আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
40 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ, উস্তাদ আমি ঢাকায় থাকি। যখন গ্রামে যাই তখন দেখি সেখানকার অধিকাংশ মানুষের মধ্যে দ্বীনের প্রচুর অভাব রয়েছে। প্রতিটি ঘরে ঘরে অল্প বয়সী থেকে বেশি বয়সী প্রায় অধিকাংশ মানুষ বিবাহ বহির্ভূত এবং বিবাহ পুর্বক হারাম সম্পর্কে জড়িয়ে আছে। সহিহ পর্দা সহ মাহরাম নন মাহরাম মেইনটেইন করে না। এমনকি তারা বিদাআতি, কুফরি, গীবত, অন্যের দোষ খোঁজায় লিপ্ত। এককথায় তাদের মধ্যে দ্বীনের সঠিক বুঝ নেই। আমি গ্রামে গেলে ১৫ থেকে ২০ দিনের মতো থাকি। যতদিন গ্রামে থাকি তাদের এসব কর্মকাণ্ড দেখলে অনেক খারাপ লাগে। মাঝে মাঝে তাদের বিভিন্নভাবে নসিহা করে থাকি কিন্তু তারা না শোনার ভান ধরে থাকে। অনেক সময় গুরুজন সম্মানার্থে বা ভয়ে কিছু বলি না। আবার অনেক সময় সব আল্লাহর উপরে ছেড়ে দিয়ে চুপ করে থাকি।
উস্তাদ,
১. চোখের সামনে পাপ কাজ দেখার পরও বা সব জানার পরও তাদেরকে নিষেধ করতে পারি না, এতে কি আমার গুনাহ হচ্ছে?
২. কীভাবে নসিহা বা তালিম করলে তাদেরকে দ্বীনের সঠিক শিক্ষা দিতে পারবো? কিছু বই সাজেস্ট করলে মুনাসিব হয় উস্তাদ।
৩. আর যদি নসিহা বা তালিম কিছুই করতে না পারি এই ক্ষেত্রে আমার করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (648,060 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

আল্লাহ তায়ালা বলেন 

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، ح وَعَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ أَخْرَجَ مَرْوَانُ الْمِنْبَرَ فِي يَوْمِ عِيدٍ فَبَدَأَ بِالْخُطْبَةِ قَبْلَ الصَّلَاةِ فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا مَرْوَانُ خَالَفْتَ السُّنَّةَ أَخْرَجْتَ الْمِنْبَرَ فِي يَوْمِ عِيدٍ وَلَمْ يَكُنْ يُخْرَجُ فِيهِ وَبَدَأْتَ بِالْخُطْبَةِ قَبْلَ الصَّلَاةِ . فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ مَنْ هَذَا قَالُوا فُلَانُ بْنُ فُلَانٍ . فَقَالَ أَمَّا هَذَا فَقَدْ قَضَى مَا عَلَيْهِ سَمِعْتُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ رَأَى مُنْكَرًا فَاسْتَطَاعَ أَنْ يُغَيِّرَهُ بِيَدِهِ فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ "
.
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা ‘ঈদের দিন মারওয়ান ঈদের মাঠে মিম্বার স্থাপন করে সলাতের পূর্বেই খুত্ববাহ শুরু করায় জনৈক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলেন, হে মারওয়ান! তুমি সুন্নাত বিরোধী কাজ করলে। তুমি ‘ঈদের দিন বাইরে মিম্বার এনেছো এবং সলাতের পূর্বেই খুত্ববাহ শুরু করেছো। অথচ ইতিপূর্বে (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও খুলাফায়ি রাশিদীনের যুগে) কখনো এমনটি করা হয়নি। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, লোকটি কে? লোকজন বললো, অমুকের পুত্র অমুক। তিনি বললেন, সে তার দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করেছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ কেউ কোন গর্হিত (শারী‘আত বিরোধী) কাজ সংঘটিত হতে দেখলে তাকে হাত দিয়ে প্রতিরোধ করবে। এরূপ করতে অক্ষম হলে তা কথার দ্বারা প্রতিহত করবে। যদি এতেও অক্ষম হয় তাহলে সে তা অন্তরে ঘৃণা করবে (বা তা দূর করার উপায় অন্বেষনে চিন্তা-ভাবনা করবে)। তবে এটি হচ্ছে দুর্বলতম ঈমানের পরিচায়ক।
(মুসলিম , ইবনু মাজাহ  হাঃ ১২৭৫,  হাঃ ৪০১৩), আহমাদ (৩/১০)
,
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، وَهَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، قَالَا: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، وَعَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: مَنْ رَأَى مُنْكَرًا فَاسْتَطَاعَ أَنْ يُغَيِّرَهُ بِيَدِهِ فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ - وَقَطَعَ هَنَّادٌ بَقِيَّةَ الْحَدِيثِ، وَفَّاهُ ابْنُ الْعَلَاءِ: - فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ بِلِسَانِهِ فَبِقَلْبِهِ، وَذَلِكَ أَضْعَفُ الْإِيمَانِ

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কেউ কোনো অন্যায় হতে দেখলে সে তা হাতের সাহায্যে দমন করতে সক্ষম হলে তা দ্বারা যেন প্রতিরোধ করে। ‘‘হান্নাদ’’ এ হাদীসের বাকী অংশ উল্লেখ করেনি। তবে ইবনুল আলা তা পূর্ণ করেছেন। তা হলোঃ যদি হাতের দ্বারা প্রতিরোধ করতে সক্ষম না হয়, তবে জিহ্বা দ্বারা আর যদি জিহ্বা দ্বারা প্রতিরোধ করতে সক্ষম না হলে তবে অন্তর দ্বারা, তবে এটা দুর্বল ঈমানের স্তর।
(আবু দাউদ ৪৩৪০)

عَنْ عَبْدِ اللّٰهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلا كلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسْؤُوْلٌ عَنْ رَعِيَّتِه فَالْإِمَامُ الَّذِىْ عَلَى النَّاسِ رَاعٍ وَهُوَ مَسْؤُوْلٌ عَنْ رَعِيَّتِه وَالرَّجُلُ رَاعٍ عَلٰى اَهْلِ بَيْتِه وَهُوَ مَسْؤُوْلٌ عَنْ رَعِيَّتِه وَالْمَرْأَةُ رَاعِيَةٌ عَلٰى بَيْتِ زَوْجِهَا وَوَلَدِه وَهِىْ مَسْؤُوْلَةٌ عَنْهُمْ وَعَبْدُ الرَّجُلِ رَاعٍ عَلٰى مَالِ سَيِّدِه وَهُوَ مَسْؤُوْلٌ عَنهُ أَلَا فَكُلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسْؤُوْلٌ عَنْ رَعِيَّتِه». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! তোমরা প্রত্যেকেই এক একজন দায়িত্বশীল, আর (পরকালে) নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে তোমাদের প্রত্যেককেই জবাবদিহি করতে হবে। সুতরাং জনগণের শাসকও একজন দায়িত্বশীল লোক, তার দায়িত্ব সম্পর্কে তাকে জবাবদিহি করতে হবে। আর প্রত্যেক পুরুষ তার পরিবারের একজন দায়িত্বশীল, তাকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে। আর স্ত্রী তার স্বামীর ঘর-সংসার ও সন্তান-সন্ততির ওপর দায়িত্বশীল, তাকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে। এমনকি কোনো গোলাম বা চাকর-চাকরাণীও তার মুনীবের ধন-সম্পদের উপর একজন দায়িত্বশীল, তাকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে। অতএব সাবধান! তোমরা প্রত্যেকেই এক একজন দায়িত্বশীল, আর তোমাদের প্রত্যেককেই স্বীয় দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হতে হবে।
(বুখারী ৭১৩৮, মুসলিম ১৮২৯, আবূ দাঊদ ২৯২৮, তিরমিযী ১৭০৫, আহমাদ ৫১৬৭, সহীহ আত্ তারগীব ১৯২২।)

শারহুস সুন্নাহ্ গ্রন্থে এসেছে যে, الرَّاع শব্দের অর্থ হচ্ছে ঐ সংরক্ষক ব্যক্তি যে তার দায়িত্বে থাকা বিষয়কে আমানতদারিতার সাথে সংরক্ষণ করে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাসীহাতের মাধ্যমে তাদেরকে এর আদেশ দিয়েছেন। তার মূল্যবান বাণী: أَنَّهُمْ مَسْئُولُونَ عَنْهُ এই সংবাদের মাধ্যমে তাদেরকে খিয়ানাতের সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। সুতরাং আমরা বলতে পারি, رَاعِيَةٌ হচ্ছে বস্তুকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা এবং অঙ্গীকারকে সুন্দর করা। সুতরাং শাসকের رَاعِيَةٌ হচ্ছে রাষ্ট্রকে সুন্দরভাবে দেখাশোনা করা এবং প্রজাদের ওপর ভালোভাবে খেয়াল রাখা এবং তাদের মাঝে حُدُودِ ও ইসলামের হুকুম-আহকাম প্রতিষ্ঠা করা।

رِعَايَةُ الرَّجُلِ أَهْلَه এর অর্থ পরিবারকে ভালোভাবে দেখাশোনা করা এবং তাদেরকে খরচ দেয়া এবং তাদের সাথে সুন্দর আচরণ করা।

رِعَايَةُ الْمَرْأَةِ এর অর্থ হচ্ছে মহিলা তার স্বামীর ঘরের সকল বিষয় সুন্দরভাবে পরিচালনা করবে এবং তার অঙ্গীকার পূর্ণ করবে তার মেহমানদের খিদমাতের মাধ্যমে।

رِعَايَةُ الْخَادِمِ এর অর্থ হচ্ছে খাদেম তার মুনীবের যত মাল সম্পদ তার হাতে রয়েছে তা সংরক্ষণ করবে এবং সর্বদা মুনীবের কাজে দণ্ডায়মান থাকবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেহেতু মাঝে মাঝে তাদেরকে সাধ্যমতো বিভিন্নভাবে নসিহা করে থাকেন, কিন্তু তারা না শোনার ভান ধরে থাকে। 

সুতরাং এক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবেনা।

অন্যায় কাজ হতে বিরত থাকার জন্য এভাবে সাধ্যের মধ্যে থেকে নসিহা করা অব্যাহত রাখবেন।

মানা না মানা আপনার দায়িত্ব নয়,আপনি সাধ্যের মধ্যে থেকে নসিহা করা অব্যাহত রাখবেন।

(০২)
এক্ষেত্রে তাদেরকে তাবলিগের মেহনতের সাথে যুক্ত হয়ে কমপক্ষে এক চিল্লা দেয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।

তাদের নসিহা করার জন্য নিম্নোক্ত বই পড়তে পারেন।
★গীবত ও পরনিন্দা 
লেখক, শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী।
অনুবাদক, মাওলানা আবদুল্লাহ আল ফারূক।

মসজিদে ও ঘরে ঘরে ফাজায়েলে আমাল এর তালিম শুরু করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেন।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি তো তাদের কিছুটা হলেও নসিহা করতে পারছেন,সুতরাং এক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবেঃ-

নিজের পরিবার এরপর পর্যায়ক্রমে প্রতিবেশী বন্ধু-বান্ধব পরিচিতিদের দাওয়াত দিবেন।

নিজেকে এমন ভাবে ঠিক করুন,যাতে তারা আপনাকে দেখে শিখে,দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।

আল্লাহ তায়ালা বলেন:

"হে মুমিনগণ! তোমরা কেন এমন কথা বলো, যা তোমরা নিজে করো না?"
(সূরা আস্-সফ, ৬১:২)

আপনার আচরণ, কথা, পোশাক, লেনদেন যেন দ্বীনের সুন্দর নমুনা হয়, তাহলেই মানুষ আপনাকে বিশ্বাস করতে শুরু করবে।

দাওয়াত শুরু করুন ধীরে ও হিকমার সাথে

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন:
"তোমরা মানুষকে তাদের জ্ঞানের মাত্রা অনুযায়ী কথা বলো।"
(সহিহ মুসলিম)

শুরুতেই হারাম/কুফরি বলে ধমক না দিয়ে, আল্লাহর দয়া, জান্নাত, কিয়ামতের ভয়, রাসূলের জীবন, এগুলোর মাধ্যমে দাওয়াত দিন।

শ্রদ্ধাশীল ও নম্র ভঙ্গিতে কথা বলুন

মূসা (আ.) কে ফেরাউনের নিকট পাঠানোর সময় আল্লাহ বলেন:

"তোমরা তার সাথে কোমল ভাষায় কথা বলো। হয়ত সে উপদেশ গ্রহণ করবে বা ভয় পাবে।"
(সূরা ত্বোহা ২০:৪৪)

গীবতকারী বা বিদআতপ্রিয় ব্যক্তির প্রতিও নম্র ভাষা ব্যবহার করুন।

তাদের সমস্যা বুঝে উপযুক্ত বিষয় তুলে ধরুন

যদি সমাজে ফ্রি মিক্সিং বেশি হয়, তাহলে পর্দা, লজ্জা, ও যিনা থেকে বাঁচার গুরুত্ব তুলে ধরুন।
যদি বিদআত বেশি হয়, তাহলে রাসূল ﷺ এর পদ্ধতি ও সাহাবিদের আমল বুঝিয়ে বলুন।

এবং তাদের হেদায়াতের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (648,060 points)
নিম্নোক্ত বই গুলো পড়তে পারেনঃ-
আহকামুন নিসা
আহকামে জিন্দেগী। 
ইসলামী আকীদা ও ভ্রান্ত মতবাদ।
"দাওয়াত পদ্ধতি ও কিছু বাস্তব দিকনির্দেশনা" – আবুল হাশিম মাদানী

"বিদআত কি ও কেন?" – শাইখ আবু আম্মার (আল-মাদানী)

"কুফর-শিরক থেকে বাঁচুন" – মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল হাই

"হৃদয় জয়ের দাওয়াত" – মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...