আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
10 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আমাদের মসজিদে যিনি আজান ও ইকামত দেয় তার আরবি উচ্চারণে অনেক সমস্যা।  এখন এখানে শুদ্ধ উচ্চারণ করতে পারে, যেমন ইমাম সাব বা অন্য কেউ উপস্থিত থাকলে। এভাবে ভুল উচ্চারণ এ আজান বা একামত দিলে সুন্নত আদায় হবে?
আবার নতুন করে আজান ইকামত দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (645,030 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ عَامِرٍ الأَحْوَلِ، أَنَّ مَكْحُولاً، حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُحَيْرِيزٍ حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا مَحْذُورَةَ حَدَّثَهُ قَالَ عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الأَذَانَ تِسْعَ عَشْرَةَ كَلِمَةً وَالإِقَامَةَ سَبْعَ عَشْرَةَ كَلِمَةً الأَذَانُ " اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ " . وَالإِقَامَةُ سَبْعَ عَشْرَةَ كَلِمَةً " اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ " .

আবদুল্লাহ ইবনু মুহাইরীয (রহঃ) থেকে বর্ণিত। আবূ মাহযূরা তাকে বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে আযানের ঊনিশটি এবং ইকামতের সতেরটি বাক্য শিক্ষা দিয়েছেন। আযানের বাক্যগুলো হলঃ আল্লাহ্ মহান,আল্লাহ্ মহান,আল্লাহ্ মহান,আল্লাহ্ মহান; আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই (২বার); আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রাসুল (২ বার), সালাতের দিকে এসো (২বার), কল্যানের দিকে এসো (২বার), আল্লাহ্ মহান (২ বার), আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই (১বার)

ইকামতের সতেরটি বাক্য হলঃ আল্লাহ্ মহান,আল্লাহ্ মহান,আল্লাহ্ মহান,আল্লাহ্ মহান; আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই (২বার); আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রাসুল (২ বার), সালাতের দিকে এসো (২ বার), কল্যানের দিকে এসো (২ বার), সালাত কায়েম হয়েছে (২ বার) আল্লাহ্ মহান (২ বার), আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই (১বার)

(মুসলিম ৩৭৯, তিরমিযী ১৯১-৯২, নাসায়ী ৬২৯-৩৩, আবূ দাঊদ ৫০২-৪, আহমাদ ১৪৯৫১, ১৪৯৫৫, ২৬৭০৮; দারিমী ১১৯৬, মাজাহ ৭০৮।)

আজানের ভুলের ধরন দুই প্রকার:

১. আংশিক বা ছোটখাটো ভুল (যা অর্থে বা শুদ্ধতার দিক দিয়ে মারাত্মক নয়):

যেমন:
উচ্চারণে সামান্য ত্রুটি (যা অর্থ বদলায় না),
শব্দে হালকা টান বা কম বেশি হওয়া।

এ ধরনের ভুল হলে আজান শুদ্ধ বলে গণ্য হয়, এবং পুনরায় আজান দিতে হয় না।

২. গুরুতর ভুল (যা আজানের অর্থ বা রুকনে প্রভাব ফেলে):

যেমন:

কোনো মূল বাক্য বাদ পড়ে যাওয়া (যেমন: "হাইয়্যা ‘আলাস্ সালাহ" বাদ যাওয়া),

এমন ভুল উচ্চারণ করা যাতে অর্থ পরিবর্তিত হয়ে যায়,

আজানের ধারাবাহিকতা রক্ষা না হওয়া,এবং আজানের মধ্যেই সেই বাক্য ঠিক না করে নেয়া বা বিরতি দিয়ে ফেলা।

এসব ক্ষেত্রে আজান পুনরায় দিতে হবে, কারণ এতে আজানের ফরজ বা শর্ত পূর্ণ হয়নি।

ইমাম নববী (রহ.) বলেন:
"যদি মুয়াজ্জিন আজানে ভুল করে এবং কোনো রুকন (মূল অংশ) বাদ দেয়, তাহলে তাকে আবার আজান দিতে হবে।"
আল-মাজমু' (৩/৮৫)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাদের মসজিদের মুয়াজ্জিন সাহেব যেভাবে আজান দেন,সেই আজানে কোন ধরনের ভুল হয়ে থাকে?

যদি উচ্চারণে সামান্য ত্রুটি (যা অর্থ বদলায় না) এমনটি হয়ে থাকে,বা শব্দে টান কম বা বেশি হওয়া,এমনটি হয়ে থাকে।
সেক্ষেত্রে উক্ত আযান শুদ্ধ হয়ে যাবে।

পুনরায় আযান দিতে হবেনা।

আর যদি কোনো মূল বাক্য বাদ পড়ে যায় (যেমন: "হাইয়্যা ‘আলাস্ সালাহ" বাদ যাওয়া),

অথবা এমন ভুল উচ্চারণ করা হয়, যাতে অর্থ পরিবর্তিত হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত আযান পুনরায় বিশুদ্ধ ভাবে দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

–1 vote
1 answer 198 views
...