জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ছবি ভিডিও শরীয়তের দৃষ্টিতে হারাম। হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
عن ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ :( ﻣﻦ ﺻَﻮَّﺭ ﺻﻮﺭﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻛُﻠِّﻒ ﺃﻥ ﻳَﻨْﻔُﺦ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻟﺮُّﻭﺡ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻭﻟﻴﺲ ﺑﻨﺎﻓﺦ )
তরজমাঃ- ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, আমি নবী কারীম সাঃ কে বলতে শুনেছি, যে তিনি বলেছেন,
যে ব্যক্তি পৃথিবীতে কোন(জানোয়ারের) ছবি আকবে,কিয়ামতের দিন তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে,সে যেন উক্ত ছবির ভিতরে রূহ প্রদান করে, অথচ রূহ প্রদান করা তার জন্য কস্মিনকালে ও সম্ভব হবে না(অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে আযাব প্রদান করা হবে)(সহীহ বুখারী -৫৬১৮)
ﻭَﻗَﺎﻝَ : ﺇﻥْ ﻛُﻨْﺖَ ﻻَ ﺑُﺪَّ ﻓَﺎﻋِﻼً ﻓَﺎﺻْﻨَﻊِ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮَ ، ﻭَﻣَﺎ ﻻَ ﻧَﻔْﺲَ ﻟَﻪ
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ কে এক ব্যক্তি ছবি আকার অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি উত্তরে বললেনঃযদি তোমার ছবি একে উপার্জন করতেই হয় তাহলে তুমি গাছের ছবি আকো বা এমন ছবি আকো যাতে কোনো প্রাণীর ছবি নেই।(সহীহ বুখারী- ২২২৫)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন,
ইউটিউবে বিনা প্রয়োজনে কোনো ভিডিও আপলোড দেয়া যাবেনা,এবং তাহা দেখা জায়েয হবে না। হ্যাঁ, প্রয়োজনীয় শিক্ষামূলক এবং দ্বীনি ভিডিও আপলোড ও তাহা দেখা যেতে পারে।
সেই ভিত্তিতে ইউটিউবে/ফেসবুকে কোনো শিক্ষনীয় বা প্রয়োজনীয় ভিডিও দেখা ও আপলোড দেয়া জায়েজ হবে। তবে শর্ত হলো মিউজিক থাকা যাবেনা,নারীর ছবি থাকা যাবেনা, হারাম কিছু থাকা যাবেনা।
ভিডিওটি শিক্ষনীয়, প্রয়োজনীয় হতে হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
ভিডিওটি অপ্রয়োজনীয় বা শিক্ষনীয় না হলে সেটা দেখার অনুমতি ইসলামী স্কলারগন প্রদান করেননা।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে সেই ভিডিওটি যদি প্রয়োজনীয় বা শিক্ষনীয় হয়,সেক্ষেত্রে তাহা দেখতে পারবেন।
তবে নামাজ ও অন্যান্য ইবাদতের ক্ষেত্রে যেনো বিঘ্নতা না ঘটে,সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, মুমিনের প্রত্যেকটি মুহূর্ত অনেক মুল্যবান।
সময় পেলেই নফল ইবাদত,নেক কাজে মশগুল থাকা দরকার।
তাই বিনা প্রয়োজনে এধরনের ভিডিও না দেখে নফল ইবাদতে মশগুল হওয়া দরকার।
,
সুরা মুনাফিকুন এর ১০ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ اَنۡفِقُوۡا مِنۡ مَّا رَزَقۡنٰکُمۡ مِّنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَ اَحَدَکُمُ الۡمَوۡتُ فَیَقُوۡلَ رَبِّ لَوۡ لَاۤ اَخَّرۡتَنِیۡۤ اِلٰۤی اَجَلٍ قَرِیۡبٍ ۙ فَاَصَّدَّقَ وَ اَکُنۡ مِّنَ الصّٰلِحِیۡنَ ﴿۱۰﴾
আর আমি তোমাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় কর, তোমাদের কারো মৃত্যু আসার পূর্বে। কেননা তখন সে বলবে, হে আমার রব, যদি আপনি আমাকে আরো কিছু কাল পর্যন্ত অবকাশ দিতেন, তাহলে আমি দান-সদাকা করতাম। আর সৎ লোকদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«اغتنم خمسا قبل خمس: شبابك قبل هرمك، وصحتك قبل سقمك، وغناك قبل فقرك، وفراغك قبل شغلك، وحياتك قبل موتك »
“তোমরা পাঁচটি জিনিসকে পাঁচটি জিনিসের পূর্বে গণিমত-সুবর্ণ সুযোগ- মনে কর। তোমার যৌবনকে কাজে লাগাও বার্ধক্য আসার পূর্বে, তোমার সুস্থতাকে কাজে লাগাও তোমার অসুস্থতার পূর্বে, তোমার সচ্ছলতাকে কাজে লাগাও অসচ্ছলতার পূর্বে, তোমার অবসরতাকে কাজে লাগাও তোমার ব্যস্ততার পূর্বে, আর তোমার হায়াতকে কাজে লাগাও তোমার মৃত্যু আসার পূর্বে”।
বর্ণনায় হাকিম, হাদিস: ৭৮৪৬
তিনি হাদিসটিকে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন। হাদিসটি বুখারি ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী।