আসসালামু আলাইকুম,
এক মহিলার ভাই তার পৈত্রিক সম্পত্তির অংশ দিচ্ছে না প্রায় ২০ বছর হয়েছে, এবং সম্পত্তি থেকে পাওয়া টাকা পয়সা সব তার ভাই আত্মসাৎ করত।
ভাই বাবার ভিটার অংশ না দিয়ে মহিলাকে খুব সামান্য টাকা দিয়ে জমিটা নিয়ে নিতে চায়। মহিলা এ প্রস্তাবে রাজি ছিল না। একটা সময় মহিলার পরিবার আর্থিক সংকটে থাকায় মহিলা বেচতে রাজি হয় । এবং তবে শর্ত দেয় যে পুরো টাকা একসাথে দিতে হবে। ভাই জমির দাম ৪ লক্ষ টাকা দেবে বলে রাজি হয় এবং তারা একটা বায়না পত্র তৈরি করে যেটার আইন অনুযায়ী মেয়াদ তিন মাস (উল্লেখ্য যে জমির আসল দাম ৫০ লাখ বা তার উপরে)। ভাই মহিলাকে একসাথে তিন লক্ষ টাকা এবং বাকি টাকা কিছুদিনের মধ্যে দিবে জানায়। কিন্তু প্রায় এক বছর হয়ে যায় সে টাকা দেয় না। মহিলা এর মধ্যে অনেকবার তার ভাইকে সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে কিন্তু তার ভাই যোগাযোগ করেনি। এই সময়ের মধ্যে তার ভাই তার জমির মধ্যে বিল্ডিং বাড়ি বানানো শুরু করে দেয় অথচ তখনো জমির টাকা পরিশোধ বাকি এবং ভাইয়ের নামে রেজিস্ট্রি ও হয়নি।
এক বছর পরে বোনের সাথে যোগাযোগ করে বাকি টাকাটা দিতে। কিন্তু তার বোন না করে এবং জানায় সে তার কাছে জায়গা বিক্রি করবে না যেহেতু সে একবারে টাকাটা দেয়নি শর্ত অনুযায়ী। এরপর আরোও প্রায় ৩-৪ বছর পর পুলিশের সাহায্যে দরবারের মাধ্যমে ফয়সালা হয় যে , ভাই বোনটাকে জায়গা তাকে বুঝায় দিবে। কিন্তু তার কিছু আত্মীয় মিলে শর্ত দেয় যে বোনকে আগে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। তিন লক্ষ টাকা পাওনা এবং ২ লক্ষ টাকা ( চার বছর আগের তিন লাখ টাকা মূল্যে নাকি বর্তমান বাজারে ঊর্ধ্বগতির কারণে বেড়েছে ইত্যাদি কারণে দেখিয়ে) পুলিশ ও মহিলাকে বলে যে এটাই করতে কারণ তার ভাই অনেক ঝগড়াটে ,স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা দের সাথে সংযোগ আছে এবং তাকে কোনভাবেই রাজি করানো যাচ্ছিল না। পুলিশ বলে যে, ভাই কে এরেস্ট করা ছাড়া যদি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে চায় তাহলে এই রাস্তা দিয়ে আগাতে হবে এছাড়া ভাই কোনভাবেই রাজি হয় না।
‎এখন প্রশ্ন হল মহিলা এই যে তিন লক্ষ টাকার বদলে ৫ লাখ টাকা দেয় এটা কি শরীয়তে জায়েজ হচ্ছে কি না, (উল্লেখ্য যে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হলেও সম্ভবত ৩ লাখ টাকা প্রায় ৮০ হাজার টাকা বাড়ে ,সে ক্ষেত্রে প্রায় 4 লাখ টাকা হতে পারে কিন্তু ৫ লাখ টাকা নয়)?