আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
edited by
১. আমার হাসবেন্ড রেশন পায় প্রতি মাসে।যেহেতু রেশন বউ,বাচ্চা আর হাসবেন্ড এর জন্য আসে সরকারের পক্ষ থেকে।আমার শাশুড়ী বলছে কিছু রেশন উনাকে দিতে।আমি বলছি হাফ উনাকে দিয়ে হাফ আমরা খাব।কারণ ২ টা পরিবার চলা যায় এক মাসের রেশন দিয়ে এক মাস।আমার শাশুড়ী কেই বেশি দেওয়া হইছে প্রথম থেকে।উনি রিলেটিভদের দিতে চাইছে।আমার হাসবেন্ড দিত আমদের না দিয়েও বা কম দিয়েও।আমার হাসবেন্ড বলে আমাকে কিনে খাওয়াবে কিন্তু রেশন তার মা চায়।উনি বেঁচে থাকতে উনাকে পুরাটা দিবে।উনি চাইছে তাই নাকি উনাকে দেওয়া ফরজ।উনার এমন ভাবনা কি ঠিক আছে?
আমাদের জন্য সরকার দিচ্ছে,আমদের না দিলে আমাদের হক কি নষ্ট করা হবেনা?
আমাদের ইনফরমেশন দেওয়া আছে ৩জনের।তিন জনের হিসেবেই রেশন আসে।

২.
আসসালামু আলাইকুম!

(প্রশ্ন- তার কাজিনকে স্বপ্নে ঘন ঘন দেখা টা কি নরমাল?
এখন তার করণীয় কি)

( প্লিজ স্পেসিফিক এন্সার দিয়েন, রিলেটেড টপিকের কোনো লিংকের মাধ্যমে এন্সার দিয়েন না)

ডিটেইলস ⤵️

আমার এক ফ্রেন্ডের ফ্যামিলিতে তার ৩ চাচার ৩ মেয়ে, খুবই নরমাল জিনিস নিয়ে একটু রাগারাগি করে সুই*সাইড (গলায় দড়ি দিয়ে) করে!

১ম জন - ছোটো ভাইয়ের সাথে একটু ঝগড়া হওয়াতে!
২য় জন - মায়ের সাথে কথা কাটাকাটি নিয়ে ( কোনো সিরিয়াস বিষয়ে না,  কোনো সিরিয়াস ঝগড়াও না)
৩য় জন - বার্থে ডে তে বেশি টাকা খরচ করায়,  মা বকা দিসে!
অর টা বেশি এবনরমাল ছিলো, কারণ দিনে ঝগড়া হইছে, রাতে সব ঠিকঠাক,  নামায পড়ছে, মা রাগ ভাংগায় খাওয়ায় দিছে, দ্যান সকালে সে ঘুম থেকে উঠে গলায় দ*ড়ি দিয়ে ফ্যা*নে ঝুলে যায়!
-

৩ জনই 8/9 এ উঠেই, এই কাজ করছে, এন্ড পর পর ৩ বছরেই এই ৩ টা কাহানী হইছে!

এখন, আমার ফ্রেন্ডের ছোটো বোন, লাস্ট যেই মেয়েটা মারা গেছে, তার সাথে এক ক্লাসে পড়ত, ক্লোজ ছিলো ভালোই!
তার কাজিন ৯ এ থাকতে মারা যায়, আর সে এখন এইচএসসি দিচ্ছে!
কিন্তু সে ঘন ঘন তার কাজিনকে স্বপ্নে দেখছে, কথা বলছে, নরমাল লাইফের মত!
এখন আমার ফ্রেন্ডের আব্বু আম্মু ভয় পাচ্ছে, কারণ অরও অনেক জেদ বেশি, কিছু বললেই রেগে যায়!
 -

( তার আরেক চাচাও এভাবে সুইসাইড করেছিলো, অনেক আগে)!

1 Answer

0 votes
by (658,410 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদিস শরিফে এসেছে, 
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘খরচের ব্যাপারে তুমি আগে নিজের প্রয়োজনীয় খরচের দায়িত্বশীল, তারপর তোমার স্ত্রীর, তারপর সামর্থ্য হলে তোমার নিকটাত্মীয়ের খরচ তোমার ওপর বর্তাবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস ৯৯৭)

মা-বাবা  ভরণ-পোষণের অধিকারী হওয়ার জন্য শর্ত হলো দুটি।
★এক. তাঁরা এমন দরিদ্র হতে হবে যে তাঁরা নিজের মালিকানার সম্পদে চলতে অক্ষম। এখন কথা হলো, যদি তাঁরা উপার্জনের শক্তি রাখে, তাহলেও তাঁদের সন্তানদের ভরণ-পোষণ দিতে হবে কি না? এ ক্ষেত্রে বিধান হলো, তাঁদের উপার্জনের শক্তি থাকলেও যদি তাঁদের কাছে চলার মতো নগদ টাকাকড়ি না থাকে, তাঁদের সন্তানদের ভরণ-পোষণ দিতে হবে। তাদের সন্তানরা এ কথা বলতে পারবে না যে আপনি তো উপার্জনে সক্ষম, আপনি নিজে উপার্জন করে চলুন। তবে যদি তাঁরা ধনী হন, তথা তাঁদের মালিকানায় নগদ এমন সম্পত্তি থাকে, যা দ্বারা তাঁরা শান্তিতে কালাতিপাত করতে পারেন, তাহলে সন্তানদের ওপর তাঁদের ভরণ-পোষণ দেওয়া ওয়াজিব নয়।

★দুই. সন্তান-সন্ততি সামর্থ্যবান ও উপার্জনে সক্ষম হতে হবে। তাদের সামর্থ্যবান হওয়ার পরিমাণ হলো, তাদের মালিকানার সম্পত্তি বা উপার্জনকৃত আয়ের দ্বারা নিজের ও নিজের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততির স্বাভাবিক ভরণ-পোষণের পর অতিরিক্ত সম্পদ থাকতে হবে। অন্যথায় তাদের উপার্জনকৃত আয়ের মধ্য থেকে যদি তার নিজের ও স্ত্রী বা সন্তান-সন্ততির ভরণ-পোষণের অতিরিক্ত সম্পদ না থাকে, তাহলে মা-বাবা ও ঊর্ধ্বতন আত্মীয়ের ভরণ-পোষণ দেওয়া ওয়াজিব নয়। যদিও এ ক্ষেত্রে উত্তম হলো, কষ্ট হলেও যথাসাধ্য মা-বাবারও ভরণ-পোষণের খরচ চালিয়ে যাবে। (তাবঈনুল হাকায়েক : ৩/৬৪, রদ্দুল মুহতার : ২/৬৭৮)

সন্তান তার উপার্জনকৃত আয় থেকে নিজের, স্ত্রীর ও সন্তান-সন্ততির ভরণ-পোষণের পর অতিরিক্ত সম্পদ না থাকলে যদিও মা-বাবাকে ভিন্নভাবে ভরণ-পোষণ দেওয়া ওয়াজিব নয়, কিন্তু অভাবগ্রস্ত ও উপার্জনে অক্ষম মা-বাবাকে ছেলে নিজের দারিদ্র্য সত্ত্বেও নিজের সংসারের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে হবে এবং কষ্ট হলেও যথাসাধ্য মা-বাবারও ভরণ-পোষণ চালিয়ে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া : ১/৪৬৫)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

কাউকে রেশন দেয়া হলে তাঁর উপর নির্ভরশীল সদস্যরা রেশনের হকদার হন, অর্থাৎঃ-
স্ত্রী
সন্তান
পরবর্তী তার বাবা মা যদি এমন দরিদ্র হন যে তাঁরা নিজের মালিকানার সম্পদে চলতে অক্ষম,এবং স্বামীর মালিকানার সম্পত্তি বা উপার্জনকৃত আয়ের দ্বারা নিজের ও নিজের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততির স্বাভাবিক ভরণ-পোষণের পর অতিরিক্ত সম্পদ থাকে,এবং  তাঁদের আলাদা রেশন কার্ড না থাকে।

প্রথম অধিকার থাকে সেইসব সদস্যদের, যারা রেশন কার্ডে নাম অন্তর্ভুক্ত এবং স্বামীর উপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল।

স্ত্রী ও সন্তান সাধারণত প্রথম শ্রেণির নির্ভরশীল, তাই তাঁরা সরাসরি হকদার।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার স্বামীর জন্য রেশন আপনাদের উপর খরচ করা আবশ্যক। 
আপনার শশুর শাশুড়ীর উপর নয়।

হ্যাঁ যদি এক্ষেত্রে আপনারা সকলে রাজী হয়ে আপনার শশুর শাশুড়ীর জন্য কিছু বরাদ্ধ রাখেন,এতে কোনো সমস্যা নেই।

অথবা আপনার স্বামীর বাবা মা যদি এমন দরিদ্র হন যে তাঁরা নিজের মালিকানার সম্পদে চলতে অক্ষম,এবং আপনার স্বামীর মালিকানার সম্পত্তি বা উপার্জনকৃত আয়ের দ্বারা নিজের ও নিজের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততির স্বাভাবিক ভরণ-পোষণের পর অতিরিক্ত সম্পদ থাকে,এবং  তাঁদের আলাদা রেশন কার্ড না থাকে,সেক্ষেত্রে সাধ্য অনুযায়ী তাদের ভরনপোষণ এর ব্যবস্থা করা আপনার স্বামীর উপর আবশ্যক। 
এক্ষেত্রে রেশন হতে কিছু বেঁচে গেলে অবশিষ্ট অংশ তাদেরকে দিতে পারে।

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যে বোন ঘন ঘন তার কাজিনকে স্বপ্নে দেখছে, তার জন্য করনীয় হলো নিজের আমল বাড়িয়ে দিতে হবে,দ্বীনদার লোকদের সাথে উঠাবসা করতে হবে,পবিত্র হালতে থাকতে হবে,অহংকার থেকে বেঁচে থাকতে হবে। 
বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত, যিকির আযকার,ফরজ সহ নফল নামাজ পড়তে হবে। 
,
স্বপ্নের কথা কাউকে বলা যাবেনা।

চাইলে কিছু টাকা দান ছদকাহ করতে পারে।

★আত্মহত্যা থেকে বাঁচতে করনীয় জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...