ক)মশা বসার কারনে/কামড় দেওয়ার কারনে জ্বললে/(কারণ ছাড়াই) এমনি অনেক চুলকালে, তখন যদি তিন তাসবিহ এর বেশি পরিমাণ হাত নাড়ানো হয়/চুলকানো হয় এক রুকনে, তাহলেও কি নামায ভাঙবে? মাঝে মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় চুলকায় যা চুলকালে সালাতে মনোযোগ থাকে না,আবার নামায ভেঙে যাওয়ার ভয়ে না চুলকিয়ে সালাত শেষ করি।
খ) একটা হাদিসে আছে, খালি দরুদ পড়েই দোয়া করলে আল্লাহ সব মনের ইচ্ছা কবুল করে নেন। (এক সাহাবি এসে বললেন, 'ইয়া রাসূল সাঃ, আমি ১/৪ ভাগ দোয়াতে দরুদ পড়ি'। নবিজি সাঃ বললেন, এইটা তোমার জন্য যথেষ্ট। তখন সাহাবি বললেন, তাহলে যদি আমি ১/২ ভাগ দোয়াতে দরুদ পড়ি তাহলে? নবিজি সাঃ বললেন, এইটাও তোমার জন্য যথেষ্ট। তখন সাহাবি বললেন, ইয়া রাসূল সাঃ আমি পূর্ণ দোয়াই দরুদ দিয়ে পড়লে? নবিজি সাঃ বললেন, তাহলে আল্লাহ তোমার সকল মনের আশা কবুল করে নিবেন।)
এরপর উস্তাদ বললেন দরসে, মনের ইচ্ছা মনেই থাকবে আর মুখে শুধু দরুদ পড়লেই এই ফযিলত পাওয়া যাবে।
তাহলে আমার প্রশ্ন হলো, আমরা সবাই তো শুধু দরুদ পড়েই দোয়া করা উচিত। তাহলেই তো সব দোয়া আল্লাহ কবুল করবেন।
i)এইভাবে দোয়া করার আমলটা কি শুরু করতে পারি?
ii)আর আমরা তাহলে মুখেই বা দোয়া পড়ি কেন?
গ) আমি জানি যে মাযহাব মানা ওয়াজিব গায়রে মুজতাহিদদের জন্য।
কিছু দিন আগে এক আলেম থেকে জানতে পারলাম, বার বার উযু ভাঙার মত সমস্যা সহ শরিয়তের বিভিন্ন ওযরে অন্য মাযহাব মানা যায়। সেটা এমন, যে মাসালাতে সমস্যা সেটাই শুধু অন্য মাযহাব মানবো, কিন্তু বাকি সব মাসালা আমি নিজের মাযহাবই মানবো।
দয়া করে ভালো ভাবে একটু তাহকীক করে ব্যাপারটা নিশ্চিত করলে ভালো হয়।