জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো ছওয়াবের কাজে সহযোগিতা করাও ছওয়াবের কাজ।
পক্ষান্তরে গুনাহের কাজে যে ব্যাক্তি সাহায্য সহযোগিতা করছে,তার সহযোগিতাই যদি সেই গুনাহের কাজ কায়েম করতে সরাসরি ভূমিকা পালন করে,তাহলে এমন সহযোগিতা করা হারাম।
আর যদি তার এই সাহায্য সেই গুনাহের কাজ কায়েমের ক্ষেত্রে সরাসরি ভূমিকা পালন না করে,বরং এটা স্রেফ সহায়ক হিসেবে থাকে,মূল হিসেবে না থাকে,তাহলে এমন সহযোগিতা নাজায়েজ নয়।
তারপরেও গুনাহের কাজে যেকোনো সহযোগিতা থেকে বেঁচে থাকাই উচিত।
পবিত্র কুরআন শরিফে আছেঃ
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
۔
জাওয়াহিরুল ফিকাহ গ্রন্থে আছেঃ
إن الإعانۃ علی المعصیۃ حرام قطعًا بنص القرآن، ولکن الإعانۃ حقیقۃ ہي ما قامت المعصیۃ بعین فعل المعین الخ۔ (جواہر الفقہ / تفصیل الکلام في مسئلۃ الإعانۃ علی الحرام ۲؍۴۴۷ دیوبند)
নিশ্চয়ই গুনাহের কাজে সহযোগিতা করা কুরআনের অকাট্য দলিল দ্বারা হারাম।
কিন্তু প্রকৃত পক্ষে গুনাহের সহযোগিতা হলোঃ তার সহযোগিতাই সেই গুনাহের কাজ কায়েম করতে সরাসরি ভূমিকা পালন করে।
,
অন্যথায় তা হারাম নয়।
,
আরো জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
যেহেতু ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক ভালো কাজ যেমন দ্বীনি শিক্ষা গ্রহণ, ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, যোগাযোগ ইত্যাদি করা হয়, পাশাপাশি অনেক হারাম বিষয় যেমন অশ্লীলতা, জুয়া, প্রতারণা, সময় অপচয় ইত্যাদিও হয়ে থাকে।
সুতরাং একজন মুসলিম যদি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে ব্যবসা করে অথবা কোনো ISP কোম্পানিতে চাকরি করে, তাহলে শরীয়তের দৃষ্টিতে এ ব্যবসা বা চাকরি বৈধ (হালাল) হবে। তার আয় হালাল হিসেবে গণ্য হবে।
তবে এক্ষেত্রে লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো কাহারো ব্যপারে আপনি যদি নিশ্চিত হন বা আপনার যদি প্রবল ধারণা হয় যে সে ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে গুনাহের কাজ করবেই,সেক্ষেত্রে তাকে ইন্টারনেট সংযোগ দিবেননা,কেননা এক্ষেত্রে গুনাহের কাজে সহযোগিতার গুনাহ হবে।