আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ্‌ শাইখ।

*আমি একজন সিঙ্গেল মাদার।  আমি একটা ব্যাক্তিকে এক মাস আগে আহলিয়া মেট্রমনির মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। উনাদের পক্ষ থেকে কোন জবাব জানতে পারিনি কারণ ছেলে চিল্লায় গেছে। উনার বাবা জানিয়েছে ছেলে আসলে এ বিষয়ে কথা বলবে  আর মাঝে মাঝে যোগাযোগ করতে বলেছিল। এখানে হ্যাঁ না কোনো কিছু স্পষ্ট না। পুরো একটা অনিশ্চয়তা।
* গতকাল আহলিয়া মেট্রমনির মাধ্যমেই আমার কাছে আরেকটা প্রস্তাব আসে।তো আমাদের পক্ষ থেকে উনাকে কিছু বলা হয়নি। উনাকে ২/৩ দিনের মধ্যে মতামত জানাতে হবে।

*আজকে চিল্লায় যাওয়া পাত্রের বাবাকে আবার ফোন দিলে একটা মতামত জানার জন্য বললে উনি বলে উনার ছেলে ১ সালের চিল্লায় গেছে আগামী ইজতেমার পরে ফিরবেন মাত্র ৩ চিল্লা শেষ হয়েছে। ফিরতে ৮/৯ মাসের মতো বাকি।

*আমি ইস্তেখারা করেছি আমি জানি  না কেন জানি আমার মন চিল্লায় যাওয়া ওই পক্ষের দিকে টানছে আর ফিরতে সময় লাগবে শুনে আমার মন ও খারাপ হয়ে গিয়েছে। গতকালের প্রস্তাবে আমার আগ্রহই আসছে না। এমন না যে চিল্লায় যাওয়া ওই পক্ষ থেকে নিশ্চিত কিছু পেয়েছি, প্রস্তাব টাও আমাদের পক্ষ থেকেই গিয়েছে।তবে উনি আমার বায়োডাটা টা পছন্দের তালিকায় রেখেছিলেন।

*আমার কি ৮/৯ মাস অপেক্ষা করা উচিত হবে?  অপেক্ষার পর যদি উনার উত্তর না হয় তখন! নাকি গতকালের প্রস্তাবে কথা আগানো টা উচিৎ হবে।

* আমি কি করব বুঝতে পারছি না। আপনি খুবই সম্মানিত বিজ্ঞ একজন আমাকে একটু সাহায্য করলে মুনাসিব হয়।

আমি এখন কি করব বুঝতে পারছি না


*আরেকটা বিষয় আমার এক বান্ধবী বললো মেয়েরা প্রস্তাব পাঠানো নাকি ঠিক না। এতে নাকি মর্যাদা কমে যায়। যতই দ্বীনদার হোক নাকি মেয়েটার দাম কমে যায় এতে। আসললেই কি মেয়েদের প্রস্তাব পাঠানো দৃষ্টিকটু?
আমি যতদূর জানতাম নবীজীর কাছেও প্রস্তাব এসেছিলো।

1 Answer

0 votes
by (683,010 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যখন কারো সামনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এসে উপস্থিত হবে।এবং সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে, সে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবে।তাহলে এমন পরিস্থিতে তার জন্য উচিৎ ইস্তেখারা করা তথা ভালো দিক কে অন্বেষণ করা।অবশ্যই ইস্তেখারা, নামাযের মাধ্যমেই করবে। ইস্তেখারার পদ্ধতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এক হাদীসে বলেন, দুই রা'কাত নামায পড়ে বিশেষ মনোযোগের সাথে (নিম্নে উল্লেখিত) দু'আ পড়বে।তাহলে হয়তো তার মন কোনো এক দিকে ধাবিত হবে,বা সে স্বপ্নযোগে কোনো এক ইশারা পাবে।  এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1472


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইস্তেখারার অর্থ হল, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে রাব্বে কারীমের মদদ আর সাহায্য কামনা করা। সেটা হয়তো স্বপ্নের মাধ্যমে কাউকে ইঙ্গিত দেয়া হতে পারে আবার কারো অন্তরে সেদিকে টান অনুভব সৃষ্টি করা হতে পারে। যাইহোক, যতদিন না কোনো একদিকে মন স্থির হচ্ছে ততদিন ইস্তেখারা করবেন।জাযাকুমুল্লাহ। 

বিঃদ্রঃ
বিয়ের প্রস্তাব ছেলে মেয়ে যেকোনো পরিবার দিতে পারে। তবে আমাদের দেশের পরিবেশে মেয়ে পক্ষ থেকে প্রস্তাব গেলে ছেলে পক্ষ অবজ্ঞার দৃষ্টিতে দেখে। সুতরাং ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...