আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
22 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। দ্বীনে ফেরার আগে না বুঝে আমি একটা রিলেশনে জড়িয়ে পড়েছিলাম। ঐটা কয়েকমাস গিয়েছিল। না বুঝে ছেলের সাথে ২বার দেখা করি। তখন সে আমার হাত ধরে, জড়িয়ে ধরে এবং চুমু দেয় (আল্লাহুম্মাগফিলী)। এটা প্রায় ৭ বছর আগের কাহিনী। ২৫ সালে আমার এক জায়গায় বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। ছেলের আগে এক জায়গায় বিয়ে হয়। ঐ মেয়ে পরকীয়া করছিল দেখে ছেলে বিয়ের কয়েকমাস পরপরই ডিভোর্স দিয়ে দেয়। তো ডেইট ফিক্সড হবে হবে এমন সময় ছেলে আমার সাথে কথা বলতে চায়। ১ম দিন আনইজি ফিল করছিল তাই আর কথা বলতে পারে নি। ছেলে আমাকে আমার অতীত সম্পর্কে প্রশ্ন করে এবং আমি প্রতারণা করবো না বলে সবকথা বলে দি। এখানে একটা প্রশ্ন, আমার এই অতীত সম্পর্কে কি আমার জীবনসঙ্গীকে বলবো? না বললে কি তার সাথে প্রতারণা হবে? আমি এই গুনাহ নিয়ে খুব অনুতপ্ত। আল্লাহ আমায় ক্ষমা করুন।

পরবর্তী তে ছেলে কিছু সময় নেই। আমি বুঝতে পারি, ছেলের এটা মানতে কষ্ট হচ্ছে এবং আমিও চাচ্ছিলাম এখানে যেন বিয়ে না হয়। এরপর কয়েকদিন পরপর ছেলে আমাকে নক করে করে প্রশ্ন করে। এটা কিভাবে হয়েছে, ঐটা কিভাবে হয়েছে ইত্যাদি। এরপর ছেলে আমাকে প্রশ্ন করে বসে, আমাকে ঐ ছেলে টাচ করেছে কি না। আমি শুধু হাত ধরার ব্যাপারটা বলেছিলাম। কারণ ঐগুলা বললে, আমার এবং ফ্যামিলির মান সম্মান নষ্ট হবে। এরপর ছেলে আমাকে আল্লাহর কসম কাটতে বলে আমি এরকম কিছু প্রশ্নে কয়েকবার কসম কাটি। ছেলে আমাকে বলেছিল, এরকম কিছু থাকলে আমাকে আপনি রিজেক্ট করে দিতে পারেন। আমি এভাবে রিজেক্ট করে দিলেও তো সমস্যা। তাই আল্লাহকে বলতাম যেন এটা ভেঙ্গে যায়। কারণ এই মিথ্যে কসমের উপর সংসার করতে আমার কষ্ট হবে। পরবর্তী তে এটা অন্যভাবে ঘুরে যায় এবং ছেলে সময় চায়। এরপর রাজি হয়ে আবার আসে। অন্য এক কারণে ছেলে আবার পিছিয়ে যায়। এখন আবার আসবে এবং বিয়ের কথাবার্তা হবে বলে মনে হচ্ছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, তাকে করা এই মিথ্যা কসমের জন্য কি কাফফারা কি দিতে হবে? নাকি তওবা করলে আল্লাহ এই বড় গুনাহ মাফ করে দিবেন?

1 Answer

0 votes
by (648,630 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

সুরা মায়েদার ৮৯ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন 
 لَا یُؤَاخِذُکُمُ اللّٰہُ بِاللَّغۡوِ فِیۡۤ اَیۡمَانِکُمۡ وَ لٰکِنۡ یُّؤَاخِذُکُمۡ بِمَا عَقَّدۡتُّمُ الۡاَیۡمَانَ ۚ فَکَفَّارَتُہٗۤ اِطۡعَامُ عَشَرَۃِ مَسٰکِیۡنَ مِنۡ اَوۡسَطِ مَا تُطۡعِمُوۡنَ اَہۡلِیۡکُمۡ اَوۡ کِسۡوَتُہُمۡ اَوۡ تَحۡرِیۡرُ رَقَبَۃٍ ؕ فَمَنۡ لَّمۡ یَجِدۡ فَصِیَامُ ثَلٰثَۃِ اَیَّامٍ ؕ ذٰلِکَ کَفَّارَۃُ اَیۡمَانِکُمۡ اِذَا حَلَفۡتُمۡ ؕ وَ احۡفَظُوۡۤا اَیۡمَانَکُمۡ ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰہُ لَکُمۡ اٰیٰتِہٖ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۸۹﴾

আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অর্থহীন কসমের ব্যাপারে, কিন্তু যে কসম তোমরা দৃঢ়ভাবে কর সে কসমের জন্য তোমাদেরকে পাকড়াও করেন। সুতরাং এর কাফফারা হল দশ জন মিসকীনকে খাবার দান করা, মধ্যম ধরনের খাবার, যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে খাইয়ে থাক, অথবা তাদের বস্ত্র দান, কিংবা একজন দাস-দাসী মুক্ত করা। অতঃপর যে সামর্থ্য রাখে না তবে তিন দিন সিয়াম পালন করা। এটা তোমাদের কসমের কাফ্ফারা, যদি তোমরা কসম কর, আর তোমরা তোমাদের কসম হেফাযত কর। এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ বর্ণনা করেন যাতে তোমরা শোকর আদায় কর। 
,
★সুতরাং শপথ তিন প্রকার। এক. যদি অতীত ঘটনা সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা শপথ করা হয়, তাকে 'ইয়ামিনে গুমুস' বা পাপে নিমজ্জিত শপথ বলা হয়। উদাহরণত, কেউ কোনো কাজ করে জেনেশুনে শপথ করে বলল যে সে কাজটি করেনি। এ মিথ্যা শপথ কবিরা গুনাহ। তবে এর জন্য কাফফারা ওয়াজিব হবে না।

দুই. নিজ ধারণায় সত্য মনে করে কোনো অতীত ঘটনা সম্পর্কে শপথ করা। অথচ বাস্তবে তা অসত্য। যেমন- কোনো অসমর্থিত সূত্রে জানা গেল, অমুক ব্যক্তি এসে গেছে। এর ওপর নির্ভর করে কেউ আল্লাহর নামে শপথ করে বলল, 'অমুক ব্যক্তি এসে গেছে।' এরপর দেখা গেল, এটি বাস্তবের বিপরীত। এ ধরনের শপথকে 'ইয়ামিনে লগ্ভ' বলা হয়। 

এ ছাড়া অনিচ্ছাকৃতভাবে মুখে শপথবাক্য উচ্চারিত হলে একেও 'ইয়ামিনে লগ্ভ' বা অহেতুক শপথ বলা হয়। এ-জাতীয় শপথে কোনো গুনাহ নেই। কাফফারাও দিতে হয় না।

তিন. আল্লাহর নাম নিয়ে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার শপথ করা। এ রকম শপথকে 'ইয়ামিনে মুনআকিদ' বা কার্যকর শপথ বলা হয়। এ শপথ ভঙ্গ করলে কাফফারা ওয়াজিব হবে। এমনকি কোনো কোনো অবস্থায় গুনাহও হয়।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মিথ্যা কসমের কারনে কাফফারা দিতে হবেনা।
এক্ষেত্রে খালেস দিলে তওবাই যথেষ্ট। 
খালেস দিলে তওবা করলে ও আগামীতে এহেন গুনাহ করবেননা বলে আল্লাহর কাছে ওয়াদাবদ্ধ হলে সেক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন।

পূর্বের রিলেশনের কথা পাত্রকে জানানোর বিধান জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...