আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ

** উস্তাজ ফরজ গোসল করার সময় লজ্জাস্থানের ভেতর পরিষ্কার করা। এখানে মূলত লজ্জাস্থানের ভেতর বলতে কোন পর্যন্ত বুঝানো হচ্ছে? লজ্জাস্থানের ছিদ্র পর্যন্ত? আর রোজা অবস্থায় এরুপ করলে কি ভেঙ্গে যাবে রোজা? পরিষ্কার না করলে তো গোসলই হবে না তাইনা?! আমি অত্যন্ত দুঃখিত এভাবে প্রশ্ন করার জন্য কিন্তু এই বিষয়টা আমার কাছে ঘোলাটে লাগে।

** পুরোপুরি মাজুর নয় কিন্তু সাদা স্রাবের সমস্যাগ্রস্থ ব্যক্তি মাসিকের রাস্তায় টিস্যু দিয়ে নামাজ পড়তে পারবে । অনেক সময় দেখা যায় যে টিস্যু দেওয়ার সময় হাত হাল্কা ভিজা থাক্লে বা লজ্জা স্থানের ভেতরে ভিজা থাকলে টিস্যুর বাহিরের অংশ হাল্কা ভিজে যায়। এটাতে কি কোনো প্রব্লেম হবে? নাপাকির কারণে ভিজে না বরং লজ্জাস্থানের ভেতরে ইস্তেঞ্জার সময় প্রবেশ করা পানি বা ভিজা হাত দ্বারা ধরার কারণে হাল্কা ভিজে বা ঠান্ডা হয়ে যায় আরকি। আমার এটা নিয়ে ওয়াসওয়াসার পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। যোহরের নামাজে দাঁড়ালে আমি সুন্নত পড়ে একবার চেক করি যে টিস্যু ভিজলো কিনা তারপর আবার অজু করে ফরজ সুন্নত পড়ি। বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় যে টিস্যুর ভিতরের অংশে একদমই অল্প স্রাব থাকে। সেটার দ্বারা বাইরের অংশ ভেজার উপায় নেই। কিন্তু বাইরের অংশ হাল্কা ভিজা থাকে ঘাম বা পানি এই জাতীয় কিছুর কারণে।
** উস্তাজ আমার ইস্তেহাজা জনিত সমস্যার কারণে কয়েক ওয়াক্ত নামাজ কাজা হয়। ওই সময়ে আমি মুসাফির ছিলাম(জুলাই মাসে)। আর এর আগেরও কয়েক ওয়াক্ত নামাজ কাজা ছিল সেম কারণে(জুন মাসে)। আমি এই কয়েকদিনে সেগুলো আদায় করছিলাম। কিন্তু আমি গতকাল ফিকহ এর ক্লাসে জানলাম যে মুসাফির অবস্থায় কাজা হওয়া সালাত পরবর্তীতে আদায় করার সময় সংক্ষিপ্ত সালাতই পড়তে হবে। আমি এতদিন পূর্ণাংগ সালাত পড়েছি এবং নিয়ত করেছি যে আমার জিম্মায় থাকে শেষ ফজর/যোহর/আসর এর কাজা আদায় করছি এমন করে। এখন আমার কথা হচ্ছে জুলাই মাসে কাজা হওয়া গুলো তো আমার সংক্ষিপ্ত পড়তে হবে কিন্তু আমি এতদিন যেগুলো আদায় করেছি সেগুলোর কি হবে? আমি কি সেগুলোকে জুন মাসে কাজা হওয়া সালাতগুলো আদায় হয়ে গেছে সেই হিসেবে ধরতে পারবো?

1 Answer

0 votes
by (680,280 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
গোসলের ফরয ১১টি।
(১)মুখ ধৌত করা।
(২)নাক ধৌত করা।
(৩)সমস্ত শরীর একবার ধৌত করা।
গোসলের ফরয সাধারনত এ তিনটিই। কেননা সমস্ত শরীরের মধ্যে পরবর্তী সবগুলাই ঢুকে গেছে।কিন্ত বিশেষ গুরুত্বের ধরুণ কোনো কোনো কিতাবে পৃথক পৃথক করে গননা করা হয়।
(৪)খতনাবিহীন ব্যক্তির পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগের চামড়া যদি খুলতে কষ্ট হয়,তবে তার ভেতরাংশ ধৌত করা।
(৫)নাভি ধৌত করা।
(৬)শরীরের এরূপ ছিদ্রে পানি পৌঁছানো, যা বুঁজে যায়নি। 
(৭)পুরুষের চুলের বেণীর ভেতরে পানি পৌঁছানো, এতে চুলের গোড়ায় পানি পৌঁছা বা না পৌঁছার কোন শর্ত নেই।তবে মহিলার চুলের গোড়ায় যদি পানি পৌঁছে, তাহলে মহিলার চুলের বেণীর ভেতরে পানি পৌঁছানো ফরয নয়।
(৮)দাড়ির ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(৯)গোঁফের ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(১০)ভ্রুর ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(১১)যোনি মুখবরনের বহিরাংশ ধৌত করা।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/229

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
লজ্জস্থানের বাহিরের অংশ পরিস্কার করাই ফরয গোসলের জন্য যথেষ্ট। আর রোযা না হলে যথাসম্ভব ভিতরের অংশকে ধৌত করা উত্তম ও মুস্তাহাব।

(২)
কুরসুফ ঐ তুলা বা তুলা জাতীয় জিনিষকে বলা হয়,যা পবিত্রতা/অপবিত্রতাকে পরীক্ষা করার জন্য মাসিকের রাস্তায় প্রবেশ করানো হতো।

এর বিধান সম্পর্কে রাহরুর রায়েক গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে-
ثُمَّ وَضْعُ الْكُرْسُفِ مُسْتَحَبٌّ لِلْبِكْرِ فِي الْحَيْضِ وَلِلثَّيِّبِ فِي كُلِّ حَالٍ وَمَوْضِعُهُ مَوْضِعُ الْبَكَارَةِ وَيُكْرَهُ فِي الْفَرْجِ الدَّاخِلِ. اهـ.
وَفِي غَيْرِهِ أَنَّهُ سُنَّةٌ لِلثَّيِّبِ حَالَةَ الْحَيْضِ مُسْتَحَبَّةٌ حَالَةَ الطُّهْرِ وَلَوْ صَلَّتَا بِغَيْرِ كُرْسُف ٍجَازَ.
অবিবাহিত মহিলাদের জন্য মাসিকের সময় কুরসুফ ব্যবহার করা মুস্তাহাব।আর বিবাহিত মহিলার ক্ষেত্রে সর্বাবস্থায়ই সেটার ব্যবহার মুস্তাহাব।কুরসুফ রাখার স্থান হল, মাসিকের রাস্তার প্রবেশ মূখ। কিন্তু লজ্জাস্থানের ভিতরে কুরসুফ প্রবেশ করানো মাকরুহ।
অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, বিবাহিত মহিলার ক্ষেত্রে মাসিকের সময় সুন্নাত এবং পবিত্র সময়ে মুস্তাহাব। বিবাহিত/অবিবাহিত উভয়-ই যদি কুরসুফ ব্যতীত নামায পড়ে নেয়,তাহলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।
বাহরুর রায়েক-১/২০৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/497

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
টিস্যু দেওয়ার সময় হাত হালকা ভিজা থাকলে বা লজ্জা স্থানের ভেতরে ভিজা থাকলে, টিস্যুর বাহিরের অংশ হালকা ভিজে যায়, এদ্বারা পবিত্রতায় কোনো সমস্যা হবে না।

(৩) সফরের কাযা হওয়া নামায মুকিম অবস্থায় কাযা করলে কসর নামায কাযা করতে হবে। যদি কেউ পূর্ণ নামায পড়ে নেয়, এবং দুই রাকাত পরবর্তী বৈঠক করে, তাহলে নামায হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...