আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম, জনাব ৷ আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন।
আমি একটি সিএ (অডিট) ফার্ম এর স্টুডেন্ট। আমাদের অডিট এর ক্ষেত্রে একটি কোম্পানি, তার এক বছরের আয় ব্যায়ের মোট তথ্য দেই। তার মধ্যে কোম্পানির  ব্যাংক  একাউন্ট এর স্টেটমেন্ট দেই, ওই স্টেটমেন্ট থেকে আমরা ব্যাংক কত টাকা চার্জ কাটলো, কত টাকা সুদ দিলো কোম্পানিকে, আবার কোম্পানি ব্যাংক লোন নিলে কত টাকা সুদ দিলো ব্যাংকে এগুলো আলাদা ক্যালকুলেশন করি। যদিও এগুলো ব্যাংক হিসাব করে আমাদের এক কপি কাগজ দেই, তবুও আমরা আলাদা করে আবার হিসাব করি,
আমার প্রশ্ন টা ছিল যে, আমি যদি সুদের ক্যালকুলেশন করি, সুদের লেনদেন গুলার রেকর্ড করি বুকস অফ একাউন্সে, যদি সুদের লেনদেন গুলোর অডিট করি তা কি হারাম হবে কিনা? কিতাবের রেফারেন্স সহ দিলে আমি উপকৃত হতাম। আমি যেমন শুনছি সুদের লেনদেন ‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা’নত (অভিসম্পাত) করেন সুদের সাথে সংশ্লিষ্ট চার ব্যক্তিকে। তারা হচ্ছে: সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক ও সুদের সাক্ষীদ্বয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন: তারা সবাই সমপর্যায়ের দোষী’’।
“এখানে লেখক বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে” ?

আরেকটা প্রশ্ন হলো?  আমরা অডিট করার জন্য পরিপূর্ণ  তথ্য কোম্পানি থেকে পাই না। তখন কোম্পানির মনমতো অডিট করতে বাধ্য হইতে হয়। একাউন্স মিলাতে যেয়ে নিজেদের মতো হিসাব করে বসাতে হয়। তো এখন আমিতো  স্টুডেন্ট এক্ষেত্রে দোষটা কার কোম্পানীর, ফার্ম এর, না আমার।আমার এখন ছাত্র অবস্থায় করণীয় কী

1 Answer

0 votes
by (674,220 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সববে ক্বারিব এর হুকুম হল, বিক্রেতা বা ভাড়া প্রদাণকারীর উদ্দেশ্য যদি হয়, গোনাহের কাজে সগযোগিতা করা,তাহলে এটা গোনাহ এবং গোনাহের কাজে সরাসরি সহযোগিতা হওয়ার দরুণ স্পষ্টত নাজায়েয ও হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে যদি তার নিয়ত ও উদ্দেশ্য গোনাহের কাজে সহযোগিতা করা না হয়, তাহলে সেটা দুই প্রকার হবে, যথা- 

(ক) যদি তার জানা না থাকে যে, 
ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে, নাকি মদ তৈরী করবে, নাকি অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে? এসব বিক্রেতার জানা না থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা জায়েয হিসেবেই বিবেচিত হবে। 

(খ) যদি তার জানা থাকে যে, 
ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে না মদ তৈরী করবে না অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে?এসব বিক্রেতার জানা থাকে। 
তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা মাকরুহ হিসেবে বিবেচিত হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1046

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুদি কাজে সরাসরি সকল প্রকার সহযোগিতা করা হারাম ও নাজায়েয। প্রশ্নের বিবরণমতে আপনার জন্য ঐ কাজ জায়েয হবে না। আপনি ঐ কাজ ছেড়ে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...