আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
1,950 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
সাফিন নামের অর্থ আরোগ্যদাতা। আল্লাহ্ তা'আলা তো একমাত্র আরোগ্যদাতা। তাহলে এই নামটা মানুষের ক্ষেত্রে রাখা যাবে কি? যদি আব্দুস সাফিন বা এরকম যুক্ত করে নাম রাখা হয় তখন এদেশের প্রেক্ষাপটে বলতে গেলে মানুষ শুধু সাফিনই ডাকে। এতে আব্দুস বাদ পড়ে যায় আর অর্থ বিকৃত হয়ে যায়।
আল্লাহ্ তা'আলার গুণবাচক নামের একটি হলো আশ-শাফি। এমতাবস্থায় সাফিন চৌধুরী নামটি রাখা জায়েজ হবে? যদি নামের আগে আব্দুস/আল্লাহ্ এর বান্দা বা এরকম কিছু না থাকে? বিস্তারিত উত্তর আশা করছি।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সাফি صافي অর্থ পরিস্কার ।
সাফি سافي হালকা পাতলা, দুর্বল ।
শাফি شافي অর্থ শে’ফা দানকারী।

463 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
”উপরোক্ত দু'টি মূলনীতির আলোকে তৃতীয় আরেকটি বিষয় আমাদের সামনে পরিস্কার হয়ে যায় যে, যে সমস্ত আসমায়ে হুসনা সম্পর্কে এ কথা জানা যাবে না যে,ঐগুলা কুরআন-হাদীস বা উম্মাহর তা'আমুল(ব্যবহার) বা উরফে(সমাজে) গায়রুল্লাহর জন্য প্রচলিত ছিল কি না? এমন আসমায়ে হুসনা দ্বারা নাম রাখা থেকে অবশ্যই বেঁচে থাকতে হবে।কেননা আসমায়ে হুসনার মধ্যে মূলকথা হল,সেগুলো দ্বারা গায়রুল্লাহর নাম রাখাটা নাজায়েয। সুতরাং জায়েয হওয়ার জন্য অবশ্যই দলিলের প্রয়োজন পড়বে।

উপরোক্ত উসূলের ভিত্তিতে সমস্ত আসমায়ে হুসনার ব্যাপারে আ'মল করা হবে। যেহেতু এই জবাব উসূল দ্বারা লিখিত, অন্যদিকে প্রত্যেক নামের ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো আলোচনা কোথাও পাওয়া যায়নি। বিধায় এ ব্যাপারে আমাদের আরো গবেষনা চালিয়ে যাওয়া উচিৎ।সম্ভব হলে এব্যাপারে বিজ্ঞজনদের নিকট থেকে আরো বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।(ফাতাওয়ায়ে উসমানি-১/৫২)”

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাফিন নামের বানান যদি উপরে বর্ণিত তিনটি পদ্ধতির শেষ পদ্ধতি দ্বারা হয়, তাহলে ঐ নাম দ্বারা গায়রুল্লাহর নামা রাখা যাবে না। কিন্তু যদি প্রথম দুই বানানের কোনো এক বানান দ্বারা এই হয়,তাহলে এমন নাম গায়রুল্লাহর জন্যও জায়েয রয়েছে। তথা আবদ ব্যতীত ঐ নাম দ্বারা কাউকে ডাকা যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...