السلام عليــــــكم ورحمة الله وبركاته
মুসলমানকে গালিগালাজ করা তো ফাসেকী। কেউ যদি বুঝ হবার পর থেকে মুখে অশ্লীল শব্দ বা গালাগালি উচ্চারণ না করে, কিন্তু একটি মানুষের ওপরে ধৈর্য হারিয়ে হিতাহিত জ্ঞান ভুলে মেসেজে গালি লিখে ফেলে, অতঃপর তাওবা করে এবং যথাসম্ভব ধৈর্য ধরে এভাবে চার মাস ছয় মাস এমনকি বছরখানেক এসব না করে,
১. তাহলে কি তাকে ফাসিক ডাকা যাবে?
২. ব্যক্তির প্রকাশ্য গুনাহের চেয়ে প্রকাশ্য নেক আমল (রিয়ার উদ্দেশ্যহীন) যদি বেশি হয়, তাহলে কি তাকে ফাসিক বলা যাবে?
৩. ফাসিক সম্বোধনকারী কি গুনাহগার হবে?
৪. আল্লাহ কি ধৈর্যধারণের জন্য সেই ‘ফাসিক’ ব্যক্তিকে জাযা দিবেন, নাকি পরবর্তীতে আবার একই গুনাহ করে ফেলার জন্য তার আগের ধৈর্য অর্থহীন হয়ে পড়বে?
তোহমতকারীর শাস্তি ৮০ বেত্রাঘাত। যতদূর জানি, মালেকী, শাফেয়ী ও হাম্বালী মাযহাব মোতাবেক সে যদি তাওবা করে তবে তার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে।
৫. হানাফী মাযহাব অনুযায়ী তার সাক্ষ্য কি কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না যদিও সে তাওবা করে জবানের উপর কঠোর হয়ে যায়?
কোনো একজন লোক আজকের আগের তার জীবন সম্পর্কে একটা ভালো কথাও মনে করতে পারে না। মনে হয় সবসময়ই সে গুনাহ করে এসেছে। গুনাহগুলোই মনে পড়তে থাকে আর সে আন্তরিকভাবে তাওবা করতে থাকে। যেসব বান্দার হক সরাসরি নষ্ট করেছে তাদের কাছে ক্ষমা চায়, যারা জানে না তাদের হয়ে আল্লাহর কাছে তাদের জন্য ক্ষমা চায়। এভাবে অনেকদিন পার হওয়ার পরে তার মনে পড়ে সে নিজেকে যত অপরাধী মনে করেছে, আসলে সে সেরকম ছিল না। সে যতকিছু ভালো কাজ করেছে সেগুলোও মনে পড়ে এখন এসে।
৬. এই মনে হওয়ার কারণ কি হতে পারে, আল্লাহ তাকে এতদিন তাওবার দিকে উদ্বুদ্ধ করেছেন আর এখন মাফ করে দিচ্ছেন?
৭. যাদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার পরেও তারা মাফ করতে রাজি না, হাশরের মাঠে দেখে নেওয়ার জন্য জমিয়ে রাখে, তাদের পক্ষ থেকে আল্লাহ কি কখনোই মাফ করবেন না? হাশরের দিন জবাব দিতেই হবে?
কিন্তু হাশরে হিসাব দেওয়ার সাহস থাকলে তো ঐ ব্যক্তি তাওবা করত না।
ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য মুহতারামকে আল্লাহ তাআলা সর্বোত্তম জাযা দিন।