বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
পর্দা থেকে বাঁচার জন্য শিশুকে বুকের দুধ পান করানো কি ঠিক?
পর্দার হুকুম পালন করতে পারবে না-এ আশঙ্কায় দুধ পান করানো আদৌ সমীচীন নয়। কারণ স্বভাবগত কারণে মানুষ একেবারে পশুতে পরিণত না হলে কোনো রক্ত সম্পর্কীয় মাহরামের প্রতি তার কামভাবের উদ্রেক হয় না। কিন্তু দুধ ভাই-বোনের মধ্যে যেহেতু রক্ত সম্পর্ক নেই তাই তাদের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে কামভাবের উদ্রেক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য শরীয়তে দুধ ভাই-বোনের একত্রে নির্জনে অবস্থান করাকে নাজায়েয বলা হয়েছে। -রদ্দুল মুহতার ৬/৩৬৯)
لما في ردالمحتار-
(قوله إلا الأخت رضاعا) قال في القنية: وفي استحسان القاضي الصدر الشهيد، وينبغي للأخ من الرضاع أن لا يخلو بأخته من الرضاع، لأن الغالب هناك الوقوع في الجماع اهـ. (ردالمحتار ج:٦،ص:٣٩٦)
আর উক্ত কাজটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলারা আবেগের বশবর্তী হয়ে নিজেদের থেকেই করে ফেলে। অথচ স্বামীর অনুমতি ছাড়া অন্য কারো সন্তানকে দুধ পান করানো জায়েয নয়। অবশ্য কোনো শিশু যদি ক্ষুধার তাড়নায় ছটফট করতে থাকে এবং ক্ষুধায় মারা যাওয়ার উপক্রম হয় তখন জীবনরক্ষার প্রয়োজনে স্বামীর অনুমতির অপেক্ষা না করেই দুধ পান করাতে পারবে। -রদ্দুল মুহতার ৩/২১৩
وفي البحر عن الخانية: يكره للمرأة أن ترضع صبيا بلا إذن زوجها إلا إذا خافت هلاكه(ردالمحتار ج:٣،ص:٢١٣)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি এবং আপনার ঝা মিলে পর্দা রক্ষার জন্য যে দুধ পান করিয়েছেন, এটা জায়েয হয়নি। পর্দা সুবিধার নিমিত্তে দুধ পান করানো কখনো জায়েয হবে না। যাইহোক, আপনি আপনার ঝা এর যেই ছেলে সন্তানকে দুধ পান করিয়েছেন সেই সন্তানই কেবল আপনার মাহরাম হবে। এবং আপনার ঝা আপনার যেই মেয়ে সন্তানকে দুধ পান করিয়েছেন সেই মেয়ে সন্তান আপনার ঝা এর সন্তানদের মাহরাম হবে।
বিঃদ্রঃ
দুধ সম্পর্কের কারণে মাহরাম হলে, নির্জনে অবস্থান কিন্তু জায়েয হবে না।