আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
প্রশ্ন ১ - কিছু দিন আগে মানে ৯ তারিখ আমার পিল খাওয়ার জন্য সাইড ইফেক্ট হিসেবে ব্লিডিং হয় ১২ তারিখ থেকে আমার ২ হায়েজের মধ্যবর্তী ১৫ দিন সময় শেষ হয়ে যায় তাই আমি তখন থেকে এটাকে হায়েজ হিসেবে ধরে নামাজ পড়া বন্ধ করি এমন ৪-৫ দিন হালকা ব্লিডিং হয় এরপর পবিত্র হয়ে আবার নামাজ শুরু করি।  কিন্তু আজ ২২ তারিখ আমার আগের হায়েজের ডেট অনুযায়ী আবার ব্লিডিং শুরু হয়েছে এখন এটা কি ইস্তেহাজা হিসেবে ধরে নামাজ পড়বো?

২/ ফরজ গোসল করতে গেলে কানের ছিদ্র দুল নাড়িয়ে পানি ঢুকাতে হয় এটা আগে জানা ছিল না তাই এমন করা হয়নি আমি কানে রিং পরতাম সবসময় এখন কিছুই পরি না। তো আগের ফরজ গোসল কি হয়নি আমার? আর এখন তো কানে কিছুই পরি না তাহলে এখন কি করব ফরজ গোসল করতে হলে?

1 Answer

0 votes
by (680,280 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
দুই হায়েযের মাঝখানে পাক থাকার মুদ্দৎ কমের পক্ষে পনের দিন, আর বেশীর কোন সীমা নাই। অতএব, যদি কোন মেয়েলোকের কোন কারণবশতঃ কয়েক মাস যাবৎ হায়েয বন্ধ থাকে, তবে যতক্ষণ পর্যন্ত ঋতুস্রাব না হইবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সে পাক থাকিবে।

(১৩) মাসআলাঃ 
যদি কোন মেয়েলোকের তিন দিন তিন রাত রক্ত দেখা যায়, তারপর ১৫ দিন পাক থাকে; আবার তিন দিন তিন রাত রক্ত দেখে, তবে আগেকার তিন দিন তিন রাত এবং পনের দিনের পর তিন দিন তিন রাত হায়েয ধরিবে। আর মধ্যকার দিন পাক থাকার সময়।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7474


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১২ তারিখে যেহেতু পূর্বের হায়েয থেকে ১৫ দিন অতিক্রম করেছে, তাই ১২ তারিখ পরবর্তী যেই রক্তস্রাব হয়েছে, সেটা হায়েয হিসেবে গণ্য হবে। পরবর্তীতে পূর্বের অভ্যাস মত যে রক্তস্রাব এসছে, সেটা ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য হবে।



(২) 
وَجَبَ تَحْرِيكُ الْقُرْطِ وَالْخَاتَمِ الضَّيِّقَيْنِ وَلَوْ لَمْ يَكُنْ قُرْطٌ فَدَخَلَ الْمَاءُ الثَّقْبَ عِنْدَ مُرُورِهِ أَجْزَأَهُ وَإِلَّا أَدْخَلَهُ وَلَا يَتَكَلَّفُ فِي إدْخَالِ شَيْءٍ سِوَى الْمَاءِ مِنْ خَشَبٍ وَنَحْوِهِ. كَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ.
আটালো নাকফুল এবং আংটিকে নাড়ানো ওয়াজিব। যদি নাকে কোনো নাকফুল না থাকে, বরং শুধুমাত্র নাকের ছিদ্র থাকে, এবং নাকের ঐ ছিদ্রে কোনো ভাবে পানি পৌছে যায়, তাহলে তা ফরয গোসল এবং অজুর জন্য যথেষ্ট। পানি ব্যতিত অন্যকোনো জিনিষ যেমন শলা ইত্যাদি নাকের ছিদ্রে প্রবেশ করিয়ে পানি পৌছানো জরুরী নয়। (বাহরুর রায়েক)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৪)
(রদ্দুল মুহতার-১/২৮৯, জাদীদ ফেকহি মাসাঈল-৮৯,জাদীদ মাসাঈল-৯৭)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...