আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
1. আসসালামু আলাইকুম।
আমার নানু অসুস্থ, (গত শুক্রবার উনি বিছানায় অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন,অজ্ঞান অবস্থায় কানের কাছে নামাজ এর সময় নামাজের কথা বললে জ্ঞান আসতো,অজ্ঞান বলতে ঔষধ এর রিয়েকশন এ  এই রকম ছিলেন, কিন্তু দিল সজাগ ছিলো,তায়াম্মুমের মাঠি দিয়ে তায়াম্মুম করছেন,নামাজ আমি কানে কানে কলা পর,শেষে দুয়ায় আমিন বলে মুখে হাত দিয়েছিলেন) আজ ২ দিনে হলো একটু ভালো আছেন কিন্তু উনার বুড়ো অবস্থায় যেরকম দিশেহারা মানুষ হয়ে যায় সেই রকম হয়ে গেছেন।এমতাবস্থায় নামাজ পড়তে গিয়ে কোন  ধাপ পর কোন ধাপ উনার কেয়াল থাকেনা, বসে বসে এক টানা সিজদা অ রুকু সুরা এইরকম পাঠ করছেন মানে কি পড়ছেন বুজা যাচ্ছে না কিন্তু নামাজের খুব টান।
এমতাবস্থায় আমি যদি উনার কানে কাছে আছতে আছতে ধারা বাহিকভাবে বলি উনি আমার সাথে পড়েন/মুখ নাড়ানো হচ্ছে আমি দেখেছি। উনি কানে কম শুনেন তাই একটু সাউন্ড করে বলা লাগে। প্রতি ওয়াক্ত এ এই রকম পড়ানো শেষে উনার মনে শান্তি কাজ করে, আমারও মনে হয় এইমাত্র উনার নামাজ পড়া শেষ হয়েছে।এবং পরবর্তী নামাজের জন্য যদি বলি ঐই  ওয়াক্ত এর মতো পড়বা আমি কি তুমার সাথে পড়বো,উনি বলেন এইতো আরও ভালো, শুরু করো।
কিন্তু আমার এইভাবে  পড়নো মামার পছন্দের না কারন মামা চান উনি নিজে নিজে পড়ুক,সবাই দেখতেছে যে উনি নামাজ পড়তে গিয়ে কোন ধাপ পর ধাপ পারছেন না মামা বলছেন উনার মতো উনাকে পড়তে দেই আমি পড়ে নিচ্ছি আমার নামাজ পড়া  হয়ে যাচ্ছে উনার না, এখন আমি  আফনার কাছে প্রশ্ন নিয়ে আসছি আপু,আমার পড়ানো কি সঠিক হচ্ছে? না উনাকে উনার মতো ছেড়ে দেয়া ভালো /নামাজে কোন ধাপ পর কোন ধাপ কিভাবে বলে দেয়া যাবে আমার পদ্ধতি ছাড়া?
মামার মত অনুযায়ী আমার পড়ানো পন্থা কি ভুল ছিল নাকি আমি ঠিক ছিলাম।আমি সংসয়ে আছি।
যদি বলে দিতেন।

২. আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।
যদি কারো জরায়ু অপারেশন হয় সে ক্ষেত্রে তার ওযুর বিধান কি??সে কি যে কয়দিন বেডে থাকবে সে কয়দিন তাইয়ুমুম করতে পারবে??নাকি তাকে অন্য কেউ ওযু করিয়ে দিবে??কোনটা তার জন্য উত্তম হবে?

৩. আমার পায়ে চর্মরোগ আছে,পানি লাগলে বেড়ে যায়।এখন আমি কি পা শুধু মাসহ করলে অজু হবে?আর মাসহ করলে কি পুরা পা ই মাসহ করব?নাকি তায়াম্মুম করব?

1 Answer

0 votes
by (689,100 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যে ব্যক্তি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে সর্বশেষ ইশারার মাধ্যমেও নামায আদায় করতে অক্ষম।এবং সুস্থতার আশা প্রায় গৌণ।এমন ব্যক্তি শরীয়তের বিধি-বিধানের মুকাল্লাফ নয়।অর্থাৎ ঐ ব্যক্তির যিম্মা থেকে নামায-কে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৭/৫৪৫,কিতাবুল ফাতাওয়া-৩/৪০৮)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1411


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি আপনার নানুকে উনার হালতের উপর ছেড়ে দিবেন। নামাযে অন্যের ডাইরেকশনে নামাযের রুকুন সমূহ আদায় করা হলে, নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।  সুতরাং নানু উনার সক্ষমতা অনুযায়ী যেভাবে নামায পড়বেন, সেভাবেই আল্লাহ কবুল করবেন। আপনি ডাইরেকশন দিতে যাবেন না। 

(২)
فَإِنْ كَانَ الْأَكْثَرُ صَحِيحًا وَالْأَقَلُّ جَرِيحًا يُغْسَلُ الصَّحِيحُ وَيُمْسَحُ عَلَى الْجَرِيحِ إنْ أَمْكَنَهُ وَإِنْ لَمْ يُمْكِنْهُ الْمَسْحُ يَمْسَحُ عَلَى الْجَبَائِرِ أَوْ فَوْقَ الْخِرْقَةِ وَلَا يَجْمَعُ بَيْنَ الْغُسْلِ وَالتَّيَمُّمِ. 
যদি শরীরের বা অজুর অঙ্গ সমূহের অধিকাংশ অংশ সুস্থ থাকে,এবং সামান্য অংশ যখমি থাকে,তাহলে সুস্থ অঙ্গ সমূহকে পানি দ্বারা ধৌত করা হবে,এবং যখমি স্থানকে মাসেহ করা হবে।যদি মাসেহ করাও সম্ভব না হয়, তাহলে ব্যান্ডেজের উপর মাসেহ করা হবে।তারপরও ধৌতকরণ এবং তায়াম্মুমকে একসাথে একই অজু বা গোসলে জমা করা যাবে না।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৮) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/53021


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জরায়ু অপারেশন হলে, অজুতে তো সমস্যা হওয়ার কথা না। বরং তখন তিনি অজু করেই নামায আদায় করবেন।

(৩) হ্যা, পাকে শুধু মাসেহ করলেই হবে। অজুর অন্যান্য অঙ্গকে ধৌত করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...