ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
বিতিরের নামাযে কুনুত করা বিশুদ্ধ মতানুযায়ী ওয়াজিব।
কুনুত হচ্ছে,তৃতীয় রা'কাতে কিরাত থেকে ফারিগ হওয়ার পর রাফে ইয়াদাঈন করে বিশুদ্ধ মতানুযায়ী আবার হাতে বেধে একটি দু'আ পড়া।
وليس في القنوت دعاء مؤقت. كذا في التبيين والأولى أن يقرأ " اللهم إنا نستعينك " ويقرأ بعده " اللهم اهدنا فيمن هديت " ومن لم يحسن القنوت يقول: {ربنا آتنا في الدنيا حسنة وفي الآخرة حسنة وقنا عذاب النار} [البقرة: ٢٠١] . كذا في المحيط أو يقول: اللهم اغفر لنا ويكرر ذلك ثلاثا وهو اختيار أبي الليث. كذا في السراجية.
তবে কোন দু'আ পড়তে হবে সেটা নির্দিষ্ট নয়।(তাবয়ীন)উত্তম হল,"আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাইনুকা"তথা প্রচলিত দু'আ শেষ পর্যন্ত পড়া।এবং শেষে "আল্লাহুম্মাহদিনা ফি মান হাদাইতা"শেষ পর্যন্ত পড়া।অর্থাৎ এই দু'আ পড়া।
اللَّهُمَّ اهْدِنَا فِيمَنْ هَدَيْتَ ، وَعَافِنَا فِيمَنْ عَافَيْتَ ، وَتَوَلَّنَا فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ ، وَبَارِكْ لَنَا فِيمَا أَعْطَيْتَ ، وَقِنَا شَرَّ مَا قَضَيْتَ ، إِنَّكَ تَقْضِى وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ ، إِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ (سنن البيهقى الكبرى، رقم الحديث--2960)
যে ব্যক্তি উপরোক্ত দু'আ গুলোকে ভালভাবে পড়তে জানে না,সে যেন সূরা বাকারা ২০১নং আয়াত "রাব্বা আতিনা " দু'আ শেষ পর্যন্ত পড়ে নেয়।(মুহিত)অথবা 'আল্লাহুম্মাগফির-লানা" তিনবার পড়ে নেয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১১১) বিতির সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/2027
বিতির নামায পড়ার সময়ে কেউ দু'আ য়ে কুনুত না পড়ে রু'কুতে চলে গেলে,সে রুকুতেই দু'আয়ে কুনুত পড়বে। যদি রুকুতেও না পড়ে তবে,যেহেতু দু'আয়ে কুনুত ওয়াজিব,তাই নামাযের শেষে সাহু সেজদা দিয়ে দিবে।সাহু সেজদা না দিলে ওয়াক্তের ভিতর হলে নামাযকে আবার দোহরাতে হবে। রুকু থেকে উটে আবার পড়ার কোনো নিয়ম নাই । যদি কোনো হাদীসে এভাবে রুকু থেকে উঠে কুনুত পড়ার কথা পাওয়া যায়,তাহলে তখন ঐ হাদীসের অর্থ হবে, রাসূলুল্লাহ কুনুত ওয়াজিব হওয়াকে বুঝানোর জন্য মূলত পরে পড়িয়েছেন।
(২)
এক সালামের পর এবং দুই সালামের পর উভয়ভাবে সিজদায়ে সাহু দেওয়া অনুমোদিত রয়েছে।তবে হানাফি ফিকহ মতে একদিকে সালাম ফিরানোর পর সিজদায়ে সাহু দেওয়া উত্তম।
(৩)
সূর্যোদয়ের পর থেকে সতর্কতা মূলক ২৪মিনিট পর্যন্ত নামায পড়া মাকরুহ।এবং সূর্যাস্তের পূর্বে ২৪ মিনিট নামায পড়া মাকরুহ। আর দ্বি-প্রহর মানে বর্তমান জোহর শুরুর পূর্বে ৬ মিনিট পর্যন্ত সময় নামায পড়া মাকরুহ।
(৪)
আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ উক্ত ইবারতের ব্যাখায় লিখেন,
مطلب في الكلام على الجهر والمخافتة
(قوله ويخافت المنفرد إلخ) أما الإمام فقد مر أنه يجهر أداء وقضاء (قوله في وقت المخافتة) قيد به لأنه إن قضى في وقت الجهر خير كما لا يخفى ح (قوله بعد طلوع الشمس) لأن ما قبلها وقت جهر فيخير فيه، لكن في بعض نسخ الهداية بعد طلوع الفجر (قوله كما في الهداية) قال فيها لأن الجهر مختص، إما بالجماعة حتما أو بالوقت في حق المنفرد على وجه التخيير ولم يوجد أحدهما
ভাবার্থ- জাহরি কা'যা নামাযকে সির্রি সময়ে জামাতের সাথে আদায় করলে ইমাম সাহেব তখন উচ্ছস্বরে ক্বেরাত পড়বেন।তবে মুনফারিদ সির্রি সময়ে জাহরি নামাযকে কা'যা করার ইচ্ছাপোষণ করলে অত্যাবশ্যকীয় ভাবে তখন ক্বেরাতকে নিম্নস্বরে পড়বেন।কেননা উচ্ছস্বরে কুরআন তেলাওয়াত হয়তো জামাতের সাথে সীমাবদ্ধ নতুবা জাহরি সময়ের সাথে সীমাবদ্ধ। অবশ্য জাহরি সময়ে মুনফারিদকে এখতিয়ার দেয়া হবে।সে চাইলে উচ্ছস্বরে তেলাওয়াত করতে পারবে অথবা নিম্নস্বরেও তেলাওয়াত করতে পারবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1725
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ফজর, মাগরিব, এশা এই তিন ওয়াক্তে মসজিদে গিয়ে যদি কেউ জামআত না পায়, এবং সে মসজিদে গিয়ে একা নামায পড়ে,তাহলে তার এখতিয়ার থাকবে, চাইলে সে উচ্ছস্বরে তেলাওয়াত করতে পারবে আবার নিম্নস্বরেও তেলাওয়াত করতে পারবে। তবে নিম্নস্বরে তেলাওয়াত করাই তার জন্য উত্তম ও মুস্তাহব।
(৫) মুখে হাত দিতেন। সেজ্ন্য মুখে হাত দেওয়া সুন্নত।