আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
reopened by

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

উস্তাদ, আলহামদুলিল্লাহ, আমার এক পরিচিত আপু ও এক ভাইয়ের মধ্যে কূফু না মিললেও (আপুর পরিবার সচ্ছল) দ্বীনদারিতাকে প্রাধান্য দেয়ার ভিত্তিতে বিবাহের কথাবার্তা চলছে। তারা বর্তমানে উভয়েই জেনারেল লাইনে (ইঞ্জিনিয়ারিং) মাস্টার্স করছেন এবং একইসাথে ভিন্ন সেমিস্টারে এরাবিক লাইনে দ্বীনি শিক্ষা গ্রহণ করছেন।

তবে কিছু বিষয় নিয়ে মতভেদ দেখা দিয়েছে। ছেলেটি মনে করছেন, মেয়েটি মাস্টার্সের পড়াশোনা চালিয়ে গেলে কণ্ঠের পর্দা লঙ্ঘিত হতে পারে, তাই সে মেয়েটিকে মাস্টার্স কন্টিনিউ না করার পরামর্শ দিচ্ছেন। যদিও মেয়েটি চাচ্ছে যথাযথ পর্দা বজায় রেখেই মাস্টার্স সম্পন্ন করতে। কণ্ঠের পর্দা সংক্রান্ত মাসআলাটি ইতোমধ্যে আইফতোয়া থেকে পড়ে নেয়া হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।

এ প্রেক্ষিতে প্রশ্ন হলো:

. ছেলেটি নিজে তার জেনারেল পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন, কিন্তু মেয়েটিকে না করতে বলা — এই অবস্থায় মেয়েটির সম্মত হওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত হবে? ভবিষ্যতে এটি কি দাম্পত্য জীবনে দ্বন্দ্বের কারণ হতে পারে?

. যদি মেয়েটি সুষ্ঠুভাবে পর্দা বজায় রেখে মাস্টার্স সম্পন্ন করতে চায় এবং ছেলেটি তা না মানেন, তাহলে শুধু এই মতপার্থক্যের কারণে কি এই সম্পর্ক থেকে সরে আসা উচিত হবে? নাকি ছেলেটির উচিৎ হবে মেয়েটিকে তার পড়াশোনা শেষ করতে দেয়া এবং বিয়েতে সম্মত হওয়া?

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে দ্বীনের সঠিক বুঝ এবং কল্যাণের দিকে পরিচালিত করুন। আমিন।

উস্তাদ, বিষয়টি নিয়ে আপনার পক্ষ থেকে কুরআন ও হাদীসের আলোকে একটি সুস্পষ্ট পরামর্শ খুবই উপকারে আসবে ইন শা আল্লাহ।

উক্ত প্রশ্নসমূহে কোনো ভুল, সীমাবদ্ধতা বা শিষ্টাচারগত ত্রুটি হয়ে থাকলে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি উস্তাদ। আফওয়ান।

জাযাকুমুল্লাহু খইরান।

1 Answer

0 votes
by (677,160 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জেনারেল শিক্ষা অর্জন সম্পর্কে আমরা ইতি পূর্বে বলেছিলাম যে, 
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।
১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/434

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মেয়েটি যদি ইসলাম ও মুসলমানের খেদমত করার নিয়তে মাস্টার্স করার ইচ্ছা থাকে, এবং পর্দা পুশিদাতে কোনো সমস্যা না হয়, তাহলে ছেলের জন্য মাস্টার্স কম্পিলিট করতে সুযোগ দেয়া উচিত। হ্যা, বিনা জরুরতে মেয়েদের জন্য চাকুরী করা কখনো উচিত হবে না। অবৈধ মেলেমেশা ও গল্প করা কখনো জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
জাযাকাল্লাহু খাইরান, উস্তাদ।
আলহামদুলিল্লাহ, আপুর বাইরে চাকরি করার কোনো আগ্রহ নেই। তাঁর মূল উদ্দেশ্য ছিল জ্ঞান অর্জন করা, যা তিনি যথাযথ পর্দার সঙ্গে পালন করে করতে চেয়েছেন।

তবে ভাইটি আপুকে জেনারেল লাইনে মাস্টার্স কন্টিনিউ না করার মত জানিয়েছেন—যদিও তিনি (ভাইটি) নিজে একই ধরণের জেনারেল লাইনে উচ্চশিক্ষা অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন। এ অবস্থায় আপুর মনে কিছুটা দ্বিধা ও মানসিক টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, আপু মাস্টার্স কন্টিনিউ করতে আগ্রহী হলে ভাইটি জানিয়ে দিয়েছেন যে, এতে তিনি আপুকে বিয়ের ব্যাপারে পিছিয়ে যেতে পারেন। 

এমন পরিস্থিতিতে, যেখানে মতবিরোধ থাকলেও দুই পক্ষেরই আন্তরিকতা আছে—সেক্ষেত্রে কি উস্তাদ আপনার দৃষ্টিতে, কুরআন ও হাদীসের সাপেক্ষে, এই বিয়ের সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যাওয়া এবং বিয়েতে আবদ্ধ হওয়া উচিত হবে কি না, জানতে চাচ্ছি ইন শা আল্লাহ?

আপনার পরামর্শ তাদের সিদ্বান্ত নিতে সহজ করবে উস্তাদ। জাযাকাল্লাহু খাইরন, উস্তাদ।
by (677,160 points)
এক্ষেত্রে আপনি আপনার পরিবারের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিবেন। নিজ পিতা মাতার চেয়ে আপনজন আর হয় না। 
প্রশ্নে উল্লেখিত ভাইটি যে মনোভাব প্রকাশ করেছে, সেটা অযৌক্তিক নয়। সর্বোপরি মাতাপিতার সিদ্ধান্তই আপনার জন্য উত্তম হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...