ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে এবং অন্যান্য নামাজে সব রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে অন্য সুরা মিলানো ওয়াজিব৷
★হজরত আবু সাইদ খুদুরী (রাজিঃ) বলেন, আমাদের রাসুল (সা:) আদেশ করেছেন, আমরা যেনো নামাজের মধ্যে সুরা ফাতেহা এবং কোরআনের যেই স্থান হতে সহজ হয় কিছু তেলাওয়াত করি৷ (আবু দাউদ ১খন্ড,পৃষ্ঠা ১১৮)
★হজরত আবু হুরায়রা (রাজি:) হতে বর্ণিত, হুজুর (সা:) ইরশাদ করিয়াছেন যে, নামাজ সুরা ফাতেহা এবং কিছু অতিরিক্ত অংশ ছাড়া হয় না৷অর্থাৎ সুরা ফাতেহার সাথে অন্য সুরার কিছু অংশ তেলাওয়াত করতে হবে৷ (মুসলিম শরিফ ১খন্ড, পৃষ্ঠা ১৬৯)
★নামাজ আলহামদু (সুরা ফাতেহা) এবং অন্য সুরা মিলানো ছাড়া হবে না, নামাজ ফরজ হোক বা অন্য নামাজ৷ (তিরমিজি শরিফ,পৃষ্ঠা ৬১)
★সুরা ফাতেহা এবং দুইটি লম্বা আয়াত ছাড়া নামাজ হয় না৷ (কানজুল উম্মাল ৭ খন্ড,পৃষ্ঠা ৩১৪)
★ফরজ নামাজ সুরা ফাতেহা এবং তিন আয়াত বা তার কিছু বেশি ছাড়া হয় না৷ (কানজুল উম্মাল ৭ খন্ড,পৃষ্ঠা ৩১৩)
★ঐ নামাজ ঠিক হয় না, যে নামাজে সুরা ফাতেহা এবং কোরআনের কিছু অংশ তেলাওয়াত করা হয় না৷ (নসবুর রায়্যাহ ১ খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৬৫)
★হজরত রেফায়াহ বিন রাফে হতে বর্নিত, হুজুর (সা:) ইরশাদ করিয়াছেন,যখন তোমরা নামাজের জন্য কিবলা দিকে দাঁড়াবে তখন প্রথমে তাকবীর (তাকবীরে তাহরিমা) বলো৷ এরপর সুরা ফাতেহা পড়ো এবং কোরআনের যে অংশ ইচ্ছে পড়ো৷ (সহীহ ইবনে হিব্বান ৩খন্ড,পৃষ্ঠা ২০৯)
★সুতরাং ফরজ নামাজের প্রথম ২ রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে অন্য যেকোনো সুরা মিলানো ওয়াজিব।
আপনার যদি প্রবল ধারণা হয় যে আপনি সুরা ফাতেহার সাথে অন্য সূরা মিলিয়েছেন, সেক্ষেত্রে নামাজের কোন সমস্যা হবে না।
আর যদি আপনার প্রবল ধারণা হয় যে আপনি সূরা মিলাননি, অথবা কোন দিকেই প্রবল ধারণা না হয়, সেক্ষেত্রে নামাজের শেষে সেজদায়ে সাহু আদায় করবেন।