আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (94 points)
১।যেহেতু সরাসরি মাফ চাইতে গেলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী তাই তার কাছে সরাসরি মাফ না চেয়ে আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়াই সমুচিত হবে।এই উত্তর টা কি আগের  ১ও ২নং প্রশ্নের জন্য হবে।
২।আমরা আগে নেশা করতাম  কয়েকজন মিলে গাঁজা মদ মোট কথা মাদকদ্রব্য সেবন করতাম অন্যজনের যায়গায় এখন কি তাদের কাছে মাফ চাইতে হবে?
৩। একজনের ১টা মুরগ নাকি মুরগী শিওর না  চুরি করে অন্য আরেকজনকে দিছিলাম যাকে দিছিলাম সে বলছে যে  তার ছেলে যাদের  চুরি করছিলাম তাদেরকে দিয়ে দেয় যাদের মুরগী ছিল  আমাদের বাড়িতে এসে বিচার দেয়।যখন চুরি করতেছিলাম তারা ঘুম থেকে জেগে উঠে তাদের হাস মুরগির রাখার আর বন্ধ করতে পারিনি দৌড়ে চলে যাই। যাদের চুরি করছিলাম তাদের ঘরের একজন বলছে যে তাদের আরও মুরগী নাকি পাওয়া যাচ্ছে না। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে চুরি করাটা ফেরত পাইছে এখন চুরি করতে গিয়ে যে রাখার যায়গা খোলা,খোলা রাখা,এর ভিতরে প্রবেশ  সহ যাবতীয় কারনে  হক নষ্ট হইছে কিনা আর কারও কাছে মাফ চাইতে হবে কি না?
৪।যেদিন মুরগী চুরি করতে গেছিলাম অনেকের বাড়ি গেছিলাম তারা অনেকেই তালা দেওয়া ছিলো সেখানে কেঁচি দিয়ে খোলার জন্য চেষ্টা করি কিন্তু পারিনি  এ কারনে কারও কাছে মাফ চাইতে হবে কি?
৫।যদি কোনো যায়গায় হিন্দুরা ছেড়ে চলে গেছে সেখানে ক্রিকেট খেলি, প্রসাব, পায়খানা করছি,গাজা খাইছি মোট কথা আমরা ব্যাবহার করি। এ যায়গা নিয়ে মামলা চলে দুপক্ষের ভিতরে একপক্ষ একজন হিন্দু দিয়ে এই যায়গা নাকি ঐলোক হিন্দু ধর্মের বিষয়ের জন্য দিছে  কি না শিওর না । যে লোকের যায়গা ছিলো তারা ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে মূর্তিপুজা করতো না আমার বাবা বলছেন। এখন আমরা যে ব্যাবহার করলাম আমাদের কে কারও কাছে মাফ চাইতে হবে?
৬।একবার ফুল চুরি করতে গেছিলাম আবার একজন কে উলঙ্গ দেখার জন্য ঘরে উকি দেই সেগুলো সমাধান হয়ে গেছে। যখন এই কাজগুলো করার জন্য গেছিলাম তখন তাদের ঘরের মেজের সমান ঘরের  বাহিরে একটা বাড়তি অংশ থাকে আমাদের ভাষায় পিরা বলে সেখানে কাদা সহ উঠসি কিনা জানিনা। ফুল চুরি করছিলাম তখন বাহিরের বেড়াতে গুনা ছিলো টান দিয়ে ছিড়ার সময় বেড়ার কোনো ক্ষতি হইছে কিনা জানিনা তবে না হওয়ার সম্ভাবনা আছে কারন কাঠের উপর পেরেকঠোকা ছিল। আরেক যায়গায় ঘরের  চালে ছিলো সেখান থেকে নেওয়ার সময় তাদের চালের কোনো ক্ষতি হইছে কিনা,বা তাদের চালে কোনো ময়লা লাগছে কি না জানিনা। যে মহিলা কে উলঙ্গ দেখার জন্য ঘরে উকি দেই সেঘরের বেড়া আগে থেকে ছিদ্র ছিলো যতটুকু মনে আছে  পিরার ক্ষতি হইছে কিনা জানিনা। এই কাজগুলো করতে গিয়ে তাদের বাড়িতে হাটা, দৌড়ানি খাওয়া কারও জায়গা দিয়ে দৌড়ানো,উপরের বিষয় সহ টুকটাক ছোটো খাটো যত ধরনের বিষয় গুলো আছে  কি তাদের হক নষ্ট হবে আবার মাফ চাইতে হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (683,010 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন।
https://idaars.com/courses/waswasa/

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...