আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আমি আলহামদুলিল্লাহ সঠিক ভাবে সর্ব ক্ষেত্রে দ্বীন মেনে চলার চেষ্টা করি. কিন্ত আমি কোনো ভাবে ই রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না. রাগ ওঠলে অস্বাভাবিক আচরণ করি. আর রেগে যার ওপর রাগ ওঠছে তাকে কিছু না বলতে পারলে পাগল এর মতো আচরণ করি. আমার সাংসারিক জীবন এ স্বামী অনেক সময় আমার সাথে    অন্যায় আচরণ করে. কিন্ত আমি তার সব ভুল ত্রুটি মাফ করে তার সাথে সুন্দর ভাবে সংসার টা করতে চাই. আমি সব ই বুঝি কিন্ত অনেক চেষ্টা করে কোনো ভাবে ই রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারসি না. আর ইদানিং স্বামী কে একদম সহ্য ই হয় না. মনে হয় ও আমার শত্রু. কিন্তু আমার স্বামী এতো টা ও খারাপ না. দোষ ও আছে, দোষ গুন মিলিয়ে মানুষ. এখন আমার মনে হচ্ছে আমার সাথে কোনো জীন, সিহর এর সমস্যা আছে কিনা? কারণ আমি অনেক চেষ্টা করে ও এ থেকে বের হতে পারসি না. আমার কাছে সব কিছু কেমন অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে. আমার কি কোনো রাকির শরণাপন্ন হওয়া উচিত? প্লিজ পরামর্শ দিবেন.

1 Answer

0 votes
by (645,180 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

এভাবে স্বামীর প্রতি রাগ করা যাবেনা। 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَنَسٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «الْمَرْأَةُ إِذَا صَلَّتْ خَمْسَهَا وَصَامَتْ شَهْرَهَا وَأَحْصَنَتْ فَرْجَهَا وَأَطَاعَتْ بَعْلَهَا فَلْتَدْخُلْ مِنْ أَىِّ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ شَاءَتْ»

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মহিলা যদি পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় করে, রমাযানের সিয়াম পালন করে, গুপ্তাঙ্গের হিফাযাত করে, স্বামীর একান্ত অনুগত হয়। তার জন্য জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশের সুযোগ থাকবে।
(মিশকাতুল মাসাবিহ ৩২৫৪.হিলইয়াতুল আওলিয়া ৬/৩০৮।)

خَيْرُ النِّساءِ الَّتِي تَسُرُّهُ إذا نَظَرَ وَتُطِيعُهُ إذا أمَرَ ولا تُخالِفُهُ في نَفْسِها ولا مالِها بِما يَكْرَهُ.

‘‘শ্রেষ্ঠ রমণী সেই, যার প্রতি তার স্বামী দৃষ্টিপাত করলে সে তাকে খুশি করে দেয়, কোন আদেশ করলে তা পালন করে এবং তার জীবন ও সম্পদে স্বামীর অপছন্দনীয় বিরুদ্ধাচরণ করে না।’’

لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِأَحَدٍ لَأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا.

‘‘যদি আমি কাউকে কারো জন্য সিজদা করতে আদেশ করতাম, তাহলে নারীকে আদেশ করতাম, সে যেন তার স্বামীকে সিজদা করে।’’

★কেহ যদি যাদু করে,তাহলে ব্যাক্তির শরীরে কঠিন রোগ ইত্যাদি দেখা যেতে পারে,বা অসুস্থ কেহ সুস্থ হচ্ছেনা,এমনটা দেখা যেতে পারে।
সেই সময়ে অভিজ্ঞ দ্বীনদার রুকইয়া কারী/কবিরাজের স্বরনাপন্ন  হলে যাদুতে আক্রান্ত হয়েছে কিনা,বুঝা যাবে।

এ যাদু নষ্ট করার ক্ষেত্রে ঝাড়ফুঁকের বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে। এর পদ্ধতি হচ্ছে- যাদুতে আক্রান্ত রোগীর উপর অথবা কোন একটি পাত্রে আয়াতুল কুরসি অথবা সূরা আরাফ, সূরা ইউনুস, সূরা ত্বহা এর যাদু বিষয়ক আয়াতগুলো পড়বে। এগুলোর সাথে সূরা কাফিরুন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়বে এবং রোগীর জন্য দোয়া করবে। 

বিশেষতঃ যে দুআটি রাসূলুল্লাহ ﷺ  থেকে সাব্যস্ত হয়েছে:
اللَّهُمَّ ربَّ النَّاسِ، أَذْهِب الْبَأسَ، واشْفِ، أَنْتَ الشَّافي لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ، شِفاءً لاَ يُغَادِرُ سقَماً
(অর্থ- হে আল্লাহ! হে মানুষের প্রতিপালক! আপনি কষ্ট দূর করে দিন ও আরোগ্য দান করুন। (যেহেতু) আপনিই রোগ আরোগ্যকারী। আপনার আরোগ্য দান হচ্ছে প্রকৃত আরোগ্য দান। আপনি এমনভাবে রোগ নিরাময় করে দিন যেন তা রোগকে নির্মূল করে দেয়।)
জিব্রাইল আ. নবী ﷺ-কে যে দোয়া পড়ে ঝাড়ফুঁক করেছেন সেটাও পড়া যেতে পারে। 

সে দুআটি হচ্ছে-
بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ , مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنٍ أَوْ حَاسِدٍ , اللَّهُ يَشْفِيكَ بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ
(অর্থ- আল্লাহর নামে আমি আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি। সকল কষ্টদায়ক বিষয় থেকে। প্রত্যেক আত্মা ও ঈর্ষাপরায়ণ চক্ষুর অনিষ্ট থেকে। আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য করুন। আল্লাহর নামে আমি আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি।)

এই দোয়াটি তিনবার পড়ে ফুঁ দিবেন। সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস তিনবার পড়ে ফুঁ দিবেন।
আলেমগণ বলেছেন, এ দোয়াগুলো পড়ে পানিতে ফুঁ দিতে হবে। এরপর যাদুতে আক্রান্ত ব্যক্তি সে পানি পান করবে। আর অবশিষ্ট পানি দিয়ে প্রয়োজনমত একবার বা একাধিক বার গোসল করবে। তাহলে আল্লাহর ইচ্ছায় রোগী আরোগ্য লাভ করবে।

এক্ষেত্রে আরো আমল ও করনীয় জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
রাগ উঠলে রাসুল সাঃ এর নির্দেশ মানতে হবে।
আর আল্লাহ তায়ালার কাছে রাগ কমানোর আমল করতে হবে,এর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে,ধৈর্য ধারনের চেষ্টা করতে হবে।  

প্রতি মাসে একবার করে নুন্যতম ৩ দিনের জন্য মাস্তুরাত জামাতে যাওয়ার পরামর্শ থাকবে। 
,
রাগ কমানোর আমল জানুনঃ 

আপনার অবস্থা দেখে মনে হয়না যে আপনাকে জাদু করা হয়েছে,তাই রুকইয়াহ কারীর কাছে যাওয়ার দরকার নেই।

তবে যদি আপনার শরীরে কঠিন রোগ ইত্যাদি দেখা দেয়,যাহা হতে আপনি কোনোভাবেই সুস্থ না হোন,সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞ দ্বীনদার রুকইয়া কারী/কবিরাজের স্বরনাপন্ন  হলে যাদুতে আক্রান্ত হয়েছে কিনা,বুঝা যাবে।

এমতাবস্থায় উপরে উল্লেখিত আমল গুলি করার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...