আপনার উদ্যোগটি খুবই প্রশংসনীয় এবং সময়োপযোগী—একটি ইসলামি মূল্যবোধসম্পন্ন কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিক বিদ্যালয় তৈরি করে গ্রামে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার এ প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে অনেক মানুষের উপকারে আসবে।
এটি সময় উপযোগী একটি সিদ্ধান্ত, মাশাআল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালা আপনাকে কবুল করুন,আমিন।
আপনি যেহেতু প্লে থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ইসলামিক-ভিত্তিক স্কুল করতে চাচ্ছেন, নিচে কিছু পরামর্শ তুলে ধরছি যা আপনার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক হতে পারে:
★ইসলামী ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়
১. মক্তব/কোরআন শিক্ষা বাধ্যতামূলক
প্রতিদিনের প্রথম ক্লাস কোরআন শিক্ষা হতে পারে।
মৌলিক ইসলামি শিক্ষা (কালেমা, নামাজ, আকাইদ, দোয়া, আদব, হাদিস) সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করুন।
হিফজ ক্লাস (আংশিক) বা নাজেরা বিভাগ রাখতে পারেন আগ্রহীদের জন্য।
★বই ও পরীক্ষা পদ্ধতিতে যথাযথ মান বজায় রাখতে হবে।
ইংরেজি ও গণিতের জন্য আলাদাভাবে বেসিক দক্ষতা গড়ার উপর গুরুত্ব দিন।
★নারী শিক্ষকদের পর্দা
নারী শিক্ষকদের জন্য আলাদা প্রবেশ ও বসার ব্যবস্থা রাখুন (যেমনঃ ওয়ার্ক স্টেশন আলাদা), অথবা ক্লাসে পর্দা নিশ্চিত করুন।
★প্রতিটি শ্রেণির জন্য আলাদা কক্ষ রাখুন।
শিশুদের বয়স অনুযায়ী ক্লাসরুম সাজান (রঙিন, খেলাধুলার উপকরণ, বইয়ের কর্নার ইত্যাদি)।
★আলাদা অজু ও নামাজের স্থান
শিক্ষার্থী ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য আলাদা অজু ও নামাজের জায়গা তৈরি করুন।
★ছেলেমেয়েদের জন্য আলাদা টয়লেট ব্যবস্থা দিন।
খেলার মাঠ ও কিছু শারীরিক কসরত শেখানোর ব্যবস্থা রাখলে ভালো হয়।
★কুরআন শিক্ষা ও ইসলামি শিক্ষা বিষয়ক শিক্ষকদের পাশাপাশি আধুনিক বিষয়ে দক্ষ শিক্ষক রাখুন।
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিন যেন শিশুদের সাথে আচরণ ও পড়ানোর কৌশল উন্নত হয়।
★স্থানীয় শিক্ষিত লোকজন, আলেম ও অভিভাবকদের সমন্বয়ে একটি পরিচালনা কমিটি তৈরি করুন।
★সকাল শুরু হবে মক্তব ও দোয়া হাদীস,তিলাওয়াত দিয়ে।
এরপর নিয়মিত একাডেমিক ক্লাস হবে।
শুক্রবার ছুটি বা হাফ ডে রাখতে পারেন।
প্রতি সপ্তাহে একটি ইসলামি চরিত্র গঠনের ক্লাস বা অ্যাক্টিভিটি রাখতে পারেন।
★ফি কাঠামো নমনীয় রাখুন,যাতে কাহারো উপর জুলুম না হয়, দরিদ্র পরিবারের শিশুদের জন্য স্কলারশিপ দিন।
শিশুদের হামদ,নাত, আবৃত্তি, হাদিস প্রতিযোগিতা ইত্যাদির আয়োজন করে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলুন।