বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/44364/
শরীয়তের বিধান মতে বাকিতে ক্রয় বিক্রয় জায়েজ। ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের সন্তুষ্টি চিত্তে মূল্য প্রদানের দিন
নির্ধারন করতে হবে,যাতে পরবর্তীতে এটি ঝগড়াঝাটিতে না পৌছে।
রাসুলুল্লাহ সাঃ নিজে বাকিতে ক্রয় করেছেন,মর্মে হাদীস
রয়েছে,
وَعَنْ
عَائِشَةَ قَالَتِ : اشْتَرٰى رَسُوْلِ اللّٰهِ ﷺ طَعَامًا من يَهُودِىٍّ إِلٰى
أَجَلٍ وَرَهَنَه دِرْعًا لَه مِنْ حَدِيْدٍ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ইয়াহূদীর নিকট হতে কিছু খাদ্যদ্রব্য বাকিতে ক্রয়
করেছেন নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এবং তাঁর লৌহবর্ম ঐ ইয়াহূদীর কাছে বন্ধক রেখেছিলেন।
(বুখারী ২০৬৮, মুসলিম ১৬০৩, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫৯৩৮।)
,
★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী
বাকীতে মেয়াদের ভিত্তিতে ক্রয়-বিক্রয় করলে বিক্রেতার জন্য নগদের চেয়ে বেশি
মূল্য নেওয়াও জায়েয আছে।
বাকিতে লাভে পণ্য কেনাবেচা বৈধ হওয়ার ব্যাপারে প্রখ্যাত সাহাবি
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: বলেছেন, ‘কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে এ কথা বলায় কোনো অসুবিধা নেই যে, নগদ হলে এত দাম
আর বাকিতে হলে এত দাম। তবে ক্রেতা-বিক্রেতার সন্তুষ্টির ভিত্তিতেই তা হতে হবে’ (মুসান্নাফে
ইবনে আবি শায়বাহ)।
★হযরত শুবা ইবনুল হাজ্জাজ রাহ. (মৃত্যু : ১৬০ হি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হাকাম ইবনে
উতাইবা এবং হাম্মাদ ইবনে আবু সুলাইমকে এক ক্রেতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, সে অন্যের থেকে
পণ্য ক্রয় করে আর বিক্রেতা তাকে বলে যে, নগদ মূল্যে কিনলে এত টাকা আর বাকিতে কিনলে এত টাকা। (এতে কোনো
অসুবিধা আছে কি?) তারা উভয়ে বললেন, ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে যদি (মজলিস ত্যাগ করার পূর্বে) কোনো একটি (মূল্য) চূড়ান্ত
করে নেয় তাহলে এতে কোনো অসুবিধা নেই।
মুসান্নাফ ইবনে আবী
শাইবা, হাদীস : ২০৮৩৬; জামে তিরমিযী ১/১৪৭।
,
হজরত তাউস ও আতা রহ.
বলেছেন, এ কথা বলায় কোনো অসুবিধা নেই যে, এই কাপড় নগদ
হলে এত দাম আর বাকিতে হলে এত দাম। এর যেকোনো একটি গ্রহণ করতে পারবে (মুসান্নাফে ইবনে
আবি শায়বাহ)।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
,
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি আপনার মা এক ভরি স্বর্ণ বাকীতে কিনে
নিয়ে বাড়িতে আনে তাহলে জায়েজ। অর্থাৎ এক ভরি স্বর্ণ মূল্য নির্ধারণ করে বাড়িতে
নিয়ে আসে। অত:পর অল্প অল্প করে টাকা পরিশোধ করে থাকে তাহলে এটা জায়েজ।