আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
18 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (37 points)
১। ফরজ ওয়াজিব সুন্নাতে মুয়াক্কাদা আমল করতে কষ্ট হয় কারন আমি অলস প্রকৃতির মানুষ আমি  মোটা মানুষ  খাবার খাই বেশি  , অতিরিক্ত ঘামে ফেনের নিচেও ঘেমে পাঞ্জাবী ভিজে যায়, প্রসাব পায়খানার সমস্যা আছে প্রসাব ক্লিয়ার হতে দেরি হয় পায়খানা বেশি ধরে,মোটা হওয়ার কারনে পা ধরে যায়, শরীরের দূর্বলতার কারনে, অসুস্থতার কারনে, সফর করলে। ইবাদাত  করতে কষ্ট হয় নফসের সাথে জিহাদ করে যেতে হয় এবং সয়তানের কুমন্ত্রণা আছে।  ইবাদাতগুলো ছেরে দিলে বা আদায় করতে দেরি হলে মনে শান্তি পাই না আদায় করার পরে একটা শান্তি পাই । পাচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে পড়ার এবং ফরজ ওয়াজিব সুন্নাতে মুয়াক্কাদা   আমল গুলো করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি কিন্তু কষ্ট হয় ইচ্ছে করে না জোর করে করি । আর ইশা আর ফযর নামাজ পড়তে কষ্ট হয় ঠিক আছে  চেষ্টা করি পড়ার  কিন্তু সবচেয়ে বেশী ভারী কাজ মনে হয় না ইশা,  ফজর নামাজ পড়ার পর নিজেকে হালকা মনে হয় ফ্রি মনে হয় অনেক্ক্ষণ নামাজ নাই এটা সেটা করতে পারি ।যেকোনো কাজে গেলেও কিভাবে নামাজের সময় বের করতে পারি সেটাও চেষ্টা করি।   নিফাকের আলামত হবে কি হাদিস অনুযায়ী?

২।মাসআলা মানতে কষ্ট হয় ইচ্ছে করে না । কারন  নফসের সাথে জিহাদ করতে হয় আবার সয়তানের কুমন্ত্রনা তো আছেই। আর মাসআলা তো আর নফসের পছন্দ মত নাও হতে পারে। মানতে কষ্ট হলেও হক মনে করি  চেষ্টা করি পালন করার, না করলেও হক মনে করেই করি। হালাল হারাম বেচে চলার চেষ্টা করি। এই পরিস্থিতিতে নিফাকের আলামত হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (678,480 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
খাদ্য গ্রহণ কয়েকভাবে হতে পারে।
(১) ফরয: 
ঐ পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করা ফরয, যে পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করলে শারিরিক ক্ষতি থেকে মানুষ রক্ষা পাবে। যদি কেউ এই পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করা থেকেও বিরত থাকে , যেজন্য সে ধংসের দ্বারপ্রান্তে পৌছে যায়, তাহলে সে যেন নাফরমানিতে লিপ্ত হল।তবে যদি কেউ প্রফুল্লতার সাথে ইবাদত তথা নামায রোযা পালন করার জন্য এত্থেকেও বেশী খাদ্য গ্রহণ করে, তাহলে সে এজন্য সওয়াব পাবে।

(২) মুবাহ:
উপরে বর্ণিত খাদ্যর চেয়ে অতিরিক্ত এমন খাদ্য যা পরিতৃপ্তির কাছাকাছি থাকে, এ পর্যায়ের খাদ্য গ্রহণ করা মুবাহ। এ প্রকারের খাদ্যে কোনো লাভও নাই এবং লোকশানও নাই। হালাল থেকে পরিতৃপ্তি পর্যন্ত খাদ্য গ্রহণ করলে হালকা পাতলা হিসেব নেওয়া হতে পারে।

(৩) হারাম:
পরিতৃপ্তিরও অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ করা। তবে যদি আগামি দিনের রোযা রাখার ইচ্ছা হয়, অথবা মেহমানের সাথে খাদ্য গ্রহণ করতে যেয়ে মেহমানকে খাদ্য গ্রহণের সুযোগ দিতে গিয়ে পরিতৃপ্তির চেয়েও বেশী খাদ্য গ্রহণ করা হয়, তাহলে তা হারাম হবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3799

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি সুন্নাহ সম্মত খাবার গ্রহন করবেন। ইবাদতের অলসতা দূর হয়ে যাবে। ফজর এবং ইশার নামাযের পর নিজেকে হালকা মনে হলে, এজন্য আপনি মুনাফিক হবেন না। তাছাড়া প্রশ্নে আরো যতকিছু উল্লেখ করেছেন, এজন্য মুনাফিক হবেন না।

(২) এটা ঈমানের দুর্বলতা প্রমাণ করে, এই ঈমানের দুর্বলতার আরেক নাম আমলি মুনাফিক। তবে এজন্য এ'তেকাদি মুনাফিক হবেন না যার অপর নাম কুফরি। সর্বোপরি নেক ব্যক্তিবর্গের সাথে সুসম্পর্ক জারি রাখবেন। এবং বেশী বেশী ইস্তেগফার করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...