বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) ফরয সাদাকাহ তথা যাকাত, এবং ওয়াজিব সাদাকাহ যেমন ফিতরা, মান্নত। এছাড়া বাকি সব ধরণের সাদাকাহ-ই নফল হিসেবে বিবেচিত হবে। ওয়াজিব সাদাকাহকেই কেউ কেউ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা সাদাকাহ হিসেবে বিবেচনা করেন। পৃথকভাবে সুন্নত মু'আক্কাদা মূলক কোনো সাদাকাহ নেই।
(২) সামর্থ্য থাকাবস্থায় নফল সাদাকাহ না করলে ও ইসলামের দৃষ্টিতে কৃপন হিসেবে সাব্যস্ত হতে হবে।
وَفِي أَمْوَالِهِمْ حَقٌّ لِّلسَّائِلِ وَالْمَحْرُومِ
এবং তাদের ধন-সম্পদে প্রার্থী ও বঞ্চিতের হক ছিল।( সূরা যারিয়াত-১৯)
إِلَّا الْمُصَلِّينَ ★الَّذِينَ هُمْ عَلَىٰ صَلَاتِهِمْ دَائِمُونَ★وَالَّذِينَ فِي أَمْوَالِهِمْ حَقٌّ مَّعْلُومٌ★لِّلسَّائِلِ وَالْمَحْرُومِ
তবে তারা স্বতন্ত্র, যারা নামায আদায় কারী।যারা তাদের নামাযে সার্বক্ষণিক কায়েম থাকে।এবং যাদের ধন-সম্পদে নির্ধারিত হক আছে যাঞ্ছাকারী ও বঞ্চিতের(সূরা মা'আরিজ-২২-২৫)
(৩) কেউ যদি ফরয বা ওয়াজিব দান সাদাকাহ করে, তবে নফল সাদাকাহ মন চাইলে অল্প সল্প করে থাকে, আবার মন না চাইলে করেনা, সেও একপ্রকার কৃপন হিসেবে বিবেচিত হবে, তবে এজন্য তার শাস্তি হবে না।