আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
5 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)

السلام عليــــــكم ورحمة الله وبركاته

মুসলমানকে গালিগালাজ করা তো ফাসেকী। কেউ যদি বুঝ হবার পর থেকে মুখে অশ্লীল শব্দ বা গালাগালি উচ্চারণ না করে, কিন্তু একটি মানুষের ওপরে ধৈর্য হারিয়ে হিতাহিত জ্ঞান ভুলে মেসেজে গালি লিখে ফেলে, অতঃপর তাওবা করে এবং যথাসম্ভব ধৈর্য ধরে এভাবে চার মাস ছয় মাস এমনকি বছরখানেক এসব না করে,

১. তাহলে কি তাকে ফাসিক ডাকা যাবে?

২. ব্যক্তির প্রকাশ্য গুনাহের চেয়ে প্রকাশ্য নেক আমল (রিয়ার উদ্দেশ্যহীন) যদি বেশি হয়, তাহলে কি তাকে ফাসিক বলা যাবে?

৩. ফাসিক সম্বোধনকারী কি গুনাহগার হবে?

৪. আল্লাহ কি ধৈর্যধারণের জন্য সেই ‘ফাসিক’ ব্যক্তিকে জাযা দিবেন, নাকি পরবর্তীতে আবার একই গুনাহ করে ফেলার জন্য তার আগের ধৈর্য অর্থহীন হয়ে পড়বে?

তোহমতকারীর শাস্তি ৮০ বেত্রাঘাত। যতদূর জানি, মালেকী, শাফেয়ী ও হাম্বালী মাযহাব মোতাবেক সে যদি তাওবা করে তবে তার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে।

৫. হানাফী মাযহাব অনুযায়ী তার সাক্ষ্য কি কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না যদিও সে তাওবা করে জবানের উপর কঠোর হয়ে যায়?

কোনো একজন লোক আজকের আগের তার জীবন সম্পর্কে একটা ভালো কথাও মনে করতে পারে না। মনে হয় সবসময়ই সে গুনাহ করে এসেছে। গুনাহগুলোই মনে পড়তে থাকে আর সে আন্তরিকভাবে তাওবা করতে থাকে। যেসব বান্দার হক সরাসরি নষ্ট করেছে তাদের কাছে ক্ষমা চায়, যারা জানে না তাদের হয়ে আল্লাহর কাছে তাদের জন্য ক্ষমা চায়। এভাবে অনেকদিন পার হওয়ার পরে তার মনে পড়ে সে নিজেকে যত অপরাধী মনে করেছে, আসলে সে সেরকম ছিল না। সে যতকিছু ভালো কাজ করেছে সেগুলোও মনে পড়ে এখন এসে।

৬. এই মনে হওয়ার কারণ কি হতে পারে, আল্লাহ তাকে এতদিন তাওবার দিকে উদ্বুদ্ধ করেছেন আর এখন মাফ করে দিচ্ছেন?

৭. যাদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার পরেও তারা মাফ করতে রাজি না, হাশরের মাঠে দেখে নেওয়ার জন্য জমিয়ে রাখে, তাদের পক্ষ থেকে আল্লাহ কি কখনোই মাফ করবেন না? হাশরের দিন জবাব দিতেই হবে?

কিন্তু হাশরে হিসাব দেওয়ার সাহস থাকলে তো ঐ ব্যক্তি তাওবা করত না।

ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য মুহতারামকে আল্লাহ তাআলা সর্বোত্তম জাযা দিন।

Please log in or register to answer this question.

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...