আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,203 views
in সালাত(Prayer) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায,

উস্তায আমার প্রথম প্রশ্ন:কেও যদি ঘুমের কারনে ফজরের নামাজ আদায় করতে না পারে, আর ঘুম ভাঙ্গার পরেও যদি সেই নামায কে কাজা আদায় না করে তাহলে কি সেই ব্যক্তি পরে এশার নামাযের সময় ইমামতি করতে পারবে কি???

দ্বিতীয় প্রশ্ন:অথবা ওই ব্যক্তি যদি জোহরের সময় উক্ত  ফজরের নামাজ টা কাযা আদায় করে নেই তাহলে কি সেই ব্যাক্তি এশার নামাযের সময় ইমামতি করতে পারবে?

তৃতীয় প্রশ্ন:আর তার পিছুনে এশার নামায জামাতে আদায় করা আমার জন্য জায়েজ হবে কি যদি সে ফজরের নামাজ আদায় না করে থাকে ?

আর একটা বিষয় আমি এর আগে প্রশ্ন করেছিলাম যে আমার কাজের জায়গা তে নামায পড়তে দেয় না তাই শুধু ফজরের নামাজ পড়ে কাজে যাই আর এশার নামাযের সময় রুমে এসে সকল নামায কাযা আদায় করে এশার নামাজ পড়ে নেই এটা আমার জন্য জায়েজ হবে কি না উস্তায মুফতি ইমাদুল উস্তায উত্তর দিয়েছিলো যে আমার জন্য ওয়াজিব এখন অন্য জায়গাতে কাজ খুঁজে নেওয়া।

এখন আমার চতুর্থ প্রশ্ন টা হলো:
আমি iom এর আলিম কোর্সের ছাত্র বলে তারা আমাকে অনেক টা সম্মানের চোখে দেখে তাই এশার নামাজের সময় তারা আমাকে ইমামতি করতে বলে এখন আমি আমার উক্ত নামায গুলো জোহর,আসর,মাগরিব এই তিন ওয়াক্ত নামায কাযা আদায় না করেই তাদের সাথে এশার নামাজের ইমামতি করতে পারবো কি কারণ সবাই ক্লান্ত হয়ে কাজে থেকে এসে তাড়াহুড়া করে নামায পড়ে ঘুমিয়ে পড়ে আমি যদি উক্ত নামায কাযা আদায় করতে থাকি তাহলে তারা যার যার মতো একা একা নামায পড়ে ঘুমিয়ে পড়ে??

পঞ্চম প্রশ্ন: যদি আমি ওই তিন ওয়াক্ত নামায আগে কাযা আদায় করে নেই তার পরে কি তাদের সাথে এশার নামাযের ইমামতি করতে পারবো কি??

ষষ্ঠ প্রশ্ন: আমি তাদের সকলের থেকে বয়সে ছোট কিন্তু তারা কেও কুরআন পড়তে পারে না,শুধু আমি আর ওই ভাই টা ব্যতীত যার কথা বললাম ইচ্ছা করে মাঝে মাঝে ফজরের নামাজ পড়ে না আবার অন্যান্য নামায ও মাঝে মধ্যে পড়ে না তিন ওয়াক্ত পড়ে তো দুই ওয়াক্ত  পড়ে না।

আমরা মালয়েশিয়া তে থাকি এইখানে করোনার কারনে সকল মসজিদ বন্ধ তাই আমরা রুমেই সবাই নামায পড়ি আর বেশিরভাগ সময় আমি নামায গুলোর ইমামতি করি তারা আমাকে ঠেলে আগে পাঠিয়ে দেয়,আমি অতি দুঃখিত ও ক্ষমা প্রার্থী উস্তায এক সাথে এতো গুলো প্রশ্ন করার জন্য

1 Answer

0 votes
by (708,800 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনি যদি সাহেবে তারতীব হন,তথা সারা জীবনে এখন পর্যন্তও ছয় রা'কাতের বেশী নামায কাযা না  হয়ে থাকে,তাহলে এমতাবস্থায় আপনার উপর ছুটে যাওয়া ওয়াক্তের নামায কা'যা করা ওয়াজিব হবে।ছুটে যাওয়া নামাযকে আদায় না করলে বর্তমান নামাযই আদায় হবে না।
তবে যদি কারো ছয় ওয়াক্তের চেয়ে বেশী নামায কা'যা থাকে,তাহলে উনার উপর পূর্বের নামায প্রথমে পড়া ওয়াজিব নয়।তবে সময়-সুযোগ থাকলে অবশ্যই পড়ে নেয়া উত্তম হবে।

অর্থাৎ
বালিগ হওয়ার পর যার জীবনে ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কা'যা হয়নি,সেই ব্যক্তিই সাহেবে তারতীব। সুতরাং কেউ যদি টানা কয়েক বছর নামায না পড়ে তাকে,এবং পরবর্তীতে নিয়মিত নামায পড়া শুরু করে, এবং তখন ১/২ ওয়াক্ত নামায কা'যা হয়,তাহলে ঐ ব্যক্তি সাহেবে তারতীব হবে না।কেননা ঐ ব্যক্তির অধীনে বা জিম্মায় অসংখ্যাত  নামায কা'যা রয়েছে।তাই ঐ ব্যক্তিকে সাহেবে তারতীব বলা যাবে না।সাহেবে তারতীব হওয়ার জন্য ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কাযা হতে পারবে না বা জিম্মায় থাকতে পারবে না।

যদি কারো অনেক নামায কা'যা থাকে,এবং ঐ ব্যক্তি কা'যা আদায় করতে করতে ছয় ওয়াক্তের কম নামায তার জিম্মায় বাকী থাকে,তাহলে কি সে সাহেবে তারতীব হবে?
এ সম্পর্কে দু ধরণের বক্তব্য পাওয়া যায়, বিশুদ্ধ কথা হল,ঐ ব্যক্তিও সাহেবে তারতীব হিসেবে গণ্য হবে।

সাহেবে তারতীব ব্যক্তির জন্য তারতীব রক্ষা করা ওয়াজিব।অর্থাৎ প্রথমে কাযা নামায গুলো ধারাবাহিক আদায় করতে হবে।তারপর ওয়াক্তের নামায আদায় করতে হবে।উল্টো করলে ওয়াজিব তরকের গোনাহ হবে। বিস্তারিত জানুন- 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
আপনি যদি সাহেবে তারতীব হন,তাহলে আপনি প্রথমে ফজর এবং ছুটে যাওয়া নামাযকে আদায় করবেন।যদি আসরের সময় সংকির্ণ থাকে,তার পরও আপনি প্রথমে ফজর ও ছুটে যাওয়া নামাযকে পড়বেন।তারপর আপনি ইশার নামায পড়তে পারবেন এবং ইশার নামাযের ইমামতিও করতে পারবেন।

যদি আপরি সাহেবে তারতীব না হন,তাহলে ইশার নামাযের ইমামতি শুদ্ধ হওয়ার জন্য ফজরের কা'যা আদায় জরুরী নয়।সময় সুযোগ থাকলে করে নেয়াটা অবশ্যই উত্তম।

(২)
যদি সাহেবে তারতীব হন,এবং জোহরের সময় ফজরের নামযের কা'যা আদায় করে নেন,তাহলে আপনি ইশার নামাযের ইমামতি করতে পারবেন।
আর সাহেবে তারতীত না হলে ফজর আদায় জরুরী নয়।

(৩)
যদি সে সাহেবে তারতীব হয়,তাহলে তার নামায ত্রুটিপূর্ণ থাকবে।এবং আপনার নামাযও।সুতরাং পূনরায় পড়তে হবে।

(৪)
আপনি যদি সাহেবে তারতীব হন,তাহলে প্রথমে আপনাকে ছুটে যাওয়া নামায পড়তে হবে। নতুবা পড়া জরুরী নয়,তবে অবশ্যই উত্তম।এবং উমরী কা'যা পড়া অবশ্যই জরুরী ও উত্তম।

(৫)
জ্বী, পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...