আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
40 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
কোনো মেয়ের যদি একটা ছেলেকে পছন্দ হয়,, ছেলেটি পাশের গ্রামের হওয়ায় ,, ছেলেটি সম্পর্কে মেয়েটি জানে যে ছেলেটির আখলাক ভালো দিনদারিতা আছে,,, কিন্তু মেয়ের থেকে একটু আর্থিক স্বচ্ছলতা কম এবং ছেলেটি সরকারি চাকরি জীবী নয় তাই মানতে রাজি নয়,,, এবং মেয়েটিকে কলেজে পড়াচ্ছে ,,,বয়স 20 বছর এর বেশি হয়েছে মেয়েটির,, মেয়েটিকে কলেজে পড়াচ্ছে কারণ কোনো চাকরি জীবী ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য,,, এবং চাকরি জীবী ছেলেরা শিক্ষিত মেয়ের সঙ্গে বিয়ে করতে চায়,,,মা আব্বারা সেরকম ইসলামিক আইন কে গুরুত্ব দেয় না,,, নামাজ রোজা করে কিন্তু ইসলামিক ব্যাপার সেটুকু মানবে যতটা মা আব্বার পছন্দ হচ্ছে বাকি আর মানতে চায় না.... মেয়েটা এমন পরিবেশে আছে যেটা ইসলামিক একদম নয় .. মেয়েটা যে কলেজে পড়তে সেখানে শিক্ষার্থীরা মেয়ে কিন্তু শিক্ষক পুরুষ আছে... কলেজ যাওয়ার সময় বাস অটো করে যেতে হয় নন মাহারাম এর স্পর্শ লেগে যায় অনেক সাবধানের পরেও... মেয়েটা চায় ওই পছন্দের ছেলের সাথে বিয়ে করতে নিজের দ্বীনদারি বজায় রাখতে ,,,,, বি দ্রঃ : মেয়েটি কোনো হারাম সম্পর্কে জড়িয়ে নাই


মেয়েটির কী করা উচিত

1 Answer

0 votes
by (77,280 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/48701 নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

মাতাপিতার বৈধ আদেশ মানা, তাদের সাথে উত্তম আচরণ করা শরীয়ত কর্তৃক আবশ্যক ঘোষনা করা হয়েছে।

■ আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ إِحْسَانًا ۖ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ كُرْهًا وَوَضَعَتْهُ كُرْهًا ۖ وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلَاثُونَ شَهْرًا

আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। তার মা তাকে কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়তে লেগেছে ত্রিশ মাস।” (সূরা আহকাফ-১৫)

,

■ আল্লাহ তা'আলা আরোও বলেন,

وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلاَهُمَا فَلاَ تَقُل لَّهُمَآ أُفٍّ وَلاَ تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلاً كَرِيمًا

তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা। (সূরা বনী ইসরাঈল-২৩)

,

সর্বদা পিতা মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা ও তাদের কথা মান্য করা সন্তানের দায়িত্ব৷ 

■ আল্লাহ তায়ালা বলেন-

وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۚ إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا

তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা। (সূরা বনী ইসরাঈল, ২৩)

,

https://ifatwa.info/44421/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ও প্রেম ভালবাসা হারাম।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,

.............. وَعَسَى أَن تَكْرَهُواْ شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَعَسَى أَن تُحِبُّواْ شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ وَاللّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ

..........পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না। (সূরা বাকারা-২১৬)

,

অভিভাবক ছাড়া বিবাহ সংক্রান্ত জানুনঃ https://ifatwa.info/4801/ 

নিজে নিজে বিয়ে সম্পর্কে আরো জানুন- https://ifatwa.info/2730/ 

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

,

মাতাপিতার সন্তুষ্টি ও অনুমতি নিয়ে সবাইকে অগ্রসর হতে হবে এবং মাতাপিতার সন্তুষ্টিই দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণের উত্তম মাধ্যম। আপনি প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে মহব্বত, ভালোবাসা ও নরম ভাবে পিতা-মাতাকে আরো বুঝাতে থাকুন। প্রয়োজনে আপনি নিজে না বুঝিয়ে আপনার নিকট আত্মীয়দের কারোর মাধ্যমেও বুঝাতে পারেন যাদের কথা আপনার পিতা-মাতা শুনবে। 

,

কে আপনার জন্য কল্যাণকর আর কে অকল্যাণকর? তা আল্লাহই ভালো জানেন। সুতরাং নির্দিষ্টকরে কাউকে পাওয়ার জন্য দু'আ না করে বরং যা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে, যিনি আপনার জন্য কল্যাণকর হবেন, তার জন্যই আপনি দু'আ করবেন।

,

আল্লাহর কাছে এভাবে দু'আ করবেন,

হে আল্লাহ! যে আমার জন্য কল্যাণকর হবে, তাকেই আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে দিয়ে দেন। অথবা ঐ ছেলে যদি আমার জন্য কল্যাণকর হয়, তাহলে তাকেই আমার জন্য জীবন সাথী বানিয়ে দিন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...