আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
19 views
in সাওম (Fasting) by (55 points)
আসসালামু আলাইকুম শাইখ

১/ ফরজ কাযা রোজার নিয়তে আশুরার দুইটা রোজা রাখলে কি কোন সমস্যা?
আমি সকল ফজিলতপূর্ণ রোজাগুলো (যেমন, শাওয়াল মাসের রোজা, জিলহজ, আইয়ামে বীজের রোজা....) সব উমরী কাযা রোজার নিয়তে রাখি। (গত বছর প্রেগনেন্সি সময়ের বাকি রোজা গুলোও এভাবে রাখছি)
২/  নামাজে দাঁড়ানোর সময়ে এবং বসার সময়েও তো মেরুদণ্ড সোজা রাখতে হয়।
কিন্তু মাথা নিচু করা ছাড়া তো সিজদাহ্'র স্থানের দিকে তাকানো যায়না। তাই কিয়াম অবস্থায় দৃষ্টি জায়নামাজে রাখার জন্য মাথা একটু নিচু হলে গো সমস্যা নেই তাইনা?

1 Answer

0 votes
by (76,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/22517/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

রমজানের রোজা, নির্দিষ্ট মানতের রোজা ও নফল রোজার নিয়ত রাত থেকে শুরু করে দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত করা যাবে। হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ رَجُلاً يُنَادِي فِي النَّاسِ، يَوْمَ عَاشُورَاءَ " أَنْ مَنْ أَكَلَ فَلْيُتِمَّ أَوْ فَلْيَصُمْ، وَمَنْ لَمْ يَأْكُلْ فَلاَ يَأْكُلْ ".

সালমা ইবনু আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, ‘আশূরা (আশুরা/আসুরা/আসূরা)র দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যাক্তিকে এ বলে লোকদের মধ্যে ঘোষণা দেওয়ার জন্য পাঠালেন, যে ব্যাক্তি খেয়ে ফেলেছে সে যেন পূর্ণ করে নেয় অথবা বলেছেন, সে যেন সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) আদায় করে নেয় আর যে এখনো খায়নি সে যেন আর না খায়। সহীহ বুখারী, ১৮০২

,

আর রমজানের কাজা, সাধারণ মানত, কাফফারা ও যিহারের কাফফারা রোজার নিয়ত রাতে না করলে রোজা বিশুদ্ধ হবে না।

হাদীস শরীফে এসেছে। উম্মুল মুমিনীন হাফসা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

 من لم يجمع الصيام قبل الفجر فلا صيام له.

যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোযা রাখার নিয়ত করবে না তার রোযা (পূর্ণাঙ্গ) হবে না। সুনানে আবু দাউদ ১/৩৩৩

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

,

১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কাজা রোজার সাথে নফল রোজার নিয়ত করা যাবে না। তবে নফল রোজার ক্ষেত্রে একাধিক নিয়ত করা যাবে। যেমন, ১৩, ১৪, ১৫ তারিখে রোযা রাখা উত্তম। যদি কেউ এই ১৩, ১৪, ১৫ তারিখে শাওয়ালের রোযা রাখে এবং সে প্রত্যেক মাসে আইয়্যামে বীযের রোযা রেখে থাকে, তাহলে সে শাওয়ালের সাথে সাথে আইয়্যামে বীযের রোযারও ফযিলত পাবে এবং তা যদি হয় সোমবার বা বৃহস্পতিবার তাহলে সেই দিনেরও ফযিলত পাবে ইনশাআল্লাহ।

তবে কাজা রোজার সাথে নফল রোজার নিয়ত করা যাবে না। বরং এই ক্ষেত্রে শুধু কাজা রোজারই নিয়ত করতে হবে।

,

২. হ্যাঁ, এই ক্ষেত্রে হালকা মাথা নিচু করা যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...