আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
660 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
closed by
ক)মশা বসার কারনে/কামড় দেওয়ার কারনে জ্বললে/(কারণ ছাড়াই) এমনি অনেক চুলকালে, তখন যদি তিন তাসবিহ এর বেশি পরিমাণ হাত নাড়ানো হয়/চুলকানো হয় এক রুকনে,  তাহলেও কি নামায ভাঙবে? মাঝে মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় চুলকায় যা চুলকালে সালাতে মনোযোগ থাকে না,আবার নামায ভেঙে যাওয়ার ভয়ে না চুলকিয়ে সালাত শেষ করি।

খ) একটা হাদিসে আছে, খালি দরুদ পড়েই দোয়া করলে আল্লাহ সব মনের ইচ্ছা কবুল করে নেন। (এক সাহাবি এসে বললেন, 'ইয়া রাসূল সাঃ, আমি ১/৪ ভাগ দোয়াতে দরুদ পড়ি'।  নবিজি সাঃ বললেন, এইটা তোমার জন্য যথেষ্ট।  তখন সাহাবি বললেন,  তাহলে যদি আমি ১/২ ভাগ দোয়াতে দরুদ পড়ি তাহলে? নবিজি সাঃ বললেন, এইটাও তোমার জন্য যথেষ্ট। তখন সাহাবি বললেন, ইয়া রাসূল সাঃ আমি পূর্ণ দোয়াই দরুদ দিয়ে পড়লে? নবিজি সাঃ বললেন, তাহলে আল্লাহ তোমার সকল মনের আশা কবুল করে নিবেন।)
এরপর উস্তাদ বললেন দরসে, মনের ইচ্ছা মনেই থাকবে আর মুখে শুধু দরুদ পড়লেই এই ফযিলত পাওয়া যাবে।
তাহলে আমার প্রশ্ন হলো, আমরা সবাই তো শুধু দরুদ পড়েই দোয়া করা উচিত। তাহলেই তো সব দোয়া আল্লাহ কবুল করবেন।
i)এইভাবে দোয়া করার আমলটা কি শুরু করতে পারি?
ii)আর আমরা তাহলে মুখেই বা দোয়া পড়ি কেন?

গ) আমি জানি যে মাযহাব মানা ওয়াজিব গায়রে মুজতাহিদদের জন্য।
কিছু দিন আগে এক আলেম থেকে জানতে পারলাম, বার বার উযু ভাঙার মত সমস্যা সহ শরিয়তের বিভিন্ন ওযরে অন্য মাযহাব মানা যায়। সেটা এমন, যে মাসালাতে সমস্যা সেটাই শুধু অন্য মাযহাব মানবো, কিন্তু বাকি সব মাসালা আমি নিজের মাযহাবই মানবো।
দয়া করে ভালো ভাবে একটু তাহকীক করে ব্যাপারটা নিশ্চিত করলে ভালো হয়।
closed

1 Answer

+1 vote
by (575,580 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(ক)
নামাজের ভিতর নড়াচড়া করা যাবেনা।
এক রুকন সমপরিমাণ এমনটি করলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ    
সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের নবীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন সাতটি (অঙ্গের) ওপর সিজদা করে এবং নামাজে চুল বা কাপড় না গুটায়। -সুনানে আবু দাউদ: ২/১৪

নির্ভরযোগ্য বর্ণনায় এসেছে, বিখ্যাত তাবেয়ি মুজাহিদ (রহ.) বলেন, হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ও হজরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রা.) যখন নামাজে দাঁড়াতেন তখন মনে হত একটি কাঠ মাটিতে গেড়ে দেওয়া হয়েছে। -মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ৭৩২২

প্রখ্যাত তাবেয়ি আমাশ (রহ.) থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) যখন নামাজে দাঁড়াতেন তাকে দেখে মনে হত যেন একটি পড়ে থাকা কাপড়। -মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক: ৩৩০৩।

★★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত যদি এক রুকন সমপরিমাণ সময় ধরে লাগাতার চুলকায়,  তাহলে আমলে কাছির হওয়ার কারনে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
,
আমলে কাছির সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ   
,
(খ)
হ্যাঁ দোয়ার মধ্যে দরুদ শরীফ পড়ে দোয়ার করার আমল শুরু করতে পারেন।
,
অনেক হাদীস শরীফে এসেছে যে রাসুলুল্লাহ সাঃ বিভিন্ন শব্দে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন।    
রাসুলুল্লাহ সাঃ যেহেতু মুখে দোয়া করেছেন,তাই আমরাও মুখে মুখে দোয়া করি।
,
মনে মনেও দোয়া করা যাবে।
কোনো সমস্যা নেই।
,
(গ)
সমস্ত মাসয়ালাতেই নিজ মাযহাব অনুযায়ী আমল করতে হবে।
অন্যথায় নফস ও খাহেশাতের পূজা হবে,যাহা হারাম। 
  
বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...