আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
in ওয়াসওয়াসা by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার পাক - নাপাক নিয়ে ছোটবেলা থেকেই ওয়াস ওয়াসা আছে। বর্তমানে ব্যাপারটা এমন হয়ে গেছে যে, বাসার বাহিরে দড়িতে কেউ কাপড় দিলেও মনে হয় যে যদি এর নিচে দিয়ে কুকুর যায়, তাই সব কাপড় আবার নিয়ে এসে ধুয়ে দেই।
খুব রিসেন্টলি আমার সিজার হয়েছে। আমার আম্মু কাপড় ধুয়ে অনেক সময় বাহিরে দেয়।

তখন আমি মনে সন্দেহবশত এটা আবার ধুয়ে দিই।
এভাবে আমার খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে আবার আম্মুর সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাচ্ছে। নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছি না।

আবার আমি কোন সময় অন্য রুমে বসে আছি বাহিরের মেইন দরজা যদি কেউ একটু সময়ের জন্য খুলে রাখে, মনে হচ্ছে দরজা দিয়ে যদি কুকুর ঢুকে রুমে বসে থাকে!

এসে রুমে সব চেক করতেছি মনের মধ্যে সন্দেহ হচ্ছে যে কোনটা নাপাক কিনা।
কিন্তু আমি তো দেখিনি এভাবে কুকুর ডুকছে কিনা কাপড়ে ঠেকছে কিনা

এরকম সন্দেহ নিয়ে চললে তো জীবন যাপন করার মুশকিল হয়ে পড়তেছে।
হুজুর দয়া করে আমাকে এমন কিছু বলুন যাতে আমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি আর এভাবে সন্দেহের বসে কি কোন কিছু সন্দেহ করা ঠিক কিনা।
আমি জানিনা আমি কথাগুলো গুছিয়ে লিখতে পেরেছি কিনা কিন্তু আমাকে দয়া করে একটু সাহায্য করবেন।
মূল কথা আমার সবসময় সন্দেহ মনে হয় যে কোন সময় কুকুর এ পাশ দিয়ে গেছে কিনা আমার কোন জিনিসের ঠেকছে কিনা বাসায় কুকুর ঢুকেছে কিনা।

এরকম সন্দেহের বসে কি কোন কিছুকে নাপাক ধরা যাবে?

নাকি এগুলো আমার মনের ওয়াস ওয়াসা। এক্ষেত্রে কোন হাদিস বা সঠিক পরামর্শ দিলে উপকৃত হবো।

1 Answer

0 votes
by (650,460 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 187 views
0 votes
1 answer 193 views
...