব ডিস্টার্ব করে। প্রশ্ন হচ্ছে -

ক)বাচ্চার সামনে গায়ের কাপড় সব খুলে গোসল করা যাবে???

খ)গায়ের কাপড়ে যদি নাপাকি লেগে থাকে কোনো কারণে তাহলে সেই নাপাকি কাপড় পড়ে গোসল করলে গোসল সহীহ হবে???কাপড় তো ৩ ধোয়া দেয়া ছাড়া পাক হয় না তাহলে সেই কাপড় গায়ে থাকলে গোসল করে শরীর পাক করা সম্ভব??

২.আমরা নিচ তলায় ফ্যামিলি ভাড়া দিই।হিন্দু ফ্যামিলি কে ভাড়া দেয়া জায়েজ আছে?? তারা যদি পুজা করে বাসায়, পুজায় বিভিন্ন শব্দ করে তাহলে আমাদের ঈমান আমলের জন্য কোনো ক্ষতি হবে??

1 Answer

0 votes
ago by (650,460 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا ابْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، نَحْوَهُ عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَوْرَاتُنَا مَا نَأْتِي مِنْهَا وَمَا نَذَرُ قَالَ " احْفَظْ عَوْرَتَكَ إِلاَّ مِنْ زَوْجَتِكَ أَوْ مَا مَلَكَتْ يَمِينُكَ " . قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذَا كَانَ الْقَوْمُ بَعْضُهُمْ فِي بَعْضٍ قَالَ " إِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ لاَ يَرَيَنَّهَا أَحَدٌ فَلاَ يَرَيَنَّهَا " . قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذَا كَانَ أَحَدُنَا خَالِيًا قَالَ " اللَّهُ أَحَقُّ أَنْ يُسْتَحْيَا مِنْهُ مِنَ النَّاسِ " .

আব্দুল্লাহ ইবন মাসলামা (রহঃ) ………. বাহয ইবন হাকীম (রাঃ) তাঁর পিতা ও দাদা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদা আমি বলিঃ ইয়া রসূলাল্লাহ! আমরা আমাদের সতর কাদের থেকে আবৃত রাখবো? তিনি বলেনঃ তুমি তোমার সতর স্ত্রী এবং ক্রীতদাসী ব্যতীত অন্য সকলের নিকট থেকে ঢেকে রাখবে। এরপর আমি জিজ্ঞাসা করি; ইয়া রসূলাল্লাহ! যখন লোকেরা পরস্পর মিলে-মিশে থাকবে? তখন তিনি বলেনঃ যদি তোমার পক্ষে সম্ভব হয় যে কেউ তোমার সতর দেখবে না , তবে এরুপ করবে; যাতে তোমরা সতর কেউ দেখতে না পারে। তিনি বলেনঃ এরপর আমি জিজ্ঞাসা করিঃ ইয়া রসূলাল্লাহ!  যখন আমাদের কেউ নির্জনে থাকবে? তিনি বলেনঃ মানুষের চাইতে আল্লাহকে বেশি লজ্জা করবে।

(আবূ দাঊদ ৩৯৭৬. ৪০১৯, তিরমিযী ২৭৯৪, ইবনে মাজাহ ১৯২০, মিশকাত ৩১১৭)

নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ‘লজ্জা করার ব্যাপারে মানুষের চেয়ে আল্লাহই অধিকতর হকদার’ (বুখারী, তরজমাতুল বাব ‘গোসল’ অধ্যায়, ১ম খন্ড, পৃঃ ৯১)।

একাকী গোসল খানায় বিবস্ত্র হয়ে গোসল করা অনুত্তম। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ক,  বাচ্চার সামনে গায়ের কাপড় সব খুলে গোসল করা যাবেনা। শরীয়তে এর অনুমোদন নেই।

খ, সেই নাপাকি কাপড় পড়ে গোসল করলে গোসল সহীহ হবে। 

তবে গোসলের শেষ দিকে সেই কাপড় খুলে পুরো আবারো ভালো করে ধুয়ে পাক করে পবিত্র কাপড় পরিধান করতে হবে।

(০২)

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

وَمَنْ أَجَّرَ بَيْتًا لِيُتَّخَذَ فِيهِ بَيْتُ نَارٍ أَوْ كَنِيسَةٌ أَوْ بِيعَةٌ أَوْ يُبَاعُ فِيهِ الْخَمْرُ بِالسَّوَادِ فَلَا بَأْسَ بِهِ.
الهداية، 4: 94، المکتبة الاسلاميه
সারমর্মঃ-
কেহ যদি বাসা ভাড়া দেয়,যাতে তার মধ্যে আগুনের ঘর বানায়,অথবা গীর্জা ইত্যাদি বানায়,অথবা সেখানে মদ বিক্রয় করে,তাহলে ভাড়া দাতার গুনাহ নেই।

وإذا استأجر الذمی من المسلم دارًا یسکنہا فلا بأس بذلک، وإن شرب فیہا الخمر أو عبد فیہا الصلیب أو أدخل فیہا الخنازیر ولم یلحق المسلم فی ذلک بأس لأن المسلم لا یؤاجرہا لذلک إنما آجرہا للسکنی. کذا فی المحیط. اھ (ہندیہ: ۴/۴۵۰،ط: زکریا)
সারমর্মঃ-
যিম্মি যদি মুসলিম থেকে ঘর থাকার জন্য ভাড়া নেয়,তাহলে এতে কোনো গুনাহ নেই।
যদি সে উক্ত বাসায় মদ পান করে,,শুকর সেখানে প্রবেশ করায়,মুসলমানের এক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।
কেননা সে তো বসবাসের জন্য ভাড়া দিয়েছিলো।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
অমুসলিমের কাছে বাসা ভাড়া দেয়া নাজায়েয হবে না।হ্যাঁ, অমুসলিমের কাছে বাসা ভাড়া না দেয়াই ভালো। 

অমুসলিমের কাছে বাসা ভাড়া দেয়ার পর সে যদি কোনো নাজায়েয কাজ তাতে করে, তাহলে এজন্য আপনার কোনো গোনাহ হবে না। দাওয়াতের নিয়তে যদি অমুসলিমের কাছে।ঘর ভাড়া দেয়া হয়, তাহলে তখন এটা অনুচিত বা অনুত্তম হবে না।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...